দয়ালের তোতাপাখি (পর্ব-০২)
প্রশ্নকর্তাঃ প্রেম কী?
দয়ালের তোতাপাখিঃ প্রেম বর্ণনাতীত। প্রেমের কোনো সংজ্ঞা হয় না। তবে আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি যে, কামনা-বাসনাহীন কর্মই প্রেম।
প্রশ্নকর্তাঃ প্রেমের অনূভুতি কেমন?
দয়ালের তোতাপাখিঃ প্রেমের অনুভূতি কেমন, তা প্রেম হলেই বুঝা যায়, কিন্তু অপরকে বুঝানো যায় না। সেটার অনুভূতি শুধু আশেক আর মাশুকই জানে।
প্রশ্নকর্তাঃ দয়াল আমাদেরকে প্রেমের জন্য সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আমরা কি ঈশ্বরের সাথে প্রেম করতে সক্ষম?
দয়ালের তোতাপাখিঃ তিনি যেহেতু প্রেমের জন্যেই বিশ্ব বাগান সাঁজিয়েছেন, তাহলে মানুষকে তিনি অবশ্যয়ই প্রেমের জন্য উপযুক্ত করেই পাঠিয়েছেন।
প্রশ্নকর্তাঃ আমরা যে পূজা-অর্চনা বা ইবাদত-বন্দেগি করি, সেটাই কি ঈশ্বর প্রতি প্রেম?
দয়ালের তোতাপাখিঃ তুমি কি কোনো কামনা-বাসনা ছাড়া ঈশ্বরের ইবাদত করো?
প্রশ্নকর্তাঃ না। আমি স্বর্গ লাভের আশায় এবং জাহান্নামের ভয়ে পূর্জা-অর্চনা করি।
দয়ালের তোতাপাখিঃ তাহলে এটা কিভাবে ‘প্রেম’ হতে পারে? প্রেমের মধ্যে কোনো কামনা-বাসনা থাকতে পারে না।
প্রশ্নকর্তাঃ তাহলে আমি ঈশ্বর প্রেমী হবো কিভাবে?
দয়ালের তোতাপাখিঃ স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি প্রেম জাগলেই ঈশ্বর প্রেমী হওয়া যায়। নিঃস্বার্থভাবে যে ব্যক্তি জীবের প্রতি প্রেমভাব রেখে জীবের সেবা করে, সেই প্রকৃত ঈশ্বর প্রেমী।
প্রশ্নকর্তাঃ প্রেম কত প্রকার?
দয়ালের তোতাপাখিঃ প্রেম পাঁচ প্রকার। সখ্য, শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য ও মধুর প্রেম। সখ্য প্রেম হয় বন্ধুর সাথে, শান্ত প্রেম পিতা-মাতার সাথে, দাস্য প্রেম মালিকের সাথে, সন্তানের সাথে হয় বাৎসল্য প্রেম।
প্রশ্নকর্তাঃ আর মধুর প্রেম কী?
দয়ালের তোতাপাখিঃ মধুর প্রেমকে বুঝানো যায় না। তবে স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের সাথে মধুর প্রেমকে কিঞ্চিত তুলনা করা যায়। প্রতিটার প্রেমের মধ্যে কিছুটা স্বার্থ-বাসনা লুকায়িত থাকলেও মধুর প্রেম সম্পূর্ণরূপে কামনা-বাসনা থেকে মুক্ত। এ প্রেম এমন এক প্রেম, যার প্রভাবে আশেক-মাশুক তাঁদের অস্তিত্ব ভুলে যায়।
প্রশ্নকর্তাঃ তাহলে প্রেমে কোন দয়ালকে লাভ করা যায়?
চলবে….
– প্রথম পর্ব পড়ুন
– সবগুলো পর্ব
লেখাঃ DM Rahat