গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:২

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:২

গুলিস্তান থেকে- বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, আমার দেখা ৪০-বছর।

-আব্দুল হান্নান

ততকালীন ঢাকার ডেমরা থানা বর্তমান, কদমতুলী থানা, জুরাইন, মুরাদপুর এলাকায় বসবাস আমার।

সে সময়ের অনেক পুরাতন জাকের ভাই আমাদের,’আলেক চান্দ বেপারী তিনি হয়তো ১৯৬০ দশকের পীর কেবলা’ জানের মুরীদ সন্তান (তিনি বর্তমান নাফেরার দেশে) বেপারী সাহেব তিনার নিজ জমিতে খাজাবাবা ফরিদপুরী-র নামে একটি জামে মসজিদ করে গেছেন। সে মসজিদের, বর্তমান দরবারে খাদেম মাওলানা আবুল কাসেম সাহেব ছিলেন ইমাম।

৮০ দশকে সে সময় আমাদের এলাকায় বেপারী সাহেবের বাসায় প্রতি মাসেই জলসা হতো হালিম ভাই, করিম ভাই,সুলতানা ভাই টিএনটি তে চাকরী করতেন ও আমার হাদি ফাতেমা বুয়া আমরা সবাই জলসাতে যেতাম কিন্তু আমি জলসার কি বুঝি! আমি বুঝি তবারক / খিচুড়ি অনেক সাদ গরু মাংস দিয়ে বোঝাই থাকতো তখন কার সময় (গরুর মাংস ৩০ টাকা সের ছিলো)

সে সময় আমাদের এলাকা থেকে প্রতি মাসের দ্বিতীয় রবিবার দরবার শরীফে যাওয়ার জন্যে বাস ছাড় তেন আমিও আসতাম পোলাপান মানুষ ভাড়া লাগেনা!।

১৯৮৩ সনের বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ২
৯০ দশকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল

বর্তমানে দরবার শরীফের মাদ্রাসার সামনে যে মাঠ টি আছে সেটি ছিলো পুরোটাই দেখতে বিরাট একটি পুকুরের মত অনেক গভীর কিন্তু সমতল ভূমি, আশ্চর্য বিষয় পুকুরে পানি ছিলো না! নিচে মাঠের মত দুবলা গাছ ছিলো। শুনেছি বর্ষা সময় পানি হতো। বিকেল বেলায় ‘মিয়া ভাইজান, মেঝ ভাইজান দৌড় দিয়ে নিচে নেমে ফুটবল খেলতেন আমরা রাস্তার উপর থেকে ফুটবল খেলা দেখতাম।

দরবার শরীফের বড় জামে মসজিদ ও সামনের খালি যায়গা টি দেখতে বিরাট পুকুর এর মত ছিলো কিন্তু কথিত আছে বর্ষা কাল পানি তলিয়ে যেতো পরে আর পানি থাকতেনা । আবার একই রকম দুবাগাছ হতো তখন জামে মসজিদ হয় নি। সাড়া দিন পর বিকেল বেলার সাদ টি ছিলো অন্যরকম আসরের নামাজের পর কেবলা’জান হুজুর বাহিরে বের হতেন।

অনেক আধুনিক ওলী ‘আল্লাহ ছিলেন তিনি, মাথায় সাদা টুপি, খায়ে সাদা পাঞ্জাবী, শীতের সময়ে কালো রং এর মাফলার, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা , পায়ে কালো জুতা মোবারক ,হাতে খুব সুন্দর কালো ছড়ি নিয়ে খুব ছোট ছোট কাইকে হাটতেন আমরা পিছনে পিছনে দৌড়াতাম।

এ জাতিয় হাটার মানুষ আমি আর দেখিনি। আমার পেশা গত কারনে দেশের বুদ্ধিজীবি, অনেক পীর সাহেব, ইসলামী রাজনৈতিক নেতা, আলেম সমাজ, অনেক শ্রেণির লোক এমনকি। রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে অনেক দেশ-ও গিয়েছি কিন্ত তিনার মত দেখতে তেমন মানুষ আমার চোখে ও পরেনি। ওলি ‘ আল্লাহ তো অনেক দূরের কথা।

খাজাবাবা কারো সাথে কথা বলতে, হাত না’র তেন তার মাঝে ও শিল্প আট ছিলেন, দাত বের করে তিনি কখনো-ই হাসেন নি কখনো কখনো একটু মুশকি হাসি দিতেন। পীর কেবলা’জান ছিলেন নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) আদর্শে আদশিত।

মহানবী হজরত মুহম্মাদ (সাঃ) ছিলেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য এক অনুপম আদর্শ। তিনি ছিলেন শিশুর আদর্শ, যুবকের আদর্শ, সৈনিকের আদর্শ, সেনাপতির আদর্শ, স্বামীর আদর্শ, পিতার আদর্শ, নানার আদর্শ, ব্যবসায়ীর আদর্শ, শিক্ষকের আদর্শ ও রাষ্ট্রনায়কের আদর্শ। পৃথিবীর অন্যকোনো মহামানবের ভেতরে এমন অপুর্ব দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবেনা।

পীর কেবলা’জান দয়াল নবীজি (সাঃ) গুনে গুনানিত ছিলেন তিনি! তাই তিনি দয়াল নবীজি (সাঃ) এর সত্য তরিকা দিয়ে গেছেন জাকের সন্তান দের মাঝে।

আমার দেখা ৪০ বছর! খাজাবাবা ফরিদপুরী ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ‘ নিয়ে লেখতে চাই আপনাদের মতামত জানাবেন আশা রাখি।

চলবে……

পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন:

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল- (সবগুলো পর্ব পড়ুন)

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel