নক্শবন্দীয়া তরিকার শ্রেষ্ঠত্বঃ
তৎকালীন সময়ে খোদা প্রাপ্তির জন্য যে কয়েকটি তরিকা পদ্ধতির প্রচলন ছিল তাহাদের মধ্যে কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, সাবেরিয়া উল্লেখযোগ্য। সমস্ত তরিকা পদ্ধতির মধ্যে নকশবন্দিয়া তরিকাই খোদাপ্রাপ্তির পথে সবচেয়ে সহজ ছিল।
কারণ অন্যান্য তরিকায় যাত্রা শুরূ হয় আলমে খালক হইতে, আর নকশবন্দীয়া তরিকার যাত্রা শুরূ হয় আলমে আমর হইতে। ফলে আলমে খালকের ছায়ের আপনা থেকেই নকশবন্দিয়া তরিকায় সিদ্ধ হয়।
অন্যান্য তরিকায় বহু বছর কঠোর পরিশ্রমের ফলে যেখানে পৌঁছানো যায়, নকশবন্দীয়া তরিকার শুরূই সেখান হইতে। হযরত বাহাউদ্দিন নকশবন্দ (রঃ) ছাহেব বলেন, “হকের মারেফাত আমার জন্য হারাম, যদি হযরত বায়েজীদ বোস্তামীর শেষ অবস্থা আমার শুরূতে হাছিল না হয়।”
নকশবন্দীয়া তরিকার শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের পিতা হযরত আব্দুল আহাদ (রঃ) ছাহেব মাঝে মাঝেই বলিতেন, খোদাপ্রাপ্তির দুর্গম পথ ও দায়েরার কেন্দ্র কেউ যদি পাইয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহা নকশবন্দীয়া তরিকার ওলীরাই প্রাপ্ত হইয়াছেন।
এই তরিকার নেছবত হাছিল করিবার মত কোন বুজুর্গ তখন না পাইয়া আফসোসের সুরে মাঝে মাঝে বলিতেন, কাশফের দৃষ্টিতে এই তরিকাটি কেন্দ্র এবং রাজপথের মত মনে হয়। কিন্তু বড় আফসোসের বিষয় এই যে, এই দেশে উক্ত তরিকার এমন কোন বুজুর্গ নাই, যাহার নিকট হইতে এই তরিকার নেয়ামত ও বরকত হাছিল করা যায়।”
যাহাই হোক, পিতা হযরত আব্দুল আহাদ (রঃ) এর ভাগ্যে ছিল না বিধায় নকশবন্দীয়া তরিকার নেছবত তিনি হাছিল করিতে পারেন নাই। কিন্তু পিতার নির্দেশে হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেব নকশবন্দীয়া তরিকার নেছবত লাভের আশায় এই তরিকার বুজুর্গের সন্ধান করিতে লাগিলেন।
খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহ্সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত-৮ এর “মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ)” কিতাব পৃষ্ঠা: ২০ ও ২১ হতে তুলে ধরা হয়েছে।
→ নসিহত: মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ) এর সব গুলো অধ্যায়
→ নকশবন্দীয়া-মোজাদ্দেদীয়া তরিকার শাজরায়ে মোবারকঃ
আরো পড়ুন:
→ পীরের প্রতি মুরিদের আদব সর্ম্পকে মোজাদ্দেদ আলফেছানী রা: এর উপদেশ