সকল সৃষ্টির উপরে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব:
সকল সৃষ্টির উপরে মানুষের যে শ্রেষ্ঠত্ব যাহা মানুষকে আল্লাহতায়ালার খলিফা করিয়াছে, সেই শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ অর্জন করিয়াছে হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) কে প্রদত্ত জ্ঞানের দ্বারা।
হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) ফরমান- “আল্লাহতায়ালা সর্বাগ্রে যে জ্ঞান সৃষ্টি করেন, তাহা আমারই জ্ঞান, যদিও তাহা জগতে তখনও আসে নাই।”
হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) এর জ্ঞানের অংশ হইতেই হযরত আদম (আঃ) কে বস্তুসমূহের নামের জ্ঞান দেয়া হইয়াছিল, যে জ্ঞান আল্লাহতায়ালার সমস্ত ফেরেশতা হইতে আদমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করিয়াছিল। আল্লাহ পাক ফরমাইয়াছেন- আদমকে তিনি তাহার নিজ গুণ সমূহ হইতে গুণ দান করিয়াছেন বা তাহার কামালাতের ছুরাতে সজ্জিত করিয়াছেন। আদম বলিতে এই স্থানে যে মানব সত্ত্বা ও গুণের পূর্ণ বিকাশ আমরা কল্পনা করতে পারি, আল্লাহতায়ালার সেই কামালাতের পূর্ণতাও আসিয়াছে হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) এর মধ্যে, অন্য কোনো নবী (আঃ) গণের মধ্যে নহে।
অন্যান্য সকল পয়গম্বর (আঃ) সম্পর্কে আল্লাহপাক কুরআন মজীদে ফরমান- “তিনি (আল্লাহ) জানেন, তাহাদের (পয়গম্বরদিগের) অগ্রে ও পশ্চাতে কি আছে এবং তাহারা শাফায়াত করিতে পারিবেন না-কেবলমাত্র একজন ছাড়া যাহাকে আল্লাহ মনোনীত করিয়াছেন এবং তাহারা আল্লাহতায়ালার ভয়ে কাঁপিতে থাকিবেন।”
হাদীস শরীফে আছে- যাহাদিগকে মানুষেরা ডাকিবে, তাহারা কেহই শাফায়াত করিতে পারিবে না কেবল তিনিই পারিবেন, যিনি সত্যের সাক্ষী। (মেশকাত শরীফ)
তাই দেখা যায়, হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) ইহলোকে বা পরলোকে, জড় বা সূক্ষ্ম জগতে, মানুষ হিসেবে বা পয়গম্বর হিসেবে মখলুকের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম।
[তথ্যসূত্রঃ খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে বিশ্বওলী শাহ্ সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত সকল খণ্ড একত্রে/৪৭৭পৃষ্ঠা]