হোমপেজ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল জাকের পার্টি প্রতিষ্ঠা ও মূলনীতি!

জাকের পার্টি প্রতিষ্ঠা ও মূলনীতি!

529

জাকের পার্টি প্রতিষ্ঠা ও মূলনীতি!

জাকের পার্টির জম্ম এবং জাকের পার্টির সদস্যদের কর্তব্যঃ

আমার কেবলাজান চৌদ্দ হিজরীর মুজাদ্দেদ হযরত খাজাবাবা এনায়েতপুরি (কূঃছেঃআঃ) সাহেব সাংগঠনিক পদ্বতিতে দেশ ও জাতির সর্বত্র আধ্যাত্নিকতা অনুশীলনের সুফল পৌছায়বার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিয়াছিলেন। তদীয় জীবনের শেষ উরস শরিফে তাই তিনি জাকের পার্টির বিজয় ঘোষণা করিয়া যান।

তাহার ওফাতের ৩৭ বছর পর তাহারই বাতেনী ইঙ্গীতে এবং আল্লাহ তায়ালার এলহামি নির্দেশে আমি ১৪১০ হিজরির ১২ই রবিউল আউয়াল মোতাবেক ১৪ই অক্টোবর ১৯৮৯ সালে রহমতের সময় জাকের পার্টি গঠন করি।

সেই দিন ছিল শনিবার অর্থাৎ আমার পীর কেবলাজান হযরত এনায়েতপুরি (কূঃছেঃআঃ) সাহেবের জম্মদিন। একদিকে রাসুলে পাক (সাঃ) এর জম্মদিন, অপরদিকে খাজাবাবার এনায়েতপুরি (কূঃছেঃআঃ) সাবের জম্মদিন। দুই মহা মানবের জম্মলগ্নে জন্ম হয় জাকের পার্টি।

যাহার মূলনীতিমালা হইলঃ

  • ১. জাগতিক জ্ঞানচর্চার সাথে সাথে অধ্যাত্মিকতা চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সৎ গুণাবলীর বিকাশ সাধন করা।
  • ২. অন্যদেরকে আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনে অনুপ্রানিত করা।
  • ৩. আর্তমানবতার সেবা করা। এই পার্টির নীতিমালা পুরাপুরি পালন করিলে দেলে আল্লাহ ও রাসুলের মহব্বত পায়দা হইবে। মহব্বতের স্রোতে দেল ধুইয়া পরিষ্কার হইবে। ১৪ই রাত্রির পূর্ণিমার চাদের মত দেল ইজ্জল ও রৌশন হইবে। মানব চরিত্র থেকে হিংসা, দোষ, স্বার্থপরতা, পাপাসিক্তি, দূর হইবে।

ফলে একটি সুন্দর ও সুখি সমাজ সহজেই তৈরি হইবে। জাকের পার্টি একটি ঐক্যবদ্ধ দল। আমার পক্ষ হইতে এই পার্টির চেয়ারম্যান আমার কনিষ্ট পুত্র মোস্তফা আমির ফয়সাল মুজাদ্দেদি। সে যাহা বলে তাহা আমার পক্ষ হইতেই বলে। কতিপয় জাকেরান বলিয়া বেড়ায় এই পার্টি আমার নয়, আমার ছেলে মোস্তফা আমির ফয়সলের। তাহার চাপেনাকি আমি এই পার্টি দিতে বাধ্য হইয়াছি।

এমন কথা, একাধিকবার আমার কানে আসিয়াছে। তাই সকলেরই জ্ঞাতার্থে বলিতেছি যে, এই পার্টি আমার খাজাবাবার তাহারই বাতেনি নির্দেশে আমি ইহার ঘোষনা দিয়াছি, কাহার চাপে পড়িয়া নয়। যাহারা উক্তরুপে বিভ্রান্তি ছড়ায়, আসলে জাকের নয়, মোনাফেক বলা চলে।

তাহাদের থেকে তোমরা সতর্ক থাকিও। এই পার্টি আদর্শ কেন্দ্রিক পার্টি। নবী করীম (সাঃ) এর পরিপূর্ণ আদর্শ প্রচার করাই এই পার্টির উদ্দেশ্য। এই পার্টিই হেজবুল্লাহ বা আল্লাহ্‌র দল। আর আল্লাহ্‌র দলের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। কেবল সময়ের ব্যবধান মাত্র।

