হোমপেজ ওলীদের কারামত খাজাবাবা ফরিদপুরীর অবিস্মরনীয় কারামত : বুলবুলি পাখি

খাজাবাবা ফরিদপুরীর অবিস্মরনীয় কারামত : বুলবুলি পাখি

392
খাজাবাবা ফরিদপুরীর অবিস্মরনীয় কারামত : বুলবুলি পাখি

কারামত : বুলবুলি পাখি

ফরিদপুর জেলার এক কৃষক, যিনি বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরীর (কুঃ ছেঃ আঃ) একজন মুরীদ, দরবার শরীফে গিয়ে হযরত কেবলাজন হুজুরের কাছে অতি উদ্বেগের সাথে নালিশ জানালেন যে, তিনি তার জমিতে বেগুনের চাষ করেন। কিন্তু ঝাঁকে ঝাঁকে বুলবুলি পাখি এসে সব বেগুন খেয়ে ফেলে, নষ্ট করে ফেলে। লোকটির নালিশ শুনে পীর কেবলাজান খুব অবাক হয়ে মধুর কন্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন বাবা? বুলবুলি পাখি আপনার বেগুন ক্ষেত নষ্ট করে ফেলে কেন?” আগত জাকের ভাই এবার বিস্তারিত সব ঘটনা খুলে বললেন, “হুজুর, আমি জমিতে বেগুনের চাষ করে নিয়্যত করেছিলাম যে, প্রথম ফলনের সব বেগুন হুজুর পাকের দরবারে নজরানা হিসেবে দিয়ে দেব।

কিন্তু প্রথম ফলন খুব ভাল হওয়াতে এবং বেগুনের দামও হঠাত খুব বেড়ে যাওয়াতে নিয়্যত পাল্টে ফেলে মনে মনে ঠিক করলাম যে, এবার না হয় দরবার শরীফে বেগুন নাইবা দিলাম। ভালো মূল্যে এবারের বেগুন গুলো বিক্রি করে পুজি বাড়িয়ে পরবর্তী বছরে বেগুন দরবার শরীফে দিয়ে দেব”। এ পর্যন্ত বলে চাষী একটু ঢোক গিললেন। পরের কথা গুলো বলার আগে হুজুর পাকই জিজ্ঞাসা করলেন, “তারপর কি হলো বলেন।” বেগুন চাষী জাকের ভাই জানলেন যে, দ্বিতীয় দফায় বেগুন গাছে ফুল ধরতে শুরু করলো, তখন কোথা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বুলবুলি পাখি এসে তার ক্ষেতের বেগুন ফুল খাওয়া শুরু করল।

ফলে সেবার ফলনও খুব কম হলো। তাই সেবারও নিয়্যত পাল্টে সিদ্ধান্ত নিলেন যে, এত কম ফলনের বেগুন দরবারে না দিয়ে পরর্বতী ফলনে (তৃতীয় দফায়) যে বেগুন হবে সেগুলো হুজুর পাকের দরবারে নজরানা হিসেবে দিয়ে দেবেন, আর এতে কোন অন্যথা করবেন না। কিন্তু পরবর্তী দফায় হতভাগ্য বেগুন চাষীর কপালের দূর্ভোগ আরো বেড়ে গেল। এবার আগের চেয়েও অনেক বেশী সংখ্যক বুলবুলি পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে বেগুনের শুধু ফুলই নয়, ফুল শুদ্ধ গাছের ডগা পর্যন্ত খেয়ে ফেলল।

ঠোকর দিয়ে সব গাছ একেবারে ছিন্নভিন্ন করে ফেলল। ফলে বেগুন চাষী এখন সর্বস্বান্ত হবার পথে। তাই তিনি বাধ্য হয়ে খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) স্মরণাপন্ন হয়েছেন। উদ্দেশ্য, খাজাবাবা যেন দয়া করে এ মহা মছিবত থেকে উদ্ধারে তার জন্য আল্লাহর দরবারে দু‘আ করেন। সব শুনে হযরত কেবলাজান হুজুর আপন স্বভাবজাত মধুর সুরে বিস্ময়ের কন্ঠে বললেন, “বাবা, বুলবুলি পাখি যে আপনাকে শুদ্ধ খেয়ে ফেলেনি, এটাই আপনার পরম সৌভাগ্য। ওলী আল্লাহদের সাথে মুনাফেকী করা ঠিক নয়”।

তথ্যসূত্রঃ বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) ছাহেবের (কতিপয় অবিস্মরনীয় কারামত) হতে।