ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীরের কিতাবে আটরশির পীরের প্রশংসা।
১৯৭৮ সালে জুন মাসে প্রথম মুদ্রণ করা হয় তার লেখা একটি কিতাব “মারেফতের গোপন কথা”
“মারেফতের গোপন কথা” কিতাব থেকে ডাঃ বাবা জাহাঙ্গীর বা-ঈমান আল সুরেশ্বরী সাহেবের লেখাটা তুলে ধরলামঃ-
একটা কথার প্রচলন আছে, সে কথাটি হলোঃ যে গাছে ফল ধরে সে গাছেই বাচ্চারা ঢিল ছোঁড়ে আর যে গাছে ফল ধরে না সে গাছ যত সুন্দরই হোক না কেনো বাচ্চারা ঢিল ছোঁড়ে না, আটরশির পীর সাহেবের নাম খুব বেশি হয়েছে এবং ভক্তের সংখ্যাও বেশি এবং এত বড় আকারের উরস বোধ হয় বাংলাদেশ তো দূরের কথা এক আজমীর শরিফ ছাড়া আর পৃথিবীর কোথাও হয় কিনা অধম লেখকের জানা নেই।
তাই কিছু বাচ্চা মার্কা আরবি জানা পন্ডিতদের গোস্সাটা আটরশির পীর সাহেবের উপরে একটু বেশি। তারা অনেক ধরনের ঢিল ছুঁড়তে শুরু করেছেন অনেক আগেই, অনেকে আবার নতুন ধরণের একটা গালি আবিষ্কার করেছেন, অথচ সেই আবিষ্কারের অসারতা যে কত খেলো ধরণের। আর সেটি হলো যেঃ আটরশির পীর সাহেব অনেক জ্বীন পালন করেন।
যদি অধম লেখক প্রশ্ন করে যে? ধরে নিলাম আটরশির পীর সাহেব জ্বীন পালন করেন তাহলে এমন দোষটা তিনি করে ফেললেন? যদি বলি যে হযরত দাউদ (আঃ) এবং হযরত সোলায়মান (আঃ) অনেক জ্বীন পালতেন। এবং এই বিষয়টি সবারই জানা থাকার কথা, তা হলে এত বড় বড় দুই জন নবী জ্বীন পালন করার বিষয়টি হাসিমুখে মেনে নিতে পারছেন। আর আটরশির পীর সাহেবের বেলায় যত গোস্সা আর অপবাদ।
আটরশির পীর সাহেবকে পছন্দ হয় না ভালো কথা, তাই বলে কি তার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো উচিৎ মনে করেন? আপনার মিলানো হিসাবের অঙ্কটিতে আটরশির পীর সাহেবকে মিলাতে কষ্ট হচ্ছে বলে বুঝি যা তা মন্তব্য করে বসবেন?
এখানেই কিছু পীর সাহেব সম্বন্ধে কিছু লিখতে হবে, পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা নিজের ভালো ছাড়া আর কারো ভালোটা দেখতে পারে না।
গ্রন্থসমূহঃ “মারেফতের গোপন কথা”, (পৃঃ ৩১৬/৩১৭)