হোমপেজ আমল ও ওজিফা ঈদুল আযহার উৎসব উদযাপনের নিয়মাবলীঃ

ঈদুল আযহার উৎসব উদযাপনের নিয়মাবলীঃ

135
ঈদুল আযহার উৎসব উদযাপনের নিয়মাবলীঃ
Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

ঈদুল আযহার উৎসব উদযাপনের নিয়মাবলীঃ

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ৯-ই যিলহজ্জ হইতে ঈদুল আযহার কর্মসূচী শুরু হয় এবং আমার অবর্তমানেও এই ধারা চলিতে থাকিবে। আমাকে পীর কেবলাজান হুজুর নির্দেশ দিয়াছিলেন, ‘ঈদুল ফিতরের উৎসব আপন পরিবারবর্গের সাথে করিবে এবং ঈদুল আযহার উৎসব তথা কোরবানীর ঈদ পীরের সাথে পীরের দরবারে পালন করিবে। আমি তাহাই করিতাম। তােমাদের উপর আমার আদেশ এই যে তােমরাও ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদ উৎসব আপন পরিবারবর্গের সাথে করিবে এবং কোরবানীর ঈদ উৎসব উদযাপন করিবে পীরের সাথে এবং পীরের অবর্তমানে পীরের দরবারে তথা বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে যিলহজ্জের ৯-ই তারিখে তােমরা জাকের মঞ্জিলে উপস্থিত হইবে।

৯ই যিলহজ্জ সন্ধ্যা হইতে উৎসবের কর্মসূচী আরম্ভ হইবে। মাগরিবের আযানের পর যথারীতি খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহতায়ালাকে হাজের নাজের ওয়াহেদ জানিয়া হুজুরে কালবে মাগরিবের ফরয ও সুন্নত নামাজ আদায় করিবে। অতঃপর দুই রাকায়াত করিয়া তিনবারে মােট ছয় রাকায়াত নফল নামাজ পড়িবে। প্রত্যেক দুই রাকায়াত অন্তর ছওয়াব রেছানী করিবে। জামে আউলিয়া, জামে আম্বিয়া ও তামাম বিদেহী মােমেন মােসলমানদের আত্মায় ছওয়াব পৌছাইয়া দিবে। (নফল নামাজের মুনাজাত দ্রষ্টব্য) অতঃপর ফাতেহা শরীফ পড়িয়া ছওয়াব রেছানী করিবে। (ফাতেহা শরীফ পড়িবার নিয়মাবলী দ্রষ্টব্য) তারপর তরিকতের নিয়মানুযায়ী মাগরিবের ওয়াক্তের নির্ধারিত পাঁচ প্রকারের ফয়েয খেয়াল করিবে। ফয়েয খেয়ালান্তে মহাধুমধামের সাথে জেকের করিবে। জেকেরান্তে সকলেই সমবেতভাবে এক খতম মিলাদ পড়িবে। (মিলাদ শরীফ পড়িবার নিয়মাবলী দ্রষ্টব্য) তারপর ইশার নামাজের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত ওয়ায নছিহত চলিবে। এই দিনের ওয়াযের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ই হইবে ঈদুল আযহার তাৎপর্য ও কোরবানীর ফযিলত সম্পর্কিত আলােচনা। তৎপর এশারের আযান; আযানান্তে যথারীতি এশারের ফরয, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করিবে। নফল নামাজের ছওয়াব বখশাইয়া দিবে।

অতঃপর বেতের নামাজ আদায় করিয়া যথানিয়মে দয়াল নবী (সাঃ)-এর গায়রতের ফয়ে খেয়াল করিবে। তারপর ৫০০ মর্তবা দরুদ শরীফ পড়িয়া রাসূলে পাক (সাঃ) কে নজরানা দিয়া সকলেই বিশ্রাম করিবে। (দরূদ শরীফ পড়িবার নিয়মাবলী দ্রষ্টব্য) নিশির শেষ ভাগ রাত ৩টায় উঠিবে। কিছুক্ষণ কোরআন পাক থেকে তেলাওয়াত হইবে। তৎপর এক খতম মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হইবে। তারপর সকলেই মােরাকাবা হালতে বসিয়া রহমতের ফয়েয। খেয়াল করিবে তারপর ফজরের আযানের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত জেকের করিবে। জেকেরে দেল সাফ হয়। (রহমত পালনের নিয়মাবলী দ্রষ্টব্য) তৎপর ফজরের আযান এবং আযানান্তে ফজরের সুন্নত ও ফরয নামাজ আদায় করিয়া ফাতেহা শরীফ পড়িবে ও ইহার ছওয়াব রেছানী করিবে। তৎপর ৭০০ মর্তবা খতম শরীফ পড়িয়া তরিকার ইমাম মােজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবকে নজরানা দিবে। (মােজাদ্দেদ আলফেছানী রাঃ এর শানে গজল) ইহার পর সকলেই ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করিবে।

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

নুতন কাপড় (থাকিলে) পরিধান করিবে। কোরবানীর ঈদে নামাজের পূর্বে কিছু না খাওয়া সুন্নত। তােমরা যাহারা কোরবানী করিবে তাহারা কোরবানীর গােশত দিয়াই আহার করিবে। ইহাই উত্তম। বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে দূরদূরান্ত হইতে নামাজিগণ জামাতে উপস্থিত হন। কাজেই এখানে ১০ টার দিকে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হইবে। ঈদের নামাজে ইমাম ছাহেবকে কিছু দিতে হয়। নামাজের পূর্বেই ইমাম ছাহেবকে কিছু দিবে। অতঃপর ছয় তকবিরের সাথে যথানিয়মে জামাতে ঈদুল আযহার দুই রাকাত ওয়াযেব নামাজ আদায় করিবে। নামাজ শেষে ইমাম ছাহেব খোতবা দিবেন। খোতবা শেষে মাজার জেয়ারতের উদ্দেশ্যে ফাতেহা শরীফ পড়িয়া কবরবাসী বা কবরবাসিনীর রূহ পাকে ছওয়াব রেছানী করিবে। তদসংগে জামে আম্বিয়া, জামে আউলিয়া ও তামাম বিদেহী মােমেন মােসলমানদের রূহে ছওয়াব পৌছাইয়া দিবে।

তারপর কোরবানীর কর্মসূচী শুরু হইবে। ১০-ই যিলহজ্জ হইতে পরবর্তী তিনদিন পর্যন্ত কোরবানী চলিবে। অর্থাৎ ১১, ১২ ও ১৩ই যিলহজ্জ পর্যন্ত কোরবানী চলিবে। কোরবানীর গােশত দরবারস্থিত জাকেরানদেরকে খাওয়াইবে; কোরবানীকারকদের কিছু দিবে এবং যথারীতি দরিদ্র ও দুঃস্থ গ্রামবাসীদের মধ্যে বন্টন করিবে। দরবারে আগত জাকেরানরা কোরবানীর গােশত দিয়া খাবার খাইয়া আপন আপন বাড়ীর দিকে যাইবে। দরবারে উপস্থিত জাকেরান সকল যথারীতি জোহর ও আসর ওয়াক্তের নামাজ, ওজিফা কালাম ও ফয়েযাদি খেয়াল করিবে। কোরবানীর ঈদে ৯ই যিলহজ্জের ফজর ওয়াক্ত হইতে ১৩-ই যিলহজ্জের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয নামাজ অন্তে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করিবে। ইহা ওয়াযেব। ৯-ই যিলহজ্জ ফজর হইতে ১৩-ই যিলহজের আসর পর্যন্ত সময়কে ‘আইয়ামে তাশরীক” বলে।

তাকবীরে তাশরীক

“আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অল্লাহু আকবর। আল্লাহু আকবর অলিল্লাহিল হামদ।”

সূএঃ শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহতঃ ২৩তম খন্ড “বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতি”।