হোমপেজ আমল ও ওজিফা গোটা পৃথিবীতে লোহার মই টানা হবে! বাঁচার উপায়। (শাহ্সুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী)

গোটা পৃথিবীতে লোহার মই টানা হবে! বাঁচার উপায়। (শাহ্সুফি খাজাবাবা ফরিদপুরী)

303

কেবলাজান হুজুর নসিহত দিতে গিয়ে
একদিন বললেন:
“বাবা!
অচিরেই গোটা পৃথিবীতে
লোহার মই টানা হবে
মু’মিন ছাড়া কেউ সেই গজব
থেকে রেহাই পাবেনা”

“বাবা!
এমনিভাবে গজব
আসতে শুরু করবে যেমনিভাবে
তসবিহ এর দানা একটার পর
একটা আসতে থাকে
ঠিক তসবিহ
এর দানার মতো গজব আসতে শুরু করবে।

সেই গজব থেকে যদি বাঁচতে চাও তরিকতের ওজিফা কালাম যেন ভুলোনা, আপন পীরের কদমকে নূহের তরী মনে করে শক্ত করিয়া ধর।

কেবলাজান হুজুরের ভবিশ্যতবানী গুলো আজ প্রতিফলিত হচ্ছে!

আজকে অষ্ট্রেলিয়ায়-দাবানল-বন্যা-ভাদুড়ের প্রাদুর্ভাব পৃথিবীব্যাপি ঘুর্ণিঝড়, সাইক্লোন, ভুমিকম্প, ভূমিধ্বস, জ্বলোচ্ছাস!!

ক্যান্সার, এইডস, ডায়াবেটিকস, বিশেষ করে পৃথিবীব্যাপি করোনার মহামারী,, মহামারীর ভিতর দিয়েই গোটা পৃথিবীব্যাপি পঙ্গপালের মহা বিপদ সংকেত!

প্রিয় জাকের ও সুন্নি ভাইয়েরা!
পৃথিবীব্যাপি এই গজবের দৃশ্য দেখে
কেবলাজান হুজুরের কথাগুলো বারেবার মনে পড়ছে!

আহ! আজ যদি আমার খাজাবাবা আমাদের মাঝে হায়াতে জিন্দেগীতে থাকতেন…! (হাকিকতে অবশ্যই আমাদের মাঝে আছেন)।

হুজুর কেবলাজান নিজেই আমাদের নিয়ে রহমতের সময় দুই হাত তুলে আল্লাহর নিকট কাঁদতেন আর বলতেনঃ

আল্লাহ!
মুসলমানরা বড় অসহায়
মুসলমানরা বড় নিরহ
কেঁদে কেঁদে আরো বলতেন হে আল্লাহ!
আমার মুরিদান গরিব
আমার মুরিদান অসহায়
এরা তোমাকে ডাকার মতো ডাকতে পারেনা
তাই বলে আমার মুরিদানকে গজবের মধ্যে ফেলে দিওনা
বড় বড় মসিবত দিয়ে তাদের
পরিক্ষা করোনা
আল্লাহ তুমি সবাইকে মাফ করে দাও!

কিন্তু সেই বান্ধবকে আমরা হাড়িয়ে ফেলেছি!
কোথায় পাব সেই বান্ধবকে?
কে দেখবে আমাদের চোখের পানি?
কে বলবে বাবা তোদের চিন্তা নাই?
কে বলবে?

আজকে নিজের অজান্তেই বুক ফাটা চিৎকারে কলিজা ফেটে যাচ্ছে কত জাকেরের শুধু বিরহ ব্যথায়!

কোথায় সে বান্ধব? কোথায় হারালাম?
কোথায় গেলে পাব সেই বান্ধবকে?

শত প্রশ্নের একটাই উত্তর
হুজুর আমাদের মাঝেই আছেন!
হুজুর আজও নালিশ শুনেন,
স্বপ্নের ঘরে সমাধান দিয়ে যায় আপন মনে।

তাই বলি চিন্তা নেই পেরেশানির প্রয়োজন নেই
ভয়েরও বা কি কারন?
আমাদের শুধু প্রয়োজন খাজাবাবার হুকুম গুলো মেনে চলা,

(১) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি তরিকতের ওজিফা,
ও পাক-কালাম ফাতেহা শরিফ ঠিকঠাক মতো পাঠ করা।

(২) আর খতম শরিফ যেন কাজা না হয়
সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতেই হবে..!

(৩) রাতের শেষ ভাগে তিনটার সময় উঠে রহমত পালন যেন কোনো ভাবেই যেনো কাজা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা!

কেননা হুজুর কেবলাজান বলেছেনঃ
বাবা!
যে নাকি খতম শরিফ পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তাকে একশত (১০০) প্রকার বালা-মসিবত থেকে হেফাজত করেন!

কেবলাজান হুজুর আরো বলতেনঃ
বাবা!
তরিকতের ওজিফা কালাম আদায় করে বুকে টোকা দিয়ে চলবেন এমন কোন শক্তি নাই আপনাদের একটা পশম ইলাতে পারে!

(“খতম শরিফ” এই আমলটি
“নকশবন্দিয়া মোজাদ্দেদিয়া” তরিকার আমল কুরআন সুন্নাহ দ্বারা স্বীকৃত তাই যে কেউ আমল করতে পারেন)।

পাক-কালাম ফাতেহা শরীফ পাঠ করার নিয়মাবলি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-

অতীব আদরের সাথে বসিয়া মনোযোগ সহকারে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহসহ নিম্নের ফাতেহা শরিফ পড়িবে।

(১) প্রথমে তওবা করিবে-“আস্তাগ ফিরুল্লাহে রাব্বী মিন কুল্লে জাম্বেও ওয়া তুবু ইলাইহে”- সাত (৭) বার।

(২) অতঃপর বিসমিল্লাহসহ সূরা ফাতেহা (আলহামদু…) পড়িবে- তিন (৩) বার।

(৩) তারপর বিসমিল্লাহসহ সূরা এখলাস (কুলহু আল্লাহ…) – দশ (১০) বার।

(৪) তারপর দরুদ শরীফ- এগার (১১) বার পড়িবে।

দরুদ শরীফ – “আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যেদেনা মোহাম্মদেও ওয়াছিলাতী ইলাইকা ওয়া আলেহী ওয়াছাল্লেম।”

“বিশ্বজাকের মঞ্জিলের পরিচালনা পদ্ধতি” হতে সংগৃহীত।

খতম শরিফ পালন করার নিয়মাবলি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-

বিসমিল্লাহ সহ একশত (১০০) বার নিম্নের দরুদ শরীফ পড়িবে।

দরুদ শরীফঃ “আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যেদেনা মোহাম্মদেও ওয়াছিলাতী ইলাইকা ওয়া আলেহী ওয়াছাল্লেম।”

অতঃপর পাঁচশত (৫০০) বার “লা হাওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”-পড়িবে।

পুনরায় উপরে উল্লেখিত দরুদ শরীফ- “আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যেদেনা মোহাম্মদেও ওয়াছিলাতী ইলাইকা ওয়া আলেহী ওয়াছাল্লেম” একশত (১০০) বার পড়িবে।

এই সাতশত (৭০০) বার খতম শরীফ পড়িয়া তরিকার ইমাম, হযরত শায়খ আহমেদ সেরহিন্দী, মোজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবকে নজরানা দিবে।

“বিশ্বজাকের মঞ্জিলের পরিচালনা পদ্ধতি” হতে সংগৃহীত।

রাতের শেষভাগে রহমত পালন করার নিয়মাবলি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-

খেয়াল করিবে, রহমতের ফয়েজ জাতপাক হইয়া রাসূলে পাক (সাঃ) এর পাক দেল হইয়া সমস্ত পীরানে পীরগণের দেলের অসিলায় আমার হযরত দয়াল পীরের পাক দেল হইয়া আমার দেলে আসিতেছে, দেল ভরিতেছে।

দেলের জাহের বাতেন, ছফিদায়ে কালব, ৭০ হাজার পর্দার অন্তরালে গোনাহের পাহাড়, গোনাহের তাছির, গোনাহের অন্ধকার, গোনাহের জুলমত, গোনাহ করিবার হাউস, সবই রহমতের ফয়েজের ঢলে নাই হইয়া গেল; রহমতের ফয়েজের পানিতে দেল ধুইয়া সাফ হইয়া গেল।

সেই সাফ দেলে খেয়াল করিবে, আনোয়ারে জেকের এলাহিয়ার ফয়েজ আল্লাহর কুওত, লজ্জত, মহব্বতের সাথে ভরিয়া মুর্দা দেল জেন্দা হইয়া লতিফা কালবে এসমে জাত আল্লাহ আল্লাহ জেকের জারী হইতেছে।

তদসংগে খেয়াল করিবে-মাথার চান্দি হইতে পায়ের তলা পর্যন্ত ৩৩ কোটি লতিফা দিয়া আল্লাহর জেকেরের ঝাজ বাহির হইতেছে। অতঃপর ফজরের নামাজের পূর্বক্ষন পর্যন্ত জেকেরে মশগুল থাকিবে। গজলের তালে তালে জেকের করিবে।

অবশ্য বাড়ীতে একা যখন উঠিবে, তখন রহমতের ফয়েজ খেয়ালান্তে তছবি হাতে মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ জেকের করিবে।

ফজরের নামাজঃ ফজরের আযানান্তে নামাজের জন্য প্রস্তুুত হইবে। খেয়াল কালবে ডুবাইবে, কালব আল্লাহ দিকে, আল্লাহকে হাজের নাজের জানিবে। খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহতায়ালাকে হাজের নাজের ওয়াহেদ জানিয়া হুজুরে কালবে নামাজ পড়িবার জন্য বিণীতভাবে দন্ডায়মান হইয়া সুন্নত ও ফরজ নামাজ আদায়ের পর উপরোক্ত লিখিত ওজিফাসমূহ অবশ্যই আদায় করিবে। প্রথমে ফাতেহা শরীফ পাঠ করিবে।

“বিশ্বজাকের মঞ্জিলের পরিচালনা পদ্ধতি” হতে সংগৃহীত।

আরো পড়ুন:

→ আদাবুল মুরিদের সবগুলা নসিহত একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন…

→ দয়াল-নবী (সাঃ) এর খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ।