
জন্ম ও জন্মকালীন সময়ে রূহানীভাবে সকল আম্বিয়া ও আউলিয়াকেরামের আগমনঃ
হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেব হিজরী ৯৭১ সালের ১৪-ই শাওয়াল ইংরেজী ১৫৬১ খৃষ্টাব্দ মোতাবেক শুক্রবার, দিবাগত রাত্রি এই নশ্বর নরাধামে আগমন করেন। কিতাবে দেখা যায়, তাহার কুনিয়াত ছিলো আবুল বারাকাত এবং লকব ছিলো বদরদ্দিন।
হযরত মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের জননী বলেন, আমার প্রসব বেদনা শুরূ হইলে এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারাইয়া ফেলি। সেই অবস্থায় দেখিতে পাই যে, উম্মতে মুহাম্মদীর সমস্ত আউলিয়া কেরাম রূহানী ভাবে আমার গৃহে তশরিফ আনিয়াছেন।
অতঃপর আমার একটি পুত্র সন্তান ভুমিষ্ট হয়। এমন সময় আমি একটি গায়েবী আওয়াজ শুনিতে পাই। কে যেন আমাকে বলিলেন, আল্লাহতায়ালা শায়খ আহমদকে সর্ব বিষয়ে কামালিয়াত বা পরিপূর্ণতা দান করিয়াছেন।
মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবের পিতা হযরত আব্দুল আহাদ (রঃ) ছাহেব বলেন-শায়খ আহমদের জন্মোপলক্ষ্যে আমি দেখিতে পাই যে, হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) সকল আম্বিয়ায়ে কেরাম ও অসংখ্য ফেরেশতাসহ আমার গৃহে পদার্পণ করিয়াছেন এবং নবজাত শিশুকে মোবারকবাদ জানাইতেছেন। রাসূলে পাক (সাঃ) নিজেই নব জাতকের কর্ণে আযান ও একামত দিতেছেন।”
খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে শাহ্সূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত-৮ এর “মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ)” কিতাব পৃষ্ঠা: ১৬ ও ১৭ হতে তুলে ধরা হয়েছে।
→ নসিহত: মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ও খাজা বাকীবিল্লাহ (রঃ) এর সব গুলো অধ্যায়
আরো পড়ুন:
→ পীরের প্রতি মুরিদের আদব সর্ম্পকে মোজাদ্দেদ আলফেছানী রা: এর উপদেশ