জাকের পার্টি  প্রতিষ্ঠার পটভুমি এবং মূলনীতিঃ

বর্তমান বিজ্ঞানের যুগ। এই যুগে বস্তু জ্ঞানচর্চার উৎকর্ষতা হইয়াছে, জাগতিক জ্ঞানচর্চার মাত্রা বৃদ্বি পাইয়াছে; কিন্তু আধ্যাত্মিকতার অনুশীলন নেই। জাগতিক জ্ঞানচর্চার আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় না থাকার কারনে, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আজ শান্তি নেই। সর্বত্রই হিংসা, হানাহানি, অনাচার, অবিচার।মানবতা নাই, শিষ্টাচার নাই, ভদ্রতা নাই, আদব নাই, লেহাজ নাই, গাছে ফল নাই, পানিতে মাছ নাই, জমিনে ফসল নাই, শুধু নাই আর নাই। শুধু শুন্যতা আর শূন্যতা।

মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। মানবতার প্রান আজ ওষ্ঠাগত। এই সংকট থেকে মানবতাকে রক্ষা করিতে হইলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রয়োজন জাগতিক জ্ঞানচর্চার পাশা-পাশি আধ্যাত্মিকতার অনুশীলনের।

উভয় জ্ঞানের যুগপুত চর্চার মাধ্যমে যে মন মানুষের জাগতিক উন্নতি হইবে তেমনি হইবে আত্মিক উন্নতির সাধন বা মানবতার গুনাবলির বিকাশ। আমার পীর কেবলাজান, চতুর্দশ হিজরির মুজাদ্দেদ, হযরত এনায়েতপুরী (কুঃছে;আঃ) সাহেবের সাংগঠনিক পদ্বতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বস্তুজ্ঞান চর্চার পাশা-পাশি আধ্যত্মিক জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন।

তদীয় জীবনে শেষ উরসে তাই তিনি জাকের পার্টির ঘোষনা দিয়া যান। তাহার উফাতের ৩৭ বছর পরে তাহার ইচ্ছা অনুযায়ী আমি ১৪১০ হিজরিতে ১২ই রবিউল আউয়াল মোতাবেক ১৪ই অক্টোবর ১৯৮৯ সালে রহমতের সময়ে জাকের পার্টি গঠন করি।

এই পার্টির মূল নীতিমালা হইলঃ ইসলাম, ইমান, এহসান। এই তিনটির মধ্য নিহিত আছে পরিপূর্ণ ইসলাম। আছে- শরিয়াত, তরিকত, হাকিকত, মারেফাত।আছে রাসুল(সাঃ) এর ২৩ বছর কর্মকাণ্ডের নিখুত সার-নির্যাস। একদা দয়াল নবী (সাঃ) এর মজলিসে হযরত জিব্রাইল (আঃ) একজন মোসাফিরের বেশ ধরিয়া আসিয়া বসেন। দয়াল নবী (সাঃ) কে পরপর জিজ্ঞাসা করেন ঈমান কি? ইসলাম কি? এহসান কি?

প্রথম উত্তরে নবী (সাঃ) বলিলেনঃ
ঈমান হইলঃ আল্লাহ্‌র অস্তিত্বে বিশ্বাস করা।, ফেরেস্তাদের অস্তিত্ত্বে বিশ্বাস করা।, আসমানি কিতাব সমুহে বিশ্বাস করা।, পয়গম্বরগনের উপরে বিশ্বাস আনা।, পুনরুথান দিবসে বিশ্বাস করা, তকদীরে বিশ্বাস করা

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে রাসুলে পাক (সাঃ) বলেনঃ
ইসলাম হইলঃ দিনে পাঁচবার নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা।, যাকাত প্রদান করা, পূর্ণ রমজান মাসে রোজা রাখা, সামর্থবান হইলে হজ্জব্রত পালন করা।

তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে রাসুল(সাঃ) বলেনঃ
এহসান হইলঃ এমনভাবে ইবাদাত করা যেন তুমি খোদাতায়ালেক দেখিতেছ অর্থাৎ খোদাতায়ালাকে দেখিয়া ইবাদাত করাই হইল এহসান। যদি ইহা সম্ভব না হয় তাহলে মনে করিতে হইবে যে, খোদাতায়ালা তোমাকে দেখিতেছেন।

উপরের আলোচনায় বুঝা গেল যে, ঈমান ও ইসলাম হইল শরিয়াতের ইশারা এবং এহসান হইল মারেফাতের ইশারা বা মেরাজ তত্ত্বের ইশারা।

সুতরাং ইসলাম, ঈমান, এহসান এই তিন নীতিমালায় সজ্জিত হইল জাকের পার্টি। এই পার্টি ওলী-আল্লাহগনের পার্টি। এই পার্টি জাকেরান, আশেকানদের পার্টি।

এই পার্টির সদস্যগনের কর্তব্যঃ

জাগতিক জ্ঞানচর্চার সাথে সাথে আধ্যাত্মিকতার চর্চার মাধ্যমে নিজেদের মানবিক গুনাবলির বিকাশ সাধন করা।, অন্যদেরকে আধ্যত্মিক জ্ঞানার্জনে উদ্বুদ্ধ করা।, আর্ত্মানবতার সেবা করা।

বর্তমান জামান মুছিবতের জামানা জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে কেবল বিপদ আর বিপদ। অদুর ভবিষ্যতে সারা পৃথিবী ব্যাপী এক রক্তক্ষয়ী বিপদের ইশারা পাওয়া যায়। সেই বিপদে জাকের পার্টি নুহের তরীসম কাজ করবে।

নুহ (আঃ) এর তরীতে যাহারা আরোহণ করিয়াছিলেন, কেবল তাহারাই মহা প্লাবন থেকে বাঁচিয়াছিলেন। তেমনি বিশ্বব্যাপী যে ভয়ংকার বিপদ আসিতেছে, সে বিপদে জাকের পার্টির পতাকা তলে যাহারা সমবেত হইবে অর্থাৎ যাহারা নিজেদের জাহের ওবাতেনকে শরিয়াতের জাহেরি ও বাতেনি পোশাকে সজ্জিত করিবে- তাহারাই কেবল উদ্ধার পাইবে।

কেননা আমার পীর কেবলাজান ছাহেব বলিয়াছেন, বিশ্বব্যাপী লোহার মই টানা হইবে। একমাত্র মোমিন ব্যতীত কেহই বাচিতে পারিবেনা। মোমিন আল্লাহ্‌র কুয়াতের কেল্লায় হেফাজত থাকিবে।

আর মোমিনতো তিনিই যিনি দয়াল নবী (সাঃ) এর আদর্শের পূর্ণ অনুসারী। জাকের পার্টি ক্ষমতা কেন্দ্রিক পার্টি নয়। আদর্শ কেন্দ্রিক পার্টি। রাসুলে পাক (সাঃ) এর পরিপূর্ণ আদর্শ প্রচার করাই এই পার্টির মূল লক্ষ। সে দিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্ব ব্যাপী জাকের পার্টির বিজ্য ডংকা বাজিবে। আল্লাহপাকই সব ভাল জানেন।

হিলফুল ফজুল ও জাকের পার্টিঃ

নবুয়াত প্রাপ্তির আগে হইতেই রাসুলে পাক (সাঃ) মানুষের কল্যাণের পথে আহব্বান করিয়াছেন। আরববাসীগন তখন গোত্রে গোত্রে বিভক্ত ছিল। গোত্রে গোত্রে যুদ্ধে ভয়ানক পরিনতি নামিয়ে আসিত। গোত্রীয় যুদ্ধ কয়েক বছর ধরিয়া চলিত। এমনকি শক্তিশালী গোত্র দুর্বল গোত্রকে অত্যাচার করিয়া নিচিহ্ন করিয়া দিত। এই অবস্থা হইতে তৎকালীন আরবের মানুষদেরকে বাঁচাইবার জন্য, সত্য, ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য তিনি “হিলফুল ফজুল” নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলেন। মক্কানগরীর সৎ ও সত্যচারী যুবকদের লইয়া তিনি এই সংগঠন গড়িয়া তোলেন।

এই সংগঠনের সদস্যগন আল্লাহতায়ালার নামে শপথ গ্রহন করেনঃ

  • আমরা নিঃস্ব, অসহায় ও দুর্বলের সেবা করিব।
  • অত্যাচারীকে প্রাণপনে বাঁধা দিব।
  • দেশের শান্তি ও শৃংখলাকে রক্ষা করব।
  • বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনের চেষ্ঠা করিব।

