যার শায়েখ বা মুর্শিদ নেই তার মুর্শিদ হলো শয়তান।

যার শায়েখ বা মুর্শিদ নেই তার মুর্শিদ হলো শয়তান।

হযরত জুনায়েদ বাগদাদী রাহমাতুল্লাহিতা’য়ালা বলেন: “মান লা শায়খুলাহু ফিশ শায়খিশ শায়তান” অর্থাৎ: “যার শায়েখ বা মুর্শিদ নেই তার মুর্শিদ হলো শয়তান।”

রাসুলপাক সাল্লাল্লাহুতা’য়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন:- “মান লা শাইখালাহু লাদ্বীনালাহু” অর্থাৎ: “যে ব্যক্তির শায়েখ বা মুর্শিদ নেই তাঁর ধর্ম নেই।” (মাকতুবাতে খাজা -৩৫ পৃষ্ঠা)।

কাজেই মুর্শিদ বরযোখ ঠিক রেখে রজ্জু ভাবের মাধ্যমে ইলমে মারেফতের শিক্ষা নিলে মুর্শিদের হাকিকত পাওয়া যায়। এবং ঐ হাকিকতে নিহিত আছে আহসান সূরত। বরযোখে ছোগরা নাস্তি হলে বরযোখে কোবরা মিলে। লা সানী সূরতে প্রতি ঘটে তার বিকাশ আছে। কর্তা – কারণ –কর্ম একজনই লীলাময়ী বৈচিত্র তার মাঝে।

আমা হতে সে পৃথক নয়। ভেবে দেখ “আল মুমিনীনা মির রাতুল্লাহ” অর্থাৎ মুমিনগণ (তারা বহু হয়েও এক মানে হিজবুল্লাহ) আল্লাহর দর্পন। তবে অপ্রেমিকের নিকট হতে তালিম নিলে তা সিন্দু পরিমাণ হলেও বিন্দুতে পরিণত হয় আর প্রেমিকের বিন্দু পরিমাণ জ্ঞানই পরিণামে সিন্দুতে পরিণত হয়।

আর ইলমে মারেফত অর্জন হলেই দেখতে পাবে মুর্শিদ রুপে রাসুল, রাসুল রুপে আল্লাহ। আল্লাহ-ইনযুলে মুর্শিদ তথা হুয়ায জাহেরু। আল্লাহপাক চার আকসামেই বিরাজিত। তাই তিনি আউয়াল, আখের, জাহের, বাতেন এই চার অবস্থাতেই স্থিত আছেন। কোরানুল কারিমের মূল বক্তব্যই হল এ মানুষ।

মানুষকে চিনিবার উদ্দেশ্যেই কোরান নাযেল হয়েছে। এ ভেদ যারা বুঝেনি তারা কোরানের কিছুই বুঝেনি, কেবল আক্ষরিক বাইর মুল কালামই শিখেছে যা ইহ লোকের বিদ্যা।

গ্রন্থসূত্র: (আসসারে রজ্জব)।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel