দুই সহোদর ভ্রাতার মধ্যে যোগ্য মুরিদ যাচাইয়ের পরীক্ষা।

দুই সহোদর ভ্রাতার মধ্যে যোগ্য মুরিদ যাচাইয়ের পরীক্ষা।

কখনও পীরের নির্দেশিত কর্ম করিতে উচিৎ – অনুচিত চিন্তা করিবে না। পীরের আদিষ্ট কর্ম করিতে ভাল-মন্দ চিন্তা করিতে নেই।

দুই সহোদর ভ্রাতা এক কামেলের খেদমত করিত। কনিষ্ঠ ভ্রাতার প্রতি পীরের নেক দৃষ্টি একটু বেশিই পরিলক্ষিত হইত। একদা জেষ্ঠ্য ভ্রাতার পীরের সমীপে কনিষ্ঠের প্রতি পীরের অধিক স্নেহের অভিযোগ তুলিল। পীর ছাহেব তৎক্ষনিকভাবে সেই অভিযোগের ফায়সালা না দিয়া জেষ্ঠ্য কে বলিলেন, “বাবা,আমার উটশালার বড় উটটিকে তুমি দোতলায় লইয়া যাও।”

বড় ভাই পীরের ইশারা না বুঝিয়া আদবের খেলাফ করিয়া বলিয়া ফেলিল, “হুজুর! উট কি দোতলায় উঠিতে পারে? “পীর ছাহেব বলিলেন, “তাইতো বাবা,উটতো দোতলায় উঠিতে পারে না। আচ্ছা, তুমি তোমার ছোট ভাইকে ডাক।” ছোট ভাই আসিলে পীর ছাহেব তাহাকে একই নির্দেশ দিলেন। বলিলেন, “উটটিকে দোতলায় লইয়া যাও।” কনিষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিরুক্তি না করিয়া তৎক্ষনাৎ পীরের নির্দেশ প্রতিপালনের জন্য উটটিকে রশি ধরিয়া টানিয়া দোতলায় নেওয়ার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। মুরীদ রশি ধরিয়া সম্মুখে টানেন। কিন্তু উটটি উপরে না উঠিয়া বরং পিছনের দিকে যাইতে চেষ্টা করে।

বেশ কিছুক্ষণ এই রুপ টানা-হেঁচড়ার পরে, পীর ছাহেব কনিষ্ঠকে নিকটে ডাকিয়া বলেন, “বাবা উট যে দোতলায় উঠিতে পারে না, আমি তাহা ভাল ভাবেই জানি। শুধু পরিক্ষা করিবার জন্য এই নির্দেশ আমি তোমাকে দিয়াছিলাম।” তৎপর জেষ্ঠ ভ্রাতাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “বুঝিলে? কেন আমি তোমার ছোট ভ্রাতাকে এত আদর করি?” ইহার কিছুদিন পরে জেষ্ঠ ভ্রাতার মস্তিষ্ক বিকৃত হইল। আর ছোট ভাই অলী-আল্লাহ হইলেন।

সূত্রঃ শাহসূফি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু:ছে:আ:) ছাহেবের নসিহত প্রথম খন্ড পৃঃ ৩১।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel