হোমপেজ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:১১

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:১১

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:১১

গুলিস্তান থেকে- বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, আমার দেখা ৪০-বছর।

-আব্দুল হান্নান

তখন কার সময়ে আমদের অঞ্চলে ঢাকার পোস্তগোলায় ব্রিজের নিচে বালুর মাঠে, তাদের ভাষায় ইসলামী সম্মেলন, ৭ দিন ব্যাপি। সাধারণ মানুষ বলে থাকেন ওয়াজমাহফিল সে সময় জনপ্রিয়তা বেশ ছিলো তখন পোস্তগোলা ব্রিজ হয় নাই প্রতি বছর -ই ওয়াজ হইতো তখন কার সময়ের আলেম সমাজ আলোচনা করতেন যেমন হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী, অনেক পীর সাহেবরা ওয়াজ করতেন সে বছর প্রধান বক্তা ছিলেন দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাহেব। তিনি ওয়াজ করতে যেয়ে বলেন ও মিয়ারা শুনেন ও-ই যে আটরশি- যায় গরু, নেয় গরু, গায় গরু! ঐ খানে আছেন গরুর গরু জবাই কইরা খায়া ফেলবেন আমি বুঝবো!

এখানে একটু আলোচনা করি:

যায় গরু! অর্থাৎ – গরু যায় দরবারে? নেয় গরু! যারা গরু নিয়া যায় অর্থাৎ – তারা-ও গরু! খায় গরু অর্থাৎ – দরবারে আমরা গরু খাই! খাজাবাবা-র উদেশ্য বলা কথা টি এখানে লিখলাম না কত বড় সাহস!

৯০ দশকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল

তখন কার সময়ে ঢাকা শহরে রংবাজই ছিলেন আমাদের জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিপি- সাগীর ভাই, আলম ভাই যাত্রাবাড়ীর আমির হোসেন ভাই, আমাদের শরিফ আহমেদ ভাই এমনি করে অনেকে প্রায় ১২/১৮ জনের একটি টিম তার মাঝে আমি সবার ছোটো। দেলোয়ার হোসেন সাইদীর এ-কথা শুনে সবাই খেপে গেলেন সকালে মিলে সিধান্ত নিলেন আর খমা করা যায় না সাইদী সাহেব কে! সিদ্ধান্ত হলো দরবারে যেয়ে খাজাবাবা-র কাছে নালিশ দিয়ে তাকে আর খমা করা হবেনা ।

মনে অনেক কষ্ট লাগে শরিফ আহমেদ ভাই আর আমি ছাড়া সবাই এখন (চলে গেছেন নাফেরার দেশে )

সিদ্ধান্ত হলো দরবারে যাব । তিনারা সকালে মিলে দরবারে গেলেন আমিও সাথে আছি আছরের নামাযের পর পীর কেবলা’জান ১ নাম্বার হুজরা’শরীফের বারান্দায় সুন্দর একটি মোড়ায় বসে সাবাই মিলে খাজাবাবা -র কাছে গেলেন এখান নালিশ টি কে দিবেন আমার মনে হয় আলম ভাইজান পীর কেবলা’জানের কাছে
নালিশ দিলেন।

বাবা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদী পোস্তগোলায় ওয়াজমাহফিল আমার খাজাবাবা-কে- (উপরে কথা গুলি লিখেছি তাই লিখলাম না) উল্টো পালটা কথা বলে, ওয়াজ করেন। বাবা আমরা মেনে নিতে পারছিনা খাজাবাবা-র হুকুম চাই আমরা ও-কে মেরে ফেলবো !

সেই মুহুর্তের কথা আজ-ও মনে পরে! মুহুর্তের মধ্যেই পীর কেবলাজান হুজুর লাল বরণের হয়ে গেলেন তিনি বলেন এইমুহূর্তে আমার দরবার শরীফ থেকে সবাই বের হও এত বড় সাহস কাকে মারবেন! ডান হাত ও আমার বাম হাত ও আমার।

সকালের ভয়াবহ অবস্থা কি করবে সবাই চুপ হয়ে আছেন। কিছুক্ষণ পর পীর কেবলাজান হুজুর একটু মুস্কি হাসি দিয়ে বলতেন বাবা-রা আপনারা টেলিভিশন দেখেন? দেখবেন টেলিভিশনে লাক্স সাবানের বিজ্ঞাপন দেয় কেন দেয় জানেন? সাবান যেন ভালো বেচা কেনা হয়! সাইদী সাহেব আমার বিজ্ঞাপন দাতা! তিনি নিজে সাড়া দেশে ঘুরে ঘুরে আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন করেন। আর দেশের মানুষ তা শুনে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে আসে আমাকে দেখতে এসে বাবা সবাই মুরীদ হয়ে যায় তাকে মারবেন কেন? বাবারা একটু অপেক্ষা করেন দেখেন আল্লাহতালা কি চান -সামনে কি হয়।

এখানে একটু আলোচনা করি:

ওলী-আউলিয়া দের মুখের বাণী:-
পীর কেবলাজান ঐ কথা বলার কিছু দিনপর বা কয়েক মাস পর দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাহেব বিমানে করে সিলেট গেলেন তিনাকে সিলেট বাসি বিমান থেকেই নামতে দেন নাই। কি একটা কথার কারণে আমার এখন মনে নাই। দেশ জুড়ে তার বিরুদ্ধে আন্দলোন হয়েছিল দেখেন সেই থেকে সাইদী সাহেব জেলে যাওয়ার আগ প্রজন্ম তিনি ওপেন কোথাও ওয়াজমাহফিল করতে পারে-নাই। সময় টা আমার সঠিক মনে নাই কয়েক বছর পর পীর কেবলাজান হুজুর বলেন বাবারা, সাইদী সাহেব দরবারে এসেছিলেন আমার কাছে তিনি দু:খ প্রকাশ করেছেন।

আমার দেখা ৪০ বছর! খাজাবাবা ফরিদপুরী ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ‘ নিয়ে লেখতে চাই আপনাদের মতামত জানাবেন আশা রাখি।

চলবে……

পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন:

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল- (সবগুলো পর্ব পড়ুন)