মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের শিক্ষা জীবন-এলমে শরীয়ত ও তরিকতের জ্ঞান অর্জন

মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের শিক্ষা জীবন-এলমে শরীয়ত ও তরিকতের জ্ঞান অর্জনঃ

হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেব শৈশব অতিক্রম করিয়া কৈশরে পদার্পণ করিলেন। সুযোগ্য পিতার তত্ত্বাবধানে থাকিয়া অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ হেফজ করেন। অতঃপর পিতার নিকট হইতে এবং সেরহিন্দের অন্যান্য বড় বড় আলেমের নিকট হইতে শরীয়ত ও তরিকত ভিত্তিক কিতাবসমূহ অধ্যায়ন করেন।

মাত্র ১৭ বছর বয়সের মধ্যে এলমে শরীয়ত ও এলমে মারেফাতের জ্ঞানে জ্ঞানী হন।
ডঃ আ.ফ.ম. আবুবকর সিদ্দিক রচিত “বিপ্লবী মুজাদ্দেদ’ নামক গ্রন্থে দেখা যায় যে, হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেব আপন পিতার খেদমত করিয়া চিশতিয়া তরিকার খেলাফত হাছিল করেন।

তৎপর পিতার নিকট হইতে কাদেরিয়া তরিকার সবক নেন এবং পরে তৎকালের কাদেরীয়া তরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দরবেশ হযরত শাহ সেকান্দার (রঃ) এর নিকট থেকে এই তরিকার খেলাফত লাভ করেন।

তৎকালে “কুব্রাবিয়া’ তরিকার খুবই প্রসিদ্ধি ছিল। হযরত মাওলানা ইয়াকুব (রঃ) ছিলেন তৎকালে এই তরিকার প্রসিদ্ধ বুজুর্গ। কিছুদিন হযরত মাওলানা ইয়াকুব (রঃ) ছাহেবের সান্নিধ্যে থাকিয়া হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেব উক্ত “কুব্রাবিয়া’ তরিকার খেলাফতও লাভ করেন।

ইহার কিছুদিন পরে তাহার শ্রদ্ধেয় পিতা ও মোর্শেদ হযরত আব্দুল আহাদ (রঃ) ছাহেব ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের পূর্বে নিজ কালবে রক্ষিত সমস্ত বাতেনী নেয়ামত যোগ্য পুত্রের কালবে প্রদান করিয়া তাহাকে স্থলাভিষিক্ত করিয়া যান।

তৎপর পিতার নির্দেশে তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ তরিকা-তরিকায়ে নকশবন্দীয়ার কামালিয়াত হাছিল করিয়া এলমে শরীয়ত ও মারেফাতের মহা ভান্ডারে পরিণত হন।

খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহ্সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত-৮ এর “মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ)” কিতাব পৃষ্ঠা:-২০ হতে তুলে ধরা হয়েছে।

→ নসিহত: মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ) এর সব গুলো অধ্যায়

আরো পড়ুন:

→ পীরের প্রতি মুরিদের আদব সর্ম্পকে মোজাদ্দেদ আলফেছানী রা: এর উপদেশ

→ সংক্ষিপ্ত ওজিফা সবগুলো পর্ব

→ আদাবুল মুরিদের সবগুলা নসিহত একসাথে

→ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতির সব গুলো অধ্যায়

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel