হোমপেজ জীবনী ও পরিচিতি নবীপ্রেমের পথিকৃৎ কবি-সাহিত্যিক সূফি জহুরুল হক মোবারকী

নবীপ্রেমের পথিকৃৎ কবি-সাহিত্যিক সূফি জহুরুল হক মোবারকী

320

নবীপ্রেমের পথিকৃৎ কবি-সাহিত্যিক সূফি জহুরুল হক মোবারকী

সূফি লেখক, গবেষক, কবি- কায়ছার উদ্দীন আল-মালেকী

বিংশ শতাব্দীর ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ও নবীপ্রেমের উজ্জ্বল নিদর্শন, হাফেজ মাও. জহুরুল হক মোবারকী আল—কাদেরী (রহ.) বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন স্মরণীয় ও বরণীয় সূফি ব্যক্তিত্ব। এ মহান বুযুর্গ— খোদাপ্রেম, নবীপ্রেম ও আউলিয়ায়ে কেরামগণের শানে প্রেমের কবিতা ও সাহিত্য লিখে বঙ্গদেশে যথেষ্ট সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। এ সাহিত্যকর্ম গুলো মানবের ক্বলবে নবীপ্রেমের চেরাগ জ্বালিয়ে সিরাতুল মুস্তাকিমের সন্ধান যুগিয়েছে।

এ মহান কীর্তিমান সাধকপুরুষ ১৯২১ সালে পুরান ঢাকার চকবাজারস্থ ২নং চুড়িহাট্টা মুসলিম সম্ভ্রান্ত হেকিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সর্ব কনিষ্ট। সর্বাগ্রজ ভ্রাতা মুহাম্মদ ফজলুল হক; কলকাতা হাই কোর্টের প্রসিদ্ধ আইনজীবি ও শরৎচন্দ্র বসুর সহযোগী ছিলেন; পরবর্তীতে ঢাকা হাই কোর্টের বিচারপতি পদে যোগদান করেন। মেজো ভ্রাতা মুহাম্মদ নুরুল হক; একজন ইউনানী চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
পিতা মৌলভী হেকিম জাকারিয়া ছিলেন; নবাব সলিমুল্লাহ সহ নবাব পরিবারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক। পিতামহ ছিলেন মৌলভী হেকিম মোজাফফর হোসেন এলাহী বক্শ। প্রপিতামহ— হেকিম নবী বক্শ ছিলেন; ঢাকার নায়েবে নাজিম এবং তারিখ—ই—নুসরত জঙ্গ প্রণেতা নুসরত জঙ্গের শাসন আমলের সুপ্রসিদ্ধ হেকিম। হেকিম নবী বক্শ ভারতের উত্তর প্রদেশে বসবাস করতেন।

হাফেজ জহিরুল হক (র.)’র বাল্যজীবন এবং শিক্ষাজীবন ভারতের কলকতায় অতিবাহিত হয় এবং পারিবারিক পরিবেশে প্রাথমিক জ্ঞানার্জনসহ উর্দ্দু এবং ফারসি ভাষার বুৎপত্তিগত জ্ঞানার্জন করেন। পরবতীর্তে সুনামধন্য আলেম ও হাফেজের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ পবিত্র কুরআনুল করিম মুখস্থ করেন; তৎপর কুরআন ও হাদিসের জ্ঞানার্জন করেন। এতই প্রতিভাবান ও মেধাশক্তির অধিকারী ছিলেন যে, যেকোন বিষয় একবার পড়লে; তিনি সহজেই আয়ত্ত করতে পারতেন।

খুবই উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। সবসময় সুন্নাত মোতাবেক জীবন—যাপন করতেন। খুবই বিনয়ী ও শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। ভাষাগত দিক দিয়ে ফারসি ও উদ্দুর্ ভাষায় যথেষ্ট পারদর্শি ছিলেন বিধায়; ১২ বছর বয়স তথা ১৯৩৩ সাল থেকেই খোদাপ্রেম ও নবীপ্রেমের কবিতা লিখা শুরু করেন; পাশাপাশি আবৃত্তিও। সেকালে তাঁর লিখিত কবিতা পত্রিকায় ছাপানো হতো এবং স্বকন্ঠে স্বরচিত কবিতাগুলো রেডিওতে প্রচার করা হতো। ভাষাগত ও ব্যাকরণগত শৈল্পিকতা লেখার মানকে আরো সুরভিত করে তুলতো। শ্রম্নতিমধুর কবিতা গুলোর শব্দচয়ন, শব্দগঠন ও শব্দবিন্যাস খুবই ছন্দময় ।

সাহিত্য জগতে তাঁর প্রবেশের কারণ হচ্ছে, তৎকালীন সময়ে তাঁর পিতা স্ব—উদ্যোগে ধমীর্য় ও সাহিত্য বিষয়ক মুশায়েরা মাহফিলের আয়োজন করতেন। অধিকাংশ প্রোগ্রাম তাঁদের বাসায় অনুষ্ঠিত হতো। ঈদের সময়, ধমীর্য় অনুষ্ঠানের সময় এবং বিশেষ—বিশেষ দিন গুলোতে কবিতা পাঠের আসরের আয়োজন করা হত, এটি ছিলো পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা মূলক প্রোগ্রাম।

সূফি জহিরুল হক (র.)’র বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে অন্তরে এশকে এলাহি এবং এশকে মুস্তফা (দ.) বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার কারণে তিনি একজন কামেল পীরের সন্ধানে ছিলেন। যিঁনি তাঁকে মঞ্জিলে মকছুদ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবোর্চ্চ সহযোগিতা করবেন। এক মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি দেখা পেলেন; পাকিস্তানের পেশওয়ার নগরীর শায়খুত তরিক্বত; যিঁনি কাদেরীয়া ও নকশবন্দিয়া তরীক্বার একজন মাশায়খ। কালক্ষেপণ না করে তিনি; শাহ্ সূফি মোবারক শাহ্ (র.)’র হাতে কাদেরীয়া ও নক্সবন্দিয়া সিলসিলায় মুরিদ হন এবং কঠোর সাধনা জীবন অতিবাহিত করেন। আত্মোৎকর্ষিতা অর্জিন হলে; তিনি ইশকে ইলাহী ও হুব্বে মুস্তফা (দ.)—ই আত্মোৎসর্গিত হয়ে ইলমে মারিফতের সত্য নিগূঢ় তত্ত্ব হাসিল করতে সচেষ্ট হন।

সাহিত্য বিষয়ক কবিতা লেখার পাশাপাশি অসংখ্য হামদে বারী তা’আলা, নাতে রাসূল (দ.) ও পীর—আউলিয়াদের শানে মানাক্বাত রচনা করেছেন। সাহিত্যকর্ম গুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ঢাকা প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্বাধিকারী, জনাব আবদুল গফুর ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘গাযালানে হারাম’ একটি দেওয়ান ছাপান; এটি উদ্দুর্ সাহিত্যের উচ্চ মাগীর্য় গুরুত্বপূর্ণ দীওয়ান। তাঁর লিখিত কবিতাগুলো আবৃত্তি করলে মানুষের অন্তরে এশকে এলাহীর জোশ সৃষ্টি হয়। রাসুলুল্লাহ (দ.) কবিতা সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে, কবিতাকে জ্ঞানের বাহক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

রাসুলুল্লাহ (দ.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই কোনো কোনো কবিতায় জ্ঞানের কথা আছে’ (সহিহ বুখারি, হাদিস—৬১৪৫)। রাসুলুল্লাহ (দ.) কবিতা শুনতেন এবং কবিদের উৎসাহ যোগাতেন। রাসুলুল্লাহ (দ.) বিভিন্ন সময় কবিদের জন্য দোয়া করেছেন। যেমন তিনি হাসসান বিন সাবিত (রাদ্বি.) এর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হে হাসসান, তুমি আল্লাহর রাসুলের পক্ষ থেকে প্রত্যুত্তর দাও। হে আল্লাহ! আপনি জিবরাইল দ্বারা তাকে সাহায্য করুন’ (সহিহ বুখারি, হাদিস— ৬১৫২)। কবিতা শুনে রাসূলুল্লাহ (দ.) মুগ্ধ হতেন, মুচকি হাসতেন আবার কবিতা আবৃত্তির সময় কেউ শরিয়ত পন্থী কাজ সমাধা করলে রাসুলুল্লাহ (দ.) রাগ করতেন।

ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডেস্থ (বর্তমানে শেখ বোরহানউদ্দিন কলেজ) পাকিস্তান আমলে ঢাকা কেন্দ্রের রেডিও স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি; ড. আল্লামা ইকবালের একটি নাত সুললিত কণ্ঠে আবৃত্তি করেছিলেন। এ আবৃত্তিতে সবাই মুগ্ধ হয়ে আত্মহারা হয়ে পড়েন। ১৯৪৮ সালে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্; ঢাকায় আগমন করলে ‘রেসকোর্স’ (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মাঠে একটি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি একটি নাত আবৃত্তি করেছিলেন। হাজার হাজার মানুষ তাঁর সুমধুর কণ্ঠের নাত শুনে অভিভূত হয়ে ‘বুলবুল—ই—বাঙ্গাল’ উপাধিতে ভূষিত করেন। হাফেজ জহুর মোবারকী (র.) তৎকালীন পাকিস্তানের রেডিও স্টেশনে ঢাকা, করাচী ও লাহোর বেতার কেন্দ্র থেকে স্বরচিত ও স্বকন্ঠে কবিতা আবৃত্তি করতেন। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের উপস্থিতিতে একটি মোশায়রা মাহফিলে সুললিত কণ্ঠে স্বরচিত ও স্বকন্ঠে কবিতা আবৃত্তি করলে; মাশার্ল সাহেব অভিভূত হয়ে তাঁকে সবার সামনেই বুকে জড়িয়ে নেন।

মানুষকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে পরিচালিত করার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। এমনকি ইলমে তাসাউফকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া জন্য অর্থকড়ি ব্যয় করে ঢাকার বুকে একটি খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। খানকাটি প্রথমে ৫৬, নন্দকুমার দত্ত রোড়ের ‘কাদেরী’ মঞ্জিলে প্রতিষ্ঠা করেন; পরবতীর্তে ১৯৫৯ সালে বকশীবাজার খানকা—ই—কাদেরীয়া স্থানান্তর করেন।

তিনি সর্বদা যিকিরে এলাহি এবং মুস্তফা (দ.)—ই বিভোর থাকতেন। পাশাপাশি খানকাই আগত মেহমান ও ভক্তদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে ৫০০০ (পাঁচ হাজার) বার দরুদ শরীফ পাঠের অনুশীলন শুরু করেন; যা আজ অবধি সাইয়েদ আনোয়ার মুবারকী (মা.জি.আ.) ; চালু রেখেছেন।

অসংখ্য গুণীজনের পদচারণায় মুখরিত ছিলো এ খানকা। এ খানকার সাথে বহু জ্ঞানী গুণী ও বুযুর্গদের যাতাযাত ছিলো; তন্মধ্যে— বরেণ্য ইসলামিক চিন্তাবিদ ও পীর মাশায়েখ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, সরকারী—বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মচারী, উপমহাদেশের উর্দু ও ফার্সী কবি—সাহিত্যিক, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু ও ফার্সী বিভাগের প্রধান ড. আন্দালিব শাদানী, ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি দীন মোহাম্মদ, বিচারপতি মাহবুব মোরশেদ, মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, রাজউক এর তৎকালীন চেয়ারম্যান জি.এ.মাদানী, নবাব খাজা হাসান আসকারী, বিশিষ্ট কবি—সাংবাদিক কায়সার নাদভী, শান্তি নগরের পীর হযরত মাওলানা আবদুল গফুর, ভারতের বিখ্যাত ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ও প্রখ্যাত খানকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, পাকিস্তানের সচিব ও ও.আই.সি এর অন্যতম প্রতিনিধি মাওলানা জামাল মিয়া ফারেঙ্গী মাহলী, ড. নওয়াজ, সৈয়দ ইকবাল আজিম, আসিফ বানারাসী, কায়েৎটুলীর পীর সাহেব মাওলানা সৈয়দ ওমর ফারুক, মাওলানা শফি ফারেঙ্গী মাহলী, বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রথম খতিব হযরত মাওলানা আমিনুল এহসান সাহেব, তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান, ঢাকার ডিসি, ভারতীয় বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রসিদ্ধ খানকা শরীফ ‘রাদুলী শরীফ (লক্ষ্মৌ) এর সাজ্জাদানসীন হযরত শাফাক সাহেব, দরবেশ আহমেদ, লক্ষ্মী বাজারের মিয়া সাহেবের ময়দানের পীর সাহেব সৈয়দ আহম্মদ উল্লাহ্ (র.), নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ঢাকার আজিমপুর নিবাসী জনাব খান বাহাদুর ইয়াসিন খান, ঢাকার বানিয়া নগরের পীর হযরত সাবের সাহেব, আসুদেগানে ঢাকার লেখক হেকিম হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এমনকি আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের সাথেও সুসম্পর্ক ছিল।

এ খানকার প্রতিটি কাজ ছিলো অতি প্রসংশানীয়; যথা— শিষ্টাচারিতা, মেহমানদারিতা, সৌজন্যতা, ভদ্রতা, বিনয়ীতা, বদান্যতা। চন্দ্রমাসিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ বিশেষ মাহফিল গুলো খতমে খাজেগান, ইছমে আজম, হামদে বারি তা’আলা, দরুদ—ই—মুস্তফা (দ.), ধমীর্য় আলোচনা, জিকির—আজকার, কবিতা আবৃত্তি, মরমী সংগীত পরিবেশন, মিলাদ—ক্বিয়াম, দোয়া—মুনাজাত ও তবারুক পরিবেশনের মধ্যদিয়ে ও অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদ্যাপিত হতো; যা আজ অবধি চালু আছে। এ মহৎ কাজটি সমাধা করছেন, তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী সাইয়েদ আনওয়ার মুবারকী (মা.জি.আ.)।

এ মহান আশেকে রাসূল (দ.) বহুমাত্রিক প্রতিভা ও গুণের অধিকারী ছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন, কবি—সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, ভাষাবিদ, হাফেজে কুরআন, প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন, শায়খুত তরীক্বত, সমাজসেবক, দানবীর এবং অসংখ্য দ্বীনি মারকাযের প্রতিষ্ঠাতা ও সহযোগী।

তিনি এ নশ্বর দুনিয়ায় অমর কীর্তি রেখে ২ ই অক্টোবর ১৯৯৩ ইহজগৎ ত্যাগ করে পরকালে যাত্রা করেন। উল্লেখ্য যে, উপমহাদেশের বিখ্যাত আরবী সাহিত্যিক ও ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা— আল্লামা আবদুর রহমান কাশগরী (র.) ছিলেন তার অন্তরঙ্গ বন্ধু। অবসর সময়ে দুই বন্ধু দীর্ঘ আলাপ করতেন এবং উভয়ের মধ্যে ব্যাপক যাতায়াত ছিল। ইন্তেকালের পরও দুই বন্ধুর মাযার একই স্থানে (অর্থাৎ আজিমপুর নতুন গোরস্থানে)।

তাঁর ইন্তেকালে অসংখ্য মানবকুল শোক প্রকাশ করেছেন। তন্মধ্যে— ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উর্দু ও ফার্সী বিভাগ, আজমীর শরীফের ব্যক্তিবর্গ, দিল্লীর হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরবার শরীফের ব্যক্তিবর্গ, হযরত আলাউদ্দিন সাবের পিয়া (কালিয়া শরীফ) এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি গভীর ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।