তাজিমী সিজদা ও উম্মতের ঐক্যমত বা ইজমা প্রসঙ্গেঃ
প্রথমে জানুন ইজমা কি।
حضور صلی اللہ علیہ وسلم کی وفات کے بعد کسی زمانہ میں پیش آنے والے مسئلہ کے حکم شرعی پر اس زمانہ کے تمام مجتہدین کا اتفاق کرلینا، تو جب کسی زمانہ میں کوئی مسئلہ پیش آئے اور اس کا حکم شرعی نہ کتاب اللہ میں ہو نہ سنت رسول اللہ میں، اور یہ مسئلہ اس وقت کے مجتہدین کے سامنے پیش کیا جائے، اور تمام مجتہدین قولاً یا فعلاً یا تقریراً یا سکوتاً کسی ایک حکم پر اتفاق کرلیں تو یہ اجماع ہے
ইজমা হচ্ছে রাসূলে পাক (দঃ) এর পর্দা করার পর কোন পেