
গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:৩
গুলিস্তান থেকে- বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, আমার দেখা ৪০-বছর।
-আব্দুল হান্নান
১৯৮৩ সাল কেবলাজান বরই তলা হুজরা’ শরীফের পাসে,বড় আম্মা হুজুরের মাজারের সামনে যে জায়গা টি সেখানে হুজুর’পাক, একটি সাদা গিলাফে মোরান মোড়া তে বসে আছেন, আমি ( আট চালা)আমাদের টিনের মসজিদের কাছ দিয়ে আসতেছি।
কেবলা’জান হুজুরের পাশে কয়েক জাকের ভাই দাড়ানো। আমাকে ডাক দিলেন বাবা শুনেন আমি ভয় পেয়ে গেলাম না জানি -কি বলেন! বাবা শুনেন আর কয়দিন পর পৃথিবী টা হাতের মুঠে নিয়া হাট বেন!
আমি অবাক হ’য়ে গেলাম খাজাবাবা বলে কি! আমি বল্লাম বাবা’জান অতবড় পৃথিবী হাতের মুঠে নিয়া হাট যায়? বাবা’জান আপনারা কি মাথা খারাপ হয়েছে! খাজাবাবা একটু মুশকি হাসি দিয়ে বলেন’ না বাবা পৃথিবী হাতের মুঠে নিয়া -ই হাটবেন বলে বিতর বাড়িতে চলে গেলেন। তখন কার সময়ে তো আর বুঝিনি কি বলে ছিলেন খাজাবাবা ওলী-আল্লাহ দের ভেদ বুঝা বড় দায়! এখন হাড়ে হাড়ে বুঝি! ওলী-আল্লাহ’দের কেরামত বুঝা বড় দায়!এ বিষয় একটু আলোচনা করি আজ থেকে ৩৯ বছর আগে কথা।
পৃথিবী টাকে কি বলে ইংগিত দিয়ে ছিলেন খাজাবাবা! দেখেন আমাদের সবার হাতে এখন মোবাইল আর এই মোবাইল-ই হচ্ছে পৃথিবী! এই একটি মোবাইল ডিভাইস ছোট কম্পিউটার যা হাতে ধরে রাখতে এবং পরিচালনা করতে পারে। সাধারণত, যেকোনো হ্যান্ডহেল্ড কম্পিউটার ডিভাইস যা-দিয়ে আমরা ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কথা বলা। কি নাই এই মোবাইলে। ইহাকে -ই বলেছিলেন খাজাবাবা পৃথিবী হাতের মুঠে নিয়ে হাট বেন বাবা! তাই লাল মিয়া বয়াতি বলে, কেউ বুঝিতে পারে নারে ওলী-আল্লাহর খেলা আমার দয়াল বাবা-র খেলা।
সাবধান! যারা আল্লাহর বন্ধু,তাদের না কোন ভয়-ভীতি আছে,না তারা চিন্তান্বিত হবে না। (সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর ওলীগণের কোন ভয় নাই এবং তাঁরা চিন্তাগ্রস্থও হবেনা।) আর তাঁরাই ঈমান এনেছে ও আল্লাহকে ভয় করে বা তাক্বওয়াশীল। তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে।
আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছিঃআঃ) সাহেবের।
আমার দেখা ৪০ বছর! খাজাবাবা ফরিদপুরী ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ‘ নিয়ে লেখতে চাই আপনাদের মতামত জানাবেন আশা রাখি।
চলবে……
পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন: