হোমপেজ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল খাজাবাবা ফরিদপুরীকে কেনো বিশ্বওলি বলা হয়! বিস্তারিত জানুন।

খাজাবাবা ফরিদপুরীকে কেনো বিশ্বওলি বলা হয়! বিস্তারিত জানুন।

747
খাজাবাবা ফরিদপুরীকে কেনো বিশ্বওলি বলাহয়! বিস্তারিত জানুন।
Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

“বিশ্ব ওলী’’ শব্দটি দু’টি ভাষার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।

“বিশ্ব” শব্দটি বাংলা এবং “ওলী” শব্দটি আরবি। উভয় শব্দে একত্রিত হয়ে উচ্চারিত হয় “বিশ্ব ওলী” হাদিসের ভাষায় যার অর্থ “কুতুব”। বিশ্ব ওলী তাঁকেই বলা হয় যিনি সারা বিশ্বের “ওলী”।

আবার যিনি সকল ওলীগনের সর্দার তাঁকেও “বিশ্ব ওলী” বলা হয়। বিশ্ব ওলীর আরেকটা অর্থ হলো “ছায়্যিদুল আউলিয়া”। অর্থাৎ যাহার বেলায়াতের পাওয়ার সারা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত থাকে তাকেও “বিশ্ব ওলী” বলা হয়।

প্রিয় নবী (সাঃ) এর লকব হল “ছায়্যিদুল আম্বিয়া” বা “ছায়্যিদুল মুরছালিন” এ কারনে রাসুল (সাঃ) কে “বিশ্ব নবী” বলা হয়। অর্থাৎ সকল নবী-রাসুল (আঃ) গনের সর্দার হওয়ার কারনে আল্লাহ্‌র হাবীব (সাঃ) বিশ্ব নবী।

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

ঠিক তেমনি যিনি সকল ওলীগনের সর্দার তাঁকেই “বিশ্ব ওলী” বলা হয়। উল্লেখ্য যে, রাসুলে পাক (সাঃ) এর সাথে আর কোনো ওলী-আউলিয়ার তুলনা হবে না।

শুধু মাত্র সমস্ত আউলিয়াগনের সর্দার বিধায় তাঁকে “বিশ্ব ওলী” বলা হয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন; তিনি বলেনঃ রাসুল (সাঃ) বলেনঃ-

নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা ৩০০জন সৃষ্টি করেন যাদের ক্বাল্ব আদম (আঃ) এর ক্বাল্বের উপর। ৪০জন সৃষ্টি করেন যাদের ক্বাল্ব মুসা (আঃ) এর ক্বাল্ব এর উপর। ৭ জন সৃষ্টি করেন যাদের ক্বাল্ব ইব্রাহিম (আঃ) এর ক্বাল্বের উপর। ৫ জন সৃষ্টি করেন যদের ক্বাল্ব জিব্রাইল (আঃ) এর ক্বাল্বের উপর। ৩ জন সৃষ্টি করেন যাদের ক্বাল্ব মিকাইল (আঃ) এর ক্বাল্বের উপর। ১ জন সৃষ্টি করেন যার ক্বাল্ব ইসরাফিল (আঃ) এর ক্বাল্বের উপর।

দলিলঃ (তারিখে ইবনে আসাকিব, মেরকাত শরহে মেসকাত,১১তম খন্ড,৪০৯ পৃষ্ঠা), (আল হাবীলিল ফাতাওয়া,২য় খন্ড,১৯৮ পৃষ্ঠা), (কানজুল উম্মাল,১২তম খন্ড,৮৮পৃষ্ঠা)।

এই হাদিসে ৩৫৬ জন আউলিয়ার কথা বলা হয়েছে, যাদের ক্বাল্বে মর্যাদা বা ক্ষমতা আলাদা। তন্মোধ্যে একজন ওলীর কথা বলা হয়েছে যার ক্বাল্বের পাওয়ার হযরত ইসরাফিল (আঃ) এর ক্বাল্বের মত।

ফেরেস্তাদের মধ্যে হযরত ইসরাফিল (আঃ) এর আকার সবচেয়ে বড়। হাদিস শরিফে আছে; দুনিয়ার সমস্ত পানি যদি হযরত ইসরাফিল (আঃ) এর মাথায় ঢেলে দেওয়া হয় তাহলে এক ফোটা পানির সমান হবে। (মাজহারি)।

এই কারনেই ঐ একজন ওলীর মর্যাদা বা ক্ষমতা বেশি বোঝানোর উদ্দেশ্যে তাঁকে হযরত ইসরাফিল (আঃ) এর সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে।

কারণ ঐ একজন হল বাকি সকল আউলিয়াগনের সর্দার বা কুতুব যাকে আরবিতে “ছায়্যিদুল আউলিয়া” বলা হয়। যিনি সকল কুতুবগনেরও সর্দার তিনিই মূলত বড় কুতুব বা ‘’কুতুবুল আকতাব” কুতুবের আরেক নাম হল “গাউছ”।

হাদিস শরিফে উল্লেখ আছেঃ নোকাবা হল,৩০০ জন। নোজাবা হল ৭০ জন। আব্দাল হল ৪০ জন। আখইয়ার হল ৭ জন। আমাদ হল ৪ জন। এবং গাউস হল ১ জন।
__(খতিবে বোগদাদ; হাবীলিল ফাতুয়া,২য় খন্ড,৩০২ পৃষ্ঠা)।

সুতরাং প্রমান হলঃ গাউস ১জন যিনি সকল আউলিয়াগনের সর্দার। নবম শতাব্দীর মোজাদ্দেদ আল্লামা ইমাম জালালউদ্দিন সুয়তি (রাঃ) উল্লেখ করেন (কুতুবু হুয়া ওয়াহেদ) অর্থাৎ- ‘কুতুব হয় একজন।’

উভয় বর্ননাকে ব্যক্ত করলে বুঝা যায়, গাউস ও কুতুব একই ব্যক্তি। অর্থাৎ যিনি গাউস তিনিই কুতুব।

হযরত আবু বকর ওয়াছেতী (রঃ) বলেছেন; সকল ওলীগনের সর্দারকে “মুরাদ ফকির” বলা হয়। এই গাউস বা কুতুব বেলায়েতের মাকাম বা স্তর হল সকল আউলিয়াগনের উর্দ্ধে।

গাউছে ছাকালাইন হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) ছিলেন “কুতুব” বা সকল আউলিয়াগনের সর্দার। তেমনিভাবে প্রত্যেক জামানায় একজন “কুতুব” বিদ্যমান থাকেন।

আল্লাহর হাবীব (সাঃ) এরশাদ করেনঃ যখন একজন কুতুব ইন্তেকাল করেন তখন তিনজন আউলিয়া থেকে একজন দিয়ে ঐ স্থান পূরন করা হয়।__(মেরকাত শরহে মেসকাত,১১ খন্দ,৪০৯পৃষ্ঠা।)।

এই প্রেক্ষিতে ইমাম জালালুদ্দিন সুয়তী (রাঃ) বলেনঃ আর যখন ‘কুতুব” ইন্তেকাল করেন তখন নিচের স্তরের ৪ জন থেকে একজন দিয়ে ঐ স্থান পূরণকরা হয়।__(হাবীলিল ফাতুয়া,২য় খন্ড,৩০৪ পৃষ্ঠা)।

তাই কেয়ামত পর্যন্ত কুতুব একজনের পর একজন বিরাজমান থাকবেন এর মধ্যে একজনও কমবে না। যেমন আরেকটি হাদিসে রাসুল পাক (সাঃ) বলেনঃ প্রত্যেক জামানায় আমার উত্তম উম্মত থাকবে ৫০০ জন, আব্দাল থাকবে ৪০ জন। এই ৫০০ জনের এবং ৪০ জনের মধ্যে একজনও কমবে না।__(খতিবে বোগদাদ;হাবীলিল ফাতুয়া,২য় খন্ড,২৯৭ পৃষ্ঠা)।

সংসদে যেমন মন্ত্রীসভা গঠিত হলে তার মধ্য একজন থাকেন প্রধানমন্ত্রী, তেমনি যিনি কুতুব তিনি সকল ওলীদেরও ওলী বা “বিশ্ব ওলী”। মন্ত্রীদের  ক্ষমতা থাকে একটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের উপর কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকে সকল মন্ত্রীদের উপর।

তেমনি ওলীদের ক্ষমতা থাকে একেক রাষ্ট্রের উপর, কিন্তু “কুতুব” বা “বিশ্ব ওলীর” পাওয়ার বা ক্ষমতা থাকে সকল ওলীদের উপরে। একজন প্রধানমন্ত্রী মারা গেলে আরেক জন প্রধানমন্ত্রী হয়। তেমনি একজন “কুতুব” ইন্তেকাল করলে আরেক জন “কুতুব” হবেন এটাই স্বাভাবিক।

খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ‘বিশ্ব ওলী” হওয়ার অনেক নিদর্শন রয়েছে। তন্নোধ্যে বর্তমান বিশ্বে অন্যান্য আউলিয়াগনের দরবার থেকে অনেক খলিফা ও খাদেম সাহেবগন খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট বায়াত হয়েছেন ও তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করে খেদমত করেছেন।

যেমনঃ ফুরফুরা দরবার শরিফের অন্যতম খলিফা “আলহাজ মাওলানা সালাউদ্দিন সাহেব (দাঃবাঃ) যিনি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সম্মানিত খতিব, তিনি খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট মুরিদ হয়েছেন।

ছারছিনা দরবার শরিফের প্রধান খলিফা আলহাজ মাওলানা আজিজুল হক “কায়েদ সাহেব (রঃ)” তিনি প্রায় ৩০০ শত যুবক মুরিদ নিয়ে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট এসেছিলেন।

চরমোনাই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা ইসহাক সাহেব (রঃ) এর বিশিষ্ট খলিফা মাওলানা আমিনুল ইসলাম (সুত্রাপুরী) হাজার হাজার মুরিদসহ খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট মুরিদ হয়েছিলেন।

এমনকি চরমোনাই দরবারের পীর মাওঃ ফজলুল হক সাহেবের আপন মামাত ভাই মাওলানা আব্দুস শুকুর সাহেব খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট বায়াত গ্রহন করেছেন।

এছাড়াও আজমীর শফির, বাগদাদ শরিফ, ছেরহিন্দ শরিফ, দরগায়ে শাহ জালাল (রঃ) ও শাহ মোস্তফা (রঃ) তথা বিভিন্ন দরবারের খলিফা ও খাদেম সাহেবগন বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকটে বায়াত গ্রহন করেছেন।

মদিনা ভার্সিটি, মিশর আল আজহার বিশ্ব বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ফারেগ হওয়া বহু আলিম ও ডক্টরেট খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট বায়াত গ্রহন করেছেন।

এমনকি দেওবন্দ ও হাটহাজারীর বহু আলেমও খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট বায়াত হয়েছেন। বহু মুনাজিরে আজম, মুহাদ্দিস, মোফাচ্ছির, মুফতি, সাহেবগন খাজাবাবা ফরিদপুরীর নিকট বায়াত গ্রহন করেছেন।

সুতরাং বিশ্ব ওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রাঃ) এর বেলায়াতের পাওয়ার বা ক্ষমতা জাগতিক জ্ঞানী-গুনী, সাইন্টিস-বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবিদের নিকট প্রকাশিত। এমনকি অনেক হাজী সাহেবগন প্রত্যক্ষদর্শী যে, হুজুর কেবলাজানের বেলায়াতের ক্ষমতা মক্কা-মদিনা তথা আরব জাহানেও প্রকাশিত।

সিমাহীন সাগরের মাঝে প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় বিপদগ্রস্ত মুরিদ আপন পীরের সাহায্য প্রার্থনার পর, আপন মুরিদকে বেলায়াতের ক্ষমতাবলে রক্ষ করলেন এই ঘটনাটি বিশ্বওলীর বেলায়াতের পাওয়ার বা ক্ষমতা।

ইতালির রুম শহরে বিদ্যুৎস্পষ্ট মুরিদ সন্তান আপন পীরের সাহায্য প্রার্থনার পরে বিশ্ব ওলী খাজাবাবার বেলায়েতের ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেছেন।

আফ্রিকার গহীন জংগলে মানুষখেকো গাছের কবলে এবং সিংগাপুরের মহাশূন্যে বিমান দুর্ঘটনার সময় খাজাবাবা ফরিদপুরীর বেলায়াতের ক্ষতমা প্রকাশিত হয়েছে।

সুতরাং তিনি হলেন যুগ ও জামানাশ্রেষ্ট “বিশ্বওলী” তাই আশেক কবি বলেনঃ

“যুগশ্রেষ্ঠ মহা ওলী আমার বাবা মাওলানা
সু-নজরে চাইলে বাবা দীলের ময়লা থাকেনা”

“কেউ জানেনা কেউ বুঝেনা- করে যে অবহেলা
শেষ জামানার শেষে বাবা-এল-গো সন্ধ্যা বেলা”

বর্তমান বিশ্বে প্রায় অর্ধশতাধিক দেশে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের আনিত সত্য তরিকার প্রচার ও প্রশার মহা ধুমধামে চলিতেছে।

→ খাজাবাবা ফরিদপুরের নামের সাথে কুঃছেঃআঃ কেনো জেনেনিন