সবলের অত্যাচার হতে দুর্বলকে রক্ষা করা মানবতার ধর্ম। মানবতা ও জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্বই ইসলামের আদর্শ ও বৈশিষ্ঠ। আল্লাহতায়ালার নৈকট্যের জ্ঞান হইতে দূরে সরিয়া মানবতা যে অন্ধকারে নিপতিত হইয়াছে ও শান্তির ধারা পৃথিবীতে শাসন করিতে উদ্যত হইয়া আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগে মানবতাকে ফিরাইয়া লইবার প্রয়াস পাইয়াছে।

আমার হুজুর হযরত মাওলানা শাহ সুফি খাজাবাবা এনায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ইহা বুঝিতে পারিয়াছিলেন। এই অবস্থা হইতে মানবতাকে মুক্তিদান করিবার জন্য আল্লাহতায়ালার নৈকট্য জ্ঞানে মানুষকে জ্ঞানী করিয়া হযরত রাসুলে করীম (সাঃ) যেমন জাগতিকজ্ঞানের সহিত আল্লাহতায়ালার জ্ঞান ও গুনকে সমন্বিত করিতে চাহিয়া ছিলেন। তেমনি সত্য জ্ঞান ও মানবতার আদর্শে অনুপ্রানিত করিবার জন্য আমার কেবলাজান হুজুর সাহেব জাকের পার্টি সংগঠনের ইঙ্গিত দিয়ে যান।

এই দলের সদস্যগনের উদ্দেশ্য হইল আল্লাহতায়ালার নৈকট্য হাসিল করিয়া তাহার গুনে গুনান্বিত হওয়া, আল্লাহতায়ালার জ্ঞানে জ্ঞানী হওয়া ও মানবতার শ্রেষ্ঠতম গুন যাহা নবী (সাঃ)কে মানব শ্রেষ্ঠ করিয়া ছিলেন সেই আদর্শে চরিত্র গঠনে ও আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন ও নৈকট্য অর্জনের অনুপ্রাণিত করা।

বর্তমান কালের মানুষ যখন আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য ও প্রভাব বিস্তারের অস্ত্রতে পরিনত করিয়া মানবতাকে নিগৃহীত করিতেছে। সত্য ও সুন্দর হইতে মানবতার আদর্শ হইতে মানুষক দূরে সরিয়া যায়তেছে, এই অবস্থায় আমার দয়াল পীর কেবলাজান হুজুরের ইশারা অনুযায়ী হযরত রাসুলে পাক (সাঃ) এর পবিত্র জম্মদিনে ১৪১০ হিজরিতে ১২ই রবিউল আউয়াল মোতাবেক ১৪ই অক্টোবর ১৯৮৯ সালে হযরত রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ অনুযায়ী আল্লাহতায়ালার নৈকট্য হাসিলের মাধ্যে সত্যজ্ঞান ও মানবতার গুনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ কআরিবার জন্য আমার মুরিদানবর্গকে লইয়া জাকের পার্টি গঠন করি।

এই জাকের পার্টি যেদিন গঠিত হয় সেদিন ছিল শনিবার অর্থাৎ সেদিন আমার দয়াল পীর কেবলাজান এই ধরাধামে আবির্ভূত হন। আর যে সময় এই দলের গঠন হয় সে সময় ছিল রহমতের সময় বা রাত্রির শেষ ভাগ। যখন মহা নবী (সাঃ) ও আমার দয়াল পীর কেবলাজান হুজুর-উভয়ই এই ধরাধামে আবির্ভূত হন। আমারা দয়াল পীর কেবলাজান হুজুর ছিলেন দয়াল নবীর (সাঃ) এর গুনে গুনান্বিত।

তদীয় ইচ্ছা অনুযায়ী নবি (সাঃ) এর আদর্শে গঠিত জাকের পার্টির জন্ম লগ্ন, জন্ম তারিখ তাই নবী (সাঃ) এবং আমার দয়াল পীরের জম্ম তারিখ ও জন্মলগ্নে গঠিত হইয়াছে।

জাকের পার্টি নবী(সাঃ) এর সত্য আদর্শ ব্যক্তি, ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে ও সুসংহত করিতে বদ্ধপরিকর।

ইসলাম শান্তি ও মানব কল্যাণের ধর্ম। আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য অর্জনের মাধ্যমে মহান স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পনের, মাধ্যমে মানুষ এই শান্তির সুশীতল ধারার সন্ধান পায়। স্রষ্টার নৈকট্য হাসিলের জন্য মানুষকে হতে হয় সকল মানবিক গুনের অধিকারী ও পবিত্র হ্নদয়ের অধিকারী।

নিজ জীবনে কাম, ক্রোদ, মোহ, মদ, মাৎসর্য, তথা সকল পাপ ও রিপুর পথ থেকে নিজেকে দূরে রাখিতে হয়। যে পথ হযরত রাসুল (সাঃ) সারা জীবন অনুসরণ করিয়াছেন। মক্কা বিজয়ের দিন ক্রীতদাসের সহিত একই উটের পিঠে আরোহণ করিয়া হযরত নবী (সাঃ) দাস পথার উচ্ছেদ করিয়াছেন।

মানুষে মানুষে সাম্য ঘোষনা করিয়াছেন। মক্কা বিজয়ের দিনে ক্ষমতা ও বিজয় নবী (সাঃ) মধ্যে দম্ভ ও প্রতিশোধ পরায়ণতা সৃষ্টি করে নাই। সৃষ্টি করিয়াছেন বিনয় এবং ক্ষমাপরায়নতার। আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য, গুন, ও জ্ঞানের জন্যই নবী (সাঃ) এর মধ্য এই বিনয় ও সত্যপরায়নতা সৃষ্ট হইয়াছিল। আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ব্যতিরেকে বিজয় ও ক্ষমতা মানুষের যে কতখানি নিপীড়নকারী ও প্রতিশোধ পরায়ন করিতে পারে তাহার উদাহরনের ইতিহাস এত অধিক যে তাহার জন্য নিদিষ্ট কোণ উদাহরনের প্রয়োজন নেই।

বর্তমান জামানার মানুষের শক্তি বাড়িয়াছে, কিন্তু আল্লাহতায়ালার নৈকট্য হাসিলের আকাংকা বাড়ে নাই। তাই মানুষে মানুষে সম্প্রিতি নাই, উৎপীড়ন নিপীড়ন বাড়িয়াছে-যাহা বলিতে গেলে এক নব্য অন্ধকার যুগ।

বর্তমান নব্য অন্ধকার যুগ হইতে যদি বাচিতে চাও, তবে রাসুলে পাক (সাঃ) এর আদর্শে প্রতিষ্ঠিত জাকের পার্টির পতাকা তলে সমবেত হইয়া নবী (সাঃ) এর সম্পূর্ণ শিক্ষানুযায়ি নিজেদেরকে গড়িয়া আগাইয়া আস।

হযরত খাজা এনায়েতপুরী বলিয়া গেছেন যে, বর্তমান জামানায় নবী (সাঃ) এর সম্পূর্ণ ও সত্য আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য ইমাম মেহদী (আঃ) আল্লাহতায়ালার ইঙ্গিতে আবির্ভূত হইবেন। আল্লাহতায়ালার তরফ হইতে যে ইঙ্গিত জামানার ওলী আল্লাহগন লাভ করিতেছেন, তাহাতে বুঝা যায়, হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আবির্ভাবের সময় আসন্ন। আর হযরত ইমাম মেহেদী (আঃ) এর আবির্ভাব হইবে হযরত মুজাদ্দেদ আলফেসানি (রাঃ) সাহেবের সত্য তরিকায়।

তাই তোমরা যদি আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভ করিয়া আদর্শ মানুষ হইতে চাও, হযরত ইমাম মেহদী (আঃ) এর আশ্রয় পাইয়া বর্তমান জামানার অত্যাসন্ন কঠিন মুসিবত হইতে বাঁচিতে চাও, তবে দয়াল পীর কেবলাজানের আদর্শ আঁকড়াইয়া ধর। হযরত পীর কেবলাজানের আদর্শে প্রতিষ্ঠিত জাকের পার্টির পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হও।

সূত্রঃ “বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী ছাহেবের পবিত্র নছিহত শরীফ হতে”

আরো পড়ুন:

  1. পীরজাদা আলহাজ্জ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী
  2. আদাবুল মুরিদের সবগুলা নসিহত একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন…
  3. দয়াল-নবী (সাঃ) এর খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ।
  4. গোটা পৃথিবীতে লোহার মই টানা হবে! বাঁচার উপায়। (শাহ্সুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী)