আলী না থাকলে ওমর ধ্বংস হয়ে যেত!
হযরত ওমর (রা.) কোন কঠিন সমস্যায় পড়লে এবং সমাধান করতে না পারলে হযরত আলী (আ.)-এর দ্বারস্থ হতেন এবং তিনি খুব সহজেই তার সমাধান করে দিতেন। হযরত আলী (আ.)-এর অগাধ জ্ঞান হতে হযরত আবু বকর (রা.)-এর খেলাফতকালের স্বল্পতার কারণে সামান্য উপকৃত হয়েছিলেন এবং হযরত ওসমান (রা.)-এর একগুঁয়েমি, স্বজন প্রীতি, ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এবং কূটবুদ্ধিসম্পন্ন ও কুপ্রবৃত্তিসম্পন্ন মুনাফিক চেলা-চামুণ্ডাদের হস্তক্ষেপের কারণে হযরত আলী (আ.)-এর উপদেশ গ্রহণ করতে পারেননি। যদিও কখনো তাঁর উপদেশ গ্রহণ করেছেন তাতে হযরত ওসমান (রা.) উপকৃত হতেন। এ বিষয়ে হযরত ওমর (রা.) মোটামুটি ভাল উপকৃত হয়েছিলেন।
হযরত আলী (আ.) সম্পর্কে হযরত ওমর (রা.) নিজেই বলেছেনঃ-
“আলী (আ.) হলেন আমাদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী, বিশেষ করে বিচার কার্যে।”
রাসুল (সা.) ও হযরত আলী (আ.) সম্পর্কে বলেছেনঃ
‘আকজাহুমআলীউন’ অর্থাৎ- আলী হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক।
আত তাবারী আশশাফী তাঁর “রিয়াজ আন নাদিরা” দ্বিতীয় খণ্ড, মিশর এবং মুনাবী আশশাফী তাঁর “জামি আস সগির” মিশর ৬ষ্ঠ খণ্ড হতে জানা যায় মুনাফিক মুয়াবিয়াও তার এক লোককে হযরত আলী (আ.)-এর বিষয়ে বলেছিল যে, “ওমর কোন কঠিন সমস্যায় পড়লে আলীর দ্বারস্থ হতেন এবং আলী তা সমাধা করে দিতেন।”
ইবনে সা’দ, কুতায়বাহ প্রথম খণ্ড, ২০২ পৃষ্ঠা, খতিব আল খাওয়ারাজমী আল হানাফী তাঁর “মানাকিব আলী ইবনে আবি তালিব” ৩৯ পৃষ্ঠা আল মুনাবী আশশাফী তাঁর “জামি আস সগির” ৪র্থ খণ্ডের ৩৫৬ পৃষ্ঠায় হযরত ওমর (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ
“আলী ইবনে আবিতালিবের মতো আরেকজন গর্ভে ধারণ ও প্রসব করার ক্ষমতা নারীকূলের কারো নেই।আলী না থাকলে ওমর ধ্বংশ হয়ে যেত।”
সূত্রঃ ‘বেহুঁশের চৈতন্য দান’ কাজী বেনজির হক চিশতী নিজামী, পৃষ্ঠা- ৩০৯-৩১০।