খাজাবাবার চোখের দৃষ্টিতে পাথর ভষ্ম।
ওলী কুলের শিরোমনি সূফী হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) যখন গভীর ভাবে পরম ধ্যানে ধ্যানমগ্ন হতেন তখন তিনার আদেশ মতো গৃহের দ্বার বন্ধ করে দেওয়া হতো।
খাজাবাবা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) এর অনুমতি ছাড়া গৃহের দ্বার খোলা নিষেধ ছিলো বা কারো পক্ষে খোলার সাধ্য ছিলোনা। সত্যিই অবাক হতেহয় সহীহ দলিল পাঠ করে যখন আতায়ে রাসূল খাজাবাবা খাজাবাবা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহঃ) ধ্যান ভেঙে গৃহ থেকে বের হওয়ার সময় গৃহদ্বারে বড় বড় প্রস্তর খন্ড ফেলে রাখা হতো, যাতে খাজাবাবার ঐশী জোর্তিময় প্রথম চোখের দৃষ্টি উক্ত পাথর খন্ডের ওপর পড়ে বা নিপতিত হয়।
সহিহ দলিল থেকে এটাও প্রমান করা যায় যে, যখন খাজা বাবার প্রথম চোখের দৃষ্টি সেই প্রস্তর খন্ডের ওপর পড়তো বা নিপতিত হতো, তখন সেই প্রস্তর খন্ড গুলো খাজাবাবার চোখের ঐশী তেজে সেগুলো জ্বলে পুড়ে ভষ্ম ও ছাই হয়ে যেতো।
সত্যিই বলতে হয় খাজা বাবার চোখের তেজে কঠিন পাথরও সহ্য করতে পারতো না। এমন ব্যাবস্থা এই জন্যে করা হত যেন খাজাবাবার চোখের পরম তেজে উজ্জ্বেবিত ঐশীগুণ শক্তি কোন সৃষ্ট পদার্থ এর ওপর না পড়ে বা পতিত না হয়। তাহা হইলে সেগুলোও ধ্বংস প্রাপ্ত হতো যা দুনিয়ার জন্যে ক্ষতিকারক হতো বা আশংকা ছিল।
সবশেষে এই টুকুই বলতে চাই যারা ওলী আওলিয়াদের বিরোধীতা করেন তারা ভেবে দেখুন একবার?
সংগৃহীতঃ ইলমে মারেফত (ফেসবুক গ্রুপ)