দয়ালের তোতাপাখি (পর্ব-০১)
প্রশ্নকর্তাঃ হে দয়ালের তোতাপাখি! আমরা কেন পৃথিবীতে এসেছি?
দয়ালের তোতাপাখিঃ দয়ালের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।
প্রশ্নকর্তাঃ কিসের প্রতিনিধিত্ব?
দয়ালের তোতাপাখিঃ দয়ালের গুণ নিজের মধ্যে জাগ্রত করে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিনিধিত্ব।
প্রশ্নকর্তাঃ দয়ালের গুণ কি?
দয়ালের তোতাপাখিঃ আমার দয়ালের গুণের কি আর শেষ আছে! তিনি অনন্ত গুণে গুণবাণ।
প্রশ্নকর্তাঃ সেই অন্তত গুণ থেকে দয়ালের কিছু গুণ সম্পর্কে জানাও।
দয়ালের তোতাপাখিঃ আমার দয়াল হক্ব। তিনিই সত্য। তিনি মহাসত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ, ক্ষমাশীল, দয়ালু ও করুণাময়।
প্রশ্নকর্তাঃ তবে কি আমাদের এই গুণগুলোই ধারণ করতে হবে? আর এই জন্যেই কি আমরা পৃথিবীতে এসেছি?
দয়ালের তোতাপাখিঃ হ্যা। এই জন্যেই মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে।
প্রশ্নকর্তাঃ শুনেছি মানুষকে দাসত্ব করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, আর তুমি বলছো দয়ালের গুণ ধারণ করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আমি তো মহা দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গেলাম।
দয়ালের তোতাপাখিঃ দাসত্বের জন্য আমার প্রভু দাসের অভাব ছিল না। অসংখ্য ফেরেস্তাসহ অসংখ্যা জাতি তিনি মানব সৃষ্টির আগেই সৃষ্টি করেছিলেন।
প্রশ্নকর্তাঃ তাহলে আমাদের দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি?
দয়ালের তোতাপাখিঃ না, শুধুমাত্র দাসত্বের জন্য মানুষকে সৃষ্টি করা হয়নি।
প্রশ্নকর্তাঃ তাহলে মানুষকে কিসের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে?
দয়ালের তোতাপাখিঃ প্রেমের জন্য। আর প্রেমের কারণেই মানুষ দয়ালের গুণ ধারণ করতে পারে৷ দয়ালের গুণগুলো যত বেশি নিজের মধ্যে ধারণ করা যাবে, মানব হৃদয়ে তত বেশি প্রেম জাগ্রত হবে।
প্রশ্নকর্তাঃ প্রেম কী?
চলবে…
লেখাঃ DM Rahat