পীরজাদা আলহাজ্জ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান।
অসামান্য মানবিক ও নৈতিক আদর্শে সুরভিত, অদম্য তেজ, অফুরন্ত প্রাণ শক্তি, ইস্পাত দৃঢ় মনোবল, দেশ ও জাতির প্রতি অসাধারন মমত্ববোধ ও ভালোবাসা,দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধে সমুজ্জল, ডায়নামিক এবং অসাধারন সম্মোহনী এক ব্যাক্তিত্ব ।
সত্য ও ন্যায়ের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় উতসর্গীকৃত অকুতোভয় এ মহান নেতা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সব সময়।
আশ্চর্য ভরাট কন্ঠস্বরে সরল, সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় চেতনা জাগানিয়া তেজোদীপ্ত অসাধারন সব বক্তৃতা করেন। সহজেই আপন করে নেন মানুষকে। মধ্য মনিতে পরিনত হন যে কোন অনুষ্ঠানে। অত্যন্ত স্মার্ট , সুদর্শন ও সুশিক্ষিত এ নেতা যে কোন পরিস্থিতি মুকাবিলায় সহজাত কুশলতা ও ত্বরিত কর্মপরিকল্পনার স্বাক্ষর রেখেছেন অসংখ্যবার।
ছায়া সুনিবিড় আর হিজল, তমাল ,শাপলা, শালুকের অপরুপ শ্যামলিমা, কৃষকের লাঙ্গল, জোয়াল ও রাখালিয়া বাঁশী এবং পাখ পাখালীর মধুর কোলাহলের ফরিদপুর। এ ফরিদপুরের সদরপুরের আটরশি গ্রামের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে এ মহান নেতার জন্ম। পিতা বিশ্ব মুসলিমের কান্ডারী এবং শান্তিকামী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী বিশ্ব ওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু:ছে:আ:) কেবলাজান ছাহেব।
শৈশবেই অত্যন্ত মেধাবী, পরোপকারী, বন্ধুবতসল ও আপোষহীন শিশু মোস্তফা আমীর ফয়সল দুর্দ্যমনীয় ও সহজাত নেতৃত্বগুনের আলো ছড়ান চার পাশে। তখনই দেখা গেছে, মানুষের দু:খ, কষ্ট সহ্য করতে পারেন না। সিংহ হৃদয়ের এ মহান নেতা শৈশব থেকে মানুষের শান্তি ও কল্যাণে নানা সাহায্য সহযোগিতা করছেন একেবারে নীরবে।
জাতীয় ,আঞ্চলিক ও আর্ন্তজাতিক রাজনীতির গতি প্রকৃতির চুল চেরা বিশ্লেষণ ও তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভারসাম্যপূর্ণ দূরদর্শী রাজনীতির দারুন সমন্বয়ে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন প্রিয় জাকের পার্টির। গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারা বা সংস্কৃতির মাঝেও তিঁনি গতিশীল ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারার নীরব কিন্তু মহাশক্তিশালী এক নিউক্লিয়াস।
গত ৩ দশকে নানা দুর্যোগ ও সংকটে দেশ ও জাতির পাশে দাড়িয়েছেন। ১৯৮৭ ও ৮৮‘র প্রলয়ংকরী বন্যা , ১৯৯১ এর ভয়াবহ সাইক্লোন, ‘৯৮ ও ‘৯৯ এর ভয়াবহ বন্যায় সর্বাত্মকভাবে দাড়িয়েছেন দুর্গত মানুষের পাশে।
এ সময় কে বা কোন দল ক্ষমতায় আছে বা বিরোধী দলে কে আছে? জাকের পার্টির সর্বাত্মক ত্রাণ কার্যক্রমে কে লাভবান হবে, তা চিন্তা করেন নি তিঁনি। জাকের পার্টির মাধ্যমে সারা দেশে হাজার হাজার ত্রাণ ক্যাম্প স্থাপন করে আশ্রয়হীন ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার তুলে দিয়েছেন।
১৯৮৭ সালে জাকের সংগঠনের সূচনার সময়ই জাতি আগামীর মহান নেতা মোস্তফা আমীর ফয়সলের সন্ধান পায়। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে জাকের পার্টির আত্মপ্রকাশ এবং মাত্র দেড় বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনে জাকের পার্টির অংশগ্রহন জাতির আরো কাছাকাছি নিয়ে যায় আগামীর নেতাকে।
১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আলাদা আলাদা কৌশলগত লক্ষ্য সামনে নিয়ে অংশগ্রহন করেন এবং ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে সফলকাম হন, যা ছিল প্রকৃত অর্থেই দেশ ও জাতির স্বার্থ সংরক্ষণ।
একই ভাবে রাজনেতিক নানা সংকটে সহযোগিতা, সহিষ্ণুতা ও সিংহ হৃদয় নিয়ে এগিয়ে গেছেন বার বার। জাতীয় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন ও সংস্কার সাধনের সংকল্প এবং প্রচেষ্টা থেকে এক বারের জন্যও পিছিয়ে আসেন নি।
অন্যায়, অত্যাচার, সন্ত্রাস ও উগ্রতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছেন ভয়,ডর ও শঙ্কাহীন চিত্তে।তাঁর বজ্র হুঙ্কারে দেশব্যাপী ব্যাপক জনমত তৈরী হয়। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে দেশ ও জাতির ডাকে সাড়া দিয়ে নি:স্বার্থ ও আপোষহীন ভুমিকার কারণে নিজেকে নিয়ে যান স্বতন্ত্র উচ্চতায়।
জাকের পার্টির শক্তিমত্তা নতুন করে উপলব্ধি করে রাজনৈতিক মহল সর্বোপরি দেশবাসী। দেশ ও জাতির স্বার্থসংরক্ষণ প্রশ্নে বেদেশিক সম্পর্ক ও এ সংক্রান্ত সার্বিক ব্যাপারে জাকের পার্টি চেয়ারম্যানের চিন্তা চেতনা ও দৃষ্টি ভঙ্গিও অত্যন্ত আধুনিক।
পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখা এবং সুবিশাল মানব সম্পদ বিশেষ করে মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ তরুন শক্তিকে প্রকৃত সাহচর্য দিয়ে এক বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মুকাবেলায় জাতিকে জয়ী করার বাসনায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
জাকের পার্টি চেয়ারম্যান সকল ধর্ম,মত ও পথের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সম্মিলিত ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ভিত্তিতে প্রকৃত সোনার বাংলাদেশ গড়ায় আত্মপ্রত্যয়ী, দৃঢ় ও অবিচল। মহান আল্লাহ সহায়।
আরো পড়ুন:
→ জাকের পার্টি প্রতিষ্ঠা ও মূলনীতি
→ আদাবুল মুরিদের সবগুলা নসিহত একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন…
→ দয়াল-নবী (সাঃ) এর খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ।
→ খাজা এনায়েতপুরী (কুঃ) তিনার শেষ উরস শরীফে বলেছিলেন-“তোমরা সবাই ফরিদপুরীর নৌকায় উঠে যাও”
→ গোটা পৃথিবীতে লোহার মই টানা হবে! বাঁচার উপায়। (শাহ্সুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী)