শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-১০
১৮১.
“একতার বলে সব হও বলীয়ান, উড়িয়ে আকাশে তব বিজয় নিশান।”
১৮২.
“তোমরা আল্লাহকে ভুলো না, কারন আল্লাহ তোমাদের ভুলে না।”
১৮৩.
“মানবতার সেবাই আল্লাহর রহমত লাভের সর্বোত্তম উপায়।”
১৮৪.
“বিশুদ্ধ ইবাদতের জন্য প্রয়োজন যাবতীয় শিরক হইতে নিজেকে মুক্ত করা।”
১৮৫.
“কঠিন পরীক্ষার কষ্টিপাথরে যাচাই না করিয়া খোদাতায়ালা কাহাকেও নিজ দরবারে প্রবেশের যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করেন না।”
১৮৬.
“খোদাতত্ত্ব সাধনার পথের পথিক মাত্রই কম বেশী উপলব্ধি করেন মোর্শেদে কামেলের গুরুত্ব কি। তিনি কেমন পরশ মানিক। তাহার নিকট এমনই ক্ষমতা আল্লাহতায়ালার পক্ষ হইতে জমা থাকে, যাহা কার্যতঃ অনবিক ক্ষমতার চেয়েও বহু বহু গুণ বেশী।”
১৮৭.
“কালবী জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেকে চেনা যায়, নিজ সত্ত্বার নিগুঢ় তত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়, যে জ্ঞান খোদাতালাশীকে খোদাতায়ালার একান্ত সান্নিধ্যে পৌঁছাইয়া দেয়।”
১৮৮.
“আল্লাহর সমস্ত সৃষ্টি জগতের অর্থাৎ ১৮,০০০ আলমের প্রকাশ্য ও অন্তর্নিহিত জ্ঞান অর্জন করা যায়। যে জ্ঞানের তুলনায় বিজ্ঞানের আবিস্কৃত মহাবিশ্বে ১০০ কোটি গ্যালাক্সির জ্ঞান একেবারেই সামান্য; যাহা উল্লেখেরও দাবী রাখে না। পরিচ্ছন্ন কালবের অধিকারী ওলীয়ে কামেলগণ ১৮ হাজার আলম সম্বলিত সমগ্র সৃষ্টি জগতকে নখদর্পণে দেখিতে সক্ষম।”
১৮৯.
“টেলিভিশনে একই সাথে খবর শোনা ও ছবিও দেখা যায়। পরিচ্ছন্ন লতিফা কালব টেলিভিশনের পর্দার মত কাজ করে। ১৮ হাজার আলম বা সৃষ্টি জগতের সব কিছুই কালবের পর্দায় দেখা যায়।”
১৯০.
“কামেলের কালব অত্যন্ত শক্তিশালী এক টেলিস্কোপ। যাহার সাহায্যে আসমানসমূহে রক্ষিত সৌন্দর্য্য, নূরময় জগতের মনোমুগ্ধকর অপরূপ রূপ দর্শন করিয়া ছালেক সবকিছু বিস্মৃত হয়; এমনকি নিজেকেও পর্যন্ত ভুলিয়া যায়। দুনিয়ার প্রতি তাহার আর বিন্দুমাত্র আকর্ষণ থাকে না।”
১৯১.
“পীরের মহব্বতের ভীতর দিয়েই খোদা প্রাপ্তির পথ পাওয়া যায়। আল্লাহকে ধরা যায়।”
১৯২.
“তুমি যে দিন তোমার পীরের জাতকে কবুল করলে, রাসূল (সাঃ) তোমাকে সেদিন উম্মত বলে স্বীকার করলেন। তাই আল্লাহ ও রসূলের স্বীকৃতি তুমি পাইলে ঐ দিন যেই দিন তুমি তোমার পীরের তরফ থেকে স্বীকৃতি পেলে।”
১৯৩.
“পীরানে পীরদের পাক আত্মার যোগাযোগ যখন আপনার লাভ হয়ে যাবে, মুহূর্তেই বিশ্ব আত্মার সান্নিধ্য লাভ হবে, আল্লাহতায়ালা রেজাবন্দি হাছিল হবে। অমূল্য নেয়ামতের অধিকারী আপনি হয়ে যাবেন-যে নেয়ামতের সন্ধান একমাত্র আত্মাদর্শক ব্যতীত অন্য কেহ জানে না।”
১৯৪.
“পাওয়ার হাউজ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বাল্ব সে বিদ্যুৎ ধারন করে জ্বলে উঠে। আলো ছড়ায়। রুমের বাল্ব বিদ্যুৎ ধরে জ্বলে উঠে কিন্তু রুমের অন্য কোন কিছুই যেমন ওয়াল, জানালা বিদ্যুৎ ধরতে পারে না। মানুষের শরীরে এরকম ৭০ হাজার বাল্ব আছে। সেগুলো আল্লাহর তাজাল্লী দ্বারা রৌশন হয়ে উঠে। ৭০ হাজার বাল্বের মধ্যে প্রথম বাল্বই হলো কালব। এটা হলো আল্লাহতায়ালা ভেদের মহাসমুদ্র, মহা জ্ঞান ভান্ডার।”
১৯৫.
“খেয়াল ক্বলবে, ক্বালব আল্লাহর দিকে, আল্লাহ হাজির-নাজির, খেয়াল কালবে ডুবিয়ে, হুজুরি ক্বলবে আল্লাহকে সিজদা করো। মুমিনদের জন্য এটাই মেরাজ।”
১৯৬.
“মুখে বলছেন, সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা অথচ অন্তরে দুনিয়াবী চিন্তা – এমন নামাজে কোন ফল নেই। একে লিপ-সিমপ্যাথি বলা হয়। নামাজ পড়তে হবে হুজুরে কালবে ডুব দিয়ে।”
১৯৭.
“নামাজ পড়তে হবে হুজুরে কালবে ডুব দিয়ে। যখন হুজুরে কালবিতে নামাজ পড়তে পারবেন তখনই নামাজের সত্যিকারের স্বাদ পাবেন।”
১৯৮.
“কামেল পীরের অসিলা ছাড়া কালবে ডুব দিয়ে হুজুরে কালবে নামাজ পড়তে পারবেন না। অসিলা নিয়ে কালবে ডুব দিয়ে যখন নামাজ পড়তে পারবেন তখন কালবের ভিতরেই আপনারা আরশ-কুরছি, লওহ-কলম, বেহেশত-দোযখ দেখতে পাবেন।”
১৯৯.
“আমরা যে শরীয়ত পালন করি তাহলো শরীয়তের সুরত। শরীয়ত ও সুন্নতের আরোও ছয় ভাগ আছে যা আধ্যাত্মিকতার সাথে যুক্ত। পীরে কামেল ছাড়া তা শিক্ষা করা যায় না।”
২০০.
“কেবলমাত্র প্রশংসা করে বা খেদমত করে বা কোন মূল্য দিয়ে পীরের দেনা শোধ করা যাবে না। অতএব তোমার পীরের কদমে তুমি ধুলি হয়ে যাও।”
সূত্র: শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত শরীফের বিভিন্ন অংশ ও অডিও বাণী হতে।
• শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ সবগুলো পর্ব