হোমপেজ সকল দলিল গান বাজনা জায়েজের দলিল প্রমান সহ।

গান বাজনা জায়েজের দলিল প্রমান সহ।

8427
Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

গান বাজনা জায়েজের দলিল প্রমান সহ।

যে গান কু-প্রবৃত্তি জাগায় সে গান নাজায়েজ। যে গান আল্লাহর কথা মনে করিয়ে দেয়, ভাল কাজের প্রেরনা জোগায় সে গান জায়েজ।

পবিত্র কোরানে এবং হাদিসে গান বাজনা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য আছে! তাই আমরা গান বাজনাকে হারাম বলার আগে তা আলোচনা করে নিজেদের উক্তি দেওয়া উচিত।

আল্লাহ এবং তার রাসূলের ভক্তদের জন্য গান বাজনা তাদের আত্মার খোরাক। যদি আনন্দ, ফুর্তির জন্য গান বাজনা করা হয়, তা হারাম বলে গন্য হবে!!!

নিম্নে গান বাজনা সম্পর্কে কিছু দলিল দেওয়া হলোঃ

১) আমার রাসূল (সাঃ) এর ইন্তেকালের আগে তার ঋন ক্ষমা চাওয়ার জন্য বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে, ঢোল বাজিয়ে রাসূলের ঋন ক্ষমা চেয়েছিলেন সেদিন! সাক্ষী তার (তাওয়ারীতে মোহাম্মদী)

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

২) খাজা মইনুদ্দীন চিশতী বড় পীরকে গান শুনিয়েছিলেন, নিশ্চয় রাসূলে খোদা পুরুষ প্রধান,, মহা গুনে গুনান্নিত মহা মহিয়ান!! সেদিন আকাশ, জমিন একসাথে নৃত্য করেছিলো খাজা বাবার গানের ছন্দে, সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৪র্থ খন্ড!!

৩) মুসলমানদের জানমালের হেফাযতে রাসূল বিল্লালকে সুসংবাদ দেওয়ার জন্য অনুমতি দিলে, বিল্লাল গলায় ঢোল নিয়ে তা প্রচার করেছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৩য় খন্ড ১৯ পৃষ্ঠা!!

৪) রাসূলের নির্দেশে সেদিন বিল্লাল তার গলায় ঢোল নিয়ে মদকে নিষেধ করেছিলো, কিন্তু ঢোলকে নয়! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ষষ্ঠ খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা!!

৫) খাজা বাবা এবং তার পীর ওসমান হারুনি, খানকার মজলিসে বসে গান শুনতেছিলেন! আসরে ৯ব্যক্তি ছিলো তার মধ্য ২ ব্যক্তির শুধু পোশাক ছিলো, কিন্তু তারা ছিলো না! খাজা বাবা তার পীরকে জিজ্ঞেস করলে, ওসমাম হারুনি বলেন! তারা এস্কের জিকিরে খোদার জাতের সাথে লয় হয়ে গেছে! তারা আর কখনো এ পৃথীবিতে ফিরে আসবে না। সাক্ষী তার (আনিসুল আরোহা) ৮৮ পৃষ্ঠা!!

৬) রাসূল (সাঃ) যখন মক্কা থেকে মদিনায় এসেছিলেন হিযরত করে! মদিনার মেয়েরা সেদিন ঢব বাজাইয়া রাসূলকে গান শুনিয়েছিলেন! রাসূল সেদিন গান কে হারাম বলেন নি,! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড, ২২২পৃষ্ঠা!!

৭) আনসারী মেয়েরা আমার রাসূলের হিযরতের সময় নৃত্য করে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সেদিন রাসূল নিজেই আনন্দিত ছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ২২৩পৃষ্ঠা।

৮) রাসূল (সাঃ) যখন মা আয়েশার ঘরে গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলেন, তখন মদিনার মেয়েরা নৃত্য করে গান গেয়ে নবীর ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছিলেন! আবু বক্কর মেয়েদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতে গেলে, রাসূল তখন আবু বক্কর (রাঃ) কে ধমক দিয়ে তাদের গাওয়াকে উৎসাহ দিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ১ম খন্ড ২৭৭পৃষ্ঠা!!

৯) একদিন জিব্রাঈল রাসূলকে সংবাদ দিলেন, তার গরীব উম্মৎ গন ধনী উম্মতদের ৪শত বছর আগে জান্নাতে যাবে! সেদিন রাসূল খুশি হয়ে বলেছিলেন, তোমাদের মধ্য কে গান জানো? তখন বধুবী নামক এক ব্যক্তি রাসূল সহ ভরা মজলিসে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (কুৎনীত শরীফ) ৩৩৭পৃষ্ঠা!!

১০) রাসূল মূসা নামক তার এক সাহাবীর কন্ঠে গান শুনে, সেদিন বলেছিলেন হে মূসা নিশ্চয় দাউদ নবীর বংশ হতে আমার আল্লাহ তোমাকে এই সুর দিয়েছেন! সাক্ষী তার (মূল বুখারী শরীফ) ৭৫৫পৃষ্ঠা!

১১) সায়মা নামক এক মহিলা আমার রাসূলকে কোলে নিয়ে গান গেয়েছিলেন! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৫ম খন্ড ৫৩-৫৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত তার ব্যাখ্যা দেওয়া আছে!

১২) পবিত্র কাবা তোয়াফ কালে এক রমনী জুনায়েদ বোগদাদী কে গান গেয়ে শুনিয়েছিলেন! সাক্ষী তার (তাযকেরাতুল আউলিয়া) ৩য় খন্ড ১৩৭পৃষ্ঠা!!

১৩) মসজিদে নববী তৈরি করার সময় আমার রাসূল নিজেই তারানা গেয়েছিলো! সাক্ষী তার (বুখারী শরীফ) ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৮ পৃষ্ঠা।

উপরের দলিল গুলো যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয়, তাহলে আপনারা নিজেরাই পড়ে দেখতে পারেন! তবে হ্যাঁ শরিয়তের ইবাদত – নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাতের বেলায় গান বাজনা নিষেধ আছে! কারন তুমি আমার আল্লাকে যেভাবে, যে অবস্থায় স্বরন করো আমার আল্লাহ তাতেই সাঁড়া দিবে।

সেমা/সংগীতের প্রশংসা ও সমর্থনসূচক কিছু হাদিস মৌজুদ আছে।

নিচে কিছু সহীহ হাদিস শরীফের রেফেরেন্স দেওয়া হলঃ

  • বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড ১৩৫ পৃঃ,
  • নেসায়ী শরীফ ১ম খণ্ড ১৮১ পৃঃ,
  • মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড ২৯১ পৃঃ,
  • বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড ১৩০ পৃঃ,
  • মেশকাত শরীফ ২৭৩ পৃঃ,
  • তিরমিজী শরীফ ১ম খণ্ড ২০৭ পৃঃ,
  • মেশকাত শরীফ ৫৫৮ পৃঃ,
  • মেশকাত শরীফ ২৭২ পৃঃ,
  • নেছায়ে ২য় খণ্ড ৭৫ পৃঃ,
  • বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৭৭৩ পৃঃ, (১২), মেশকাত শরীফ ২৭১ পৃঃ,
  • মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড ২৯২ পৃঃ,
  • বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৭৭৫ পৃঃ,
  • তাফসীরে আহমদি-৪০০ পৃঃ,
  • ইবনে মাজা-১৩৮
  • বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৭৫৫ পৃঃ, (১৮)

আরো হাদিসঃ

১। আবু মুসা রাসুল পাক (স.) এর একজন সাহাবী ছিলেন। তিনি সুমধুর সুরে গান করিতে পারিতেন এবং রাসুলপাক (স) কে সময়
সময় গান শুনাইতেন।তাই তার গানের সুরের প্রশংসা করে নবী পাক (স) বলেন, “হে আবু মুসা ,নিশ্চয়ই দাউদের বংশধরের সঙ্গীত হইতে তোমাকে সঙ্গীত প্রদান করা হইয়াছে ।” ( বুখারী শরীফঃ ৭৫৫)

২। হযরত আয়েশা (র) হইতে বর্ণিত যে, আমি একটি স্ত্রীলোকের বিবাহ আনসারের একটি লোকের সাথে করিয়া দিলাম। তখন রাসুল পাক (স) ফরমাইলেন ” তোমাদের নিকট কি কোন গানের বন্দোবস্ত নাই? কারন আনসারগন গান ভালোবাসেন। (বুখারী -রাবি আশায়াতুল লোমায়াত শরহে মিশকাত,৩য় খণ্ড -সোহবত অধ্যায়ের ১০৮ পৃষ্ঠা ), (তাফসীরে আহমদি-৪০১ পৃঃ)।

সেমা/সংগীতের প্রশংসা ও সমর্থনসূচক নিচের কিতাব গুলি দেখুনঃ

  • ইহইউয়াউল উলুম কিতাবে (লেখকঃ ইমাম
    গাজ্জালী রঃ),
  • আওয়ারিফ কিতাবে (বলছেনঃ শেখ সাহাব উদ্দিন সোহরাওয়ার্দী (রঃ)।
  • ইজাজ কিতাব (ইমাম আবু হানিফা রঃ এর সমর্থন),
  • কশফ কিতাবে, ওমদাতুলকারী কিতাবে (ইমাম মালেক রঃ

শানে মাওলা, নাতে রাসুল, শানে মোর্শেদ, শানে অলী-আল্লাহ, শানে নবী রাসুল ইত্যাদী সম্পর্কিত গান ১০০% জায়েজ।

সুতরাং যে গান মানুষের মনুষ্যত্ব জাগিয়ে আল্লাহর পথে পরিচালিত হওয়ার প্রেরনা জোগায় তা সম্পুর্ন জায়েজ। আর যে গানে অপসংস্কৃতি, বিনোদন, এবং ইসলামকে কটাক্ষ করে তা হারাম।