শৈশবেই চিশতিয়া তরিকার নেয়ামত প্রাপ্তিঃ
হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের শৈশব কালীন একটি ঘটনা। তিনি তখনও দুগ্ধপোষ্য শিশু। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হইয়া পড়েন এবং রোগাবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। তদীয় মা-বাবা ও আত্মীয় স্বজন তাঁহার জীবন সম্পর্কে হতাশায় পড়েন।
এমন সময় ঘটনাক্রমে হযরত শাহ কামাল কায়থেলী (রঃ) ছাহেব সেরহিন্দ শরীফে তশরীফ আনেন। তাঁহার আগমনের সংবাদ পাইয়া হযরত আব্দুল আহাদ (রঃ) ছাহেব রূগ্ন শিশুকে লইয়া তাহার নিকটে যান। শিশুকে দেখা মাত্রই হযরত শাহ ছাহেব ভাববিহবল অবস্থায় বলিয়া ফেলেন, “আল্লাহতায়ালা এই শিশুর হায়াত দারাজ করূন। এই শিশুর ভবিষ্যত অতি উজ্জল।
পরিণত বয়সে সে একজন আরেফে কামেল ও হক্কানী আলেম হইবে এবং আমার মত হাজার হাজার লোক তাঁহার আত্মিক তালিম দ্বারা অশেষ ফায়েদা হাছিল করিবে। তাঁহার মাধ্যমে খোদাতত্ত্বজ্ঞানের যে আলো সারা দুনিয়ায় ছড়াইবে, তাহা কেয়ামত পর্যন্ত কখনও নিস্প্রভ হইবে না।
যামানার সমস্ত আউলিয়া কেরাম তাঁহার জন্য সপ্রতীক্ষ রহিয়াছেন।” অতঃপর হযরত শাহ ছাহেব তাঁহাকে নিজের ক্রোড়ে লইয়া নিজ পবিত্র জিহ্বা তাঁহার মুখের মধ্যে ঢুকাইয়া দিলেন। শিশু মুজাদ্দেদ (রাঃ) অনেকক্ষণ পর্যন্ত উক্ত জিহ্বা লেহন করেন।
তৎপর শাহ কায়থেলী (রঃ) ছাহেব তাঁহার পিতাকে সান্তনা দিয়া বলেন- ‘‘চিন্তা করিবেন না, ইনশাআল্লাহ শিশু আরোগ্য লাভ করিবে। শিশু চিশতিয়া তরিকার সমস্ত নেয়ামত অর্জন করিল। আল্লাহতায়ালা এই শিশুর দ্বারা অনেক কাজ করাইবেন।”
খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহ্সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত-৮ এর “মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ)” কিতাব পৃষ্ঠা: ১৭ হতে তুলে ধরা হয়েছে।
→ নসিহত: মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ) এর সব গুলো অধ্যায়
আরো পড়ুন:
→ পীরের প্রতি মুরিদের আদব সর্ম্পকে মোজাদ্দেদ আলফেছানী রা: এর উপদেশ