দয়াল-নবী (সাঃ) এর খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ।

মােনাজাত শেষ করিয়া আপন আপন চক্ষু বন্ধ করিয়া খাজাবাবার পাক দেলের সহিত দেল মিশাইয়া পীরানে পীরদের পাক দেলের ওছিলা লইয়া, হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) এর পাক দেলের ওছিলা লইয়া মহান খােদাতায়ালার জাতপাকের দিকে দেলকে মােতাওয়াই করিবে।

→ ওছিলা ধরিবার নিয়ম দ্রষ্টব্য

অতঃপর খেয়াল করিবে রাসূলে পাক (সাঃ) এর খাছহােব এক মহব্বতের ফয়েজ আল্লাহর কুওতে রাসূলে করিম (সাঃ) পাক দেল হইয়া পীরানে পীরদের দেলের ওছিলায় খাজাবাবার পাকদেল হইয়া তােমাদের দেলে আসিতেছে।

দেল সাফ হইতেছে ঐ সাফ দেলে খেয়াল করিবে, আনওয়ারে জেকেরে এলাহিয়ার ফয়েজ আল্লাহর কুওত,লজ্জত মহব্বতের সাথে ভরিয়া মুর্দা দেল জেন্দা হইয়া লতিফায়ে কালবে এসমে জাত আল্লাহ আল্লাহ জেকের জারী হইতেছে। ইহাই জোহর নামাজের পরের ওজিফা। এই হালাতে আছরের নামাজ পর্যন্ত থাকিবে।

আসরের নামাজ ও তওবা কবুলিয়াতের ফয়েজ: খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহতায়ালাকে হাজের নাজের ওয়াহেদ জানিয়া হুজুরে কালবে আসরের নামাজ আদায়ান্তে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ খেয়াল করিবে।

এই আসরের নামাজের সময়েই আল্লাহপাক হযরত আদম (আঃ) এর তওবা কবুল করিয়াছিলেন এবং মাগরিবের সময়ে বাবা আদম (আঃ) তাহার তওবা কবুলিয়তের সংবাদ পাইয়াছিলেন। তাই আসর হইতে মাগরিব নামাজের সময় পর্যন্ত তওবা কবুলিয়াতের ফয়েজ ওয়ারেদ হয়।

এখনও হজের সময়ে হাজীরা আরাফাতের মাঠে জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করিয়া নামাজ শেষে তওবা করেন। কাজেই তােমরা আসর নামাজ শেষ করিয়া আপন আপন চক্ষুদ্বয় বন্ধ করিয়া খাজাবাবার পাক দেলের সহিত দেল মিশাইয়া অন্যান্য পীরানে পীরদের দেলের ওছিলা ধরিয়া ও রাসুলে করিম (সাঃ) দেলের ওছিলা। লইয়া নিজ দেলকে জাতপাকের দিকে মােতাওয়াজই করিবে। 

→ ওছিলা ধরিবার নিয়ম দ্রষ্টব্য

অতঃপর খেয়াল করিবেঃ হকিকতে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ জাত পাক হইয়া দয়াল নবী রাসুলে করিম (সাঃ) ‘এর পাক দেল হইয়া পীরানে পীরদের দেলের ওছিলায় আমার হযরত দয়াল পীরের পাক দেল হইয়া আমার দেলে আসিতেছে।

দেলের জাহের বাতেন, ছফিদায়ে কালব, ৭০ হাজর পর্দার অন্তরালে গােনাহের পাহাড়, গােনাহের তাছির, গােনাহের অন্ধকার, গােনাহের যুলমত, গােনাহ করিবার হাউস সবই তওবার ফয়েজের আগুনে পুড়িয়া ছাই হইয়া নাই হইয়া গেল, দেল সাফ হইয়া গেল।

এই সাফদেলের ঝুলা তওবা কবুলিয়তের মােকামে পাতিবে। খেয়াল করিবে, মাথার চান্দি বরাবর সপ্ত আসমানের উপর আরশে আজিম। আরশে আজিমের উপরে তওবা কবুলিয়তের মােকাম। সেই মােকামে দেলের ঝুলা রাখিয়া কয়েকবার বিনীতভাবে অনুতপ্ত হৃদয়ে নিম্নলিখিত তওবা করিবে।

তওবাঃ আসতাগফেরুল্লাহে রাব্বী মিনকুল্লে জাম্বেও ওয়াতুবু এলাইহে।

মাগরিবের নামাজ ও পাচ প্রকারের ফয়েজঃ মাগরিবের সময়ে নিয়মিতভাবে খেয়াল কালবে ডুবাইয়া, আল্লাহতায়ালাকে হাজের নাজের ওয়াহেদ জানিয়া হুজুরে কালবে নামাজ আদায় করিবে। ফরজ ও সুন্নত নামাজান্তে নিয়মমত দুই রাকায়াত নফল নামাজ পড়িবে। ছওয়াব রেছানী করিবে।

→ নফল নামাজ পড়িবার নিয়ম দ্রষ্টব্য

অতঃপর: ফাতেহা শরীফ পড়িয়া ছওয়াব রেছানী করিবে।

→ নফল নামাজের মােনাজাতঃ

ফাতেহা শরীফ পড়িবার নিয়ম দ্রষ্টব্য:

অতীব আদরের সাথে বসিয়া মনোযোগ সহকারে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহসহ নিম্নের ফাতেহা শরিফ পড়িবে।

(১) প্রথমে তওবা করিবে-“আস্তাগ ফিরুল্লাহে রাব্বী মিন কুল্লে জাম্বেও ওয়া তুবু ইলাইহে”- সাত (৭) বার।

(২) অতঃপর বিসমিল্লাহসহ সূরা ফাতেহা (আলহামদু…) পড়িবে- তিন (৩) বার।

(৩) তারপর বিসমিল্লাহসহ সূরা এখলাস (কুলহু আল্লাহ…) – দশ (১০) বার।

(৪) তারপর দরুদ শরীফ- এগার (১১) বার পড়িবে।

দরুদ শরীফ – “আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যেদেনা মোহাম্মদেও ওয়াছিলাতী ইলাইকা ওয়া আলেহী ওয়াছাল্লেম।”

অতঃপর মােরাকাবা মােশাহেদা শিক্ষা করিবার জন্য বসিবে। এই সময় পাঁচ প্রকারের ফয়েজ ওয়ারেদ হয়।

১। হকিকতে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ।

২। কুওতে এলাহিয়ার ফয়েজ।

৩। রাসূলে করিম (সাঃ) এর খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ।

৪। আল্লাহপাকের খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ। এবং

৫। আনােয়ারে জেকেরে এলাহিয়ার ফয়েজ প্রথমে আপন আপন চক্ষুদ্বয় বন্ধ করিয়া যথারীতি ওছিলা ধরিয়া দেলকে জাতপাকের দিকে মােতাওয়াজ্জুহ করিবে।

ওছিলা ধরিবার নিয়ম দ্রষ্টব্য

অতঃপর উল্লেখিত ফয়েজ সমূহ খেয়াল করিবে।

প্রথমে খেয়াল করিবেঃ হকিকতে তওবা কবুলিয়তের ফয়েজ জাত পাক হইতে দয়াল নবী (সাঃ) এর পাক দেল হইয়া পীরানে পীরদের দেলের ওছিলায় খাজাবাবার দেল হইয়া তােমাদের দেলে আসিতেছে। দেল সাফ হইতেছে।

তারপর খেয়াল করিবেঃ দোসরা দায়েরা হইতে কওতে এলাহিয়ার ফয়েজ জাতপাক হইয়া দয়াল নবী (সাঃ) এর পাক দেল হইয়া পীরানে। পীরদের দেলের ওছিলায় খাজাবাবার দেল হইয়া তােমাদের দেলে আসিতেছে। দেল ভরিতেছে। দেলের জাহের-বাতেন, ছফিদায়ে কালব, ৭০ হাজার পর্দার অন্তরালে গােনাহের পাহাড়, গােনাহের তাছির, গােনাহের অন্ধকার, গােনাহের জুলমত, গােনাহ করিবার হাউস কুওতের মুগুরে চূর্ণ বিচূর্ণ হইয়া ছাকিয়া ছাকিয়া ছলব হইয়া নাই হইয়া গেল।

মাথার চান্দি হইতে পায়ের তলা পর্যন্ত যত রকমের রােগ শােক, বালা-মুছিবত, তােমাদের ছেলে-মেয়ে, বিবি-বাচ্চা, আত্মীয়স্বজনের মাথার চান্দি হইতে পায়ের তলা পর্যন্ত যত রকমের রােগশােক, বালা-মুছিবত, তকদীরের বুরাই জেন-ভূত, দেও-দানবের তছর-তাছির, তােমাদের বাড়ী-ঘর বিত্ত-ব্যাসাদ, মাল-সামানের উপর যত রকমের মুছিবত, দুশমনের দুশমনি, মােনাফেকের মােনাফেকী। শয়তানের শয়তানী, তাবিজ-তুমারের গুণগ্রাম, উপস্থিত আয়েন্দা বালামুছিবতের গুনগ্রাম, ছিটা-ফুটা, হুনুর-হেকমত, বিপদ-আপদ-সমস্তই আল্লাহর কুওতের মুগুরে চূর্ণ-বিচুর্ণ হইয়া ছাকিয়া ছাকিয়া ছলব হইয়া নাই হইয়া গেল।

দেল সাফ হইয়া গেল। অতঃপর খেয়াল করিবে, আসমান জমিন আল্লাহর কুওতের ফয়েজ ঘিরিয়া ও ভরিয়া, তােমাদের মাথার চান্দি হইতে পায়ের তলা পর্যন্ত কুওতের ফয়েজে ঘিরিয়া ও ভরিয়া, তােমাদের বাড়ী-ঘর, বিত্ত ব্যাসাদ, মালছামানা, বিবি বাচ্চা, সকলেই এবং সব কিছুই আজকের সন্ধ্যা হইতে সকাল পর্যন্ত কুওতের কেল্লায় হেফাজতে আছে এবং আছি।

এই ভাবে নিজেদেরকে দিনে দুইবার (সন্ধ্যায় ও সকালে) কুওতের ফয়েজে কেল্লাবন্দি করিয়া রাখিবে। যদি প্রতিদিন দুইবার নিজেদেরকে কেল্লাবন্দি রাখিতে পার। তবে নিশ্চিত করিয়াই বলা যায় যে, তােমাদিগকে কেহই কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না। 

অতঃপর খেয়াল করিবে, রাসূলে পাক (সাঃ) এর খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ আলাহর কুওতে রাসূলে পাক (সাঃ)-এর পাক দেল হইয়া সমস্ত পীরানে পীরদের পাক দেলের ওছিলায় খাজাবাবার পাক দেল হইয়া তােমাদের দেলে আসিতেছে, দেলে সাফ হইতেছে। সাফ দেলে খেয়াল করিবে, আল্লাহর খাছ হোব্বো এশক মহব্বতের ফয়েজ আলাহর জাত পাক হইয়া রাসূলে পাক (সাঃ) এর পাক দেল হইয়া পীরানে পীরদের দেলের ওছিলায় খাজাবাবার দেল হইয়া তােমাদের দেলে আসিতেছে। দেল সাফ হইতেছে।

অতঃপর সাফ দেলে খেয়াল করিবে, আনােয়ারে জেকেরে এলাহিয়ার ফয়েজ আলাহতায়ালার কুওত লজ্জত মহব্বতের সাথে ভরিয়া মোর্দা দেল জেন্দা হইয়া লতিফা কালবে এসমে জাত আল্লাহ আল্লাহ জেকের জারী হইতেছে।

অতঃপর সকলে মিলিয়া গজলের তালে তালে কিছুক্ষণ জেকেরে কালবীতে ডুবিয়া থাকিবে।

এশার নামাজঃ মাগরিবের নামাজান্তে এশার নামাজ। নিয়মিতভাবে খেয়াল কালবে কালব আল্লাহর দিক, আল্লাহ হাজের নাজের খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আলাহতায়ালাকে হাজের নাজের ওয়াহেদ জানিয়া হুজুরী কালবে এশার নামাজ আদায় করিবে। এশার ওয়াক্তের ফরজ ও সুন্নত নামাজের পরে পূর্বোল্লেখিত নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়িয়া ছওয়াব রেছানী করিবে। 

→ ছওয়াব রেছানীর নিয়ম দ্রষ্টব্য। 

অতঃপর বেতের নামাজ পড়িবে বেতের নামাজান্তে গায়রাতের ফয়েজ খেয়াল করিবে।

বিঃদ্রঃ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতি, (পৃষ্ঠা- ৪৪,৪৫,৪৬,৪৭) হতে সংগৃহীত

আরো পড়ুন:

→ নফল নামাজের মােনাজাতঃ

→ অছিলা ধরিবার নিয়মঃ – বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতি

→ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতির সব গুলো অধ্যায়

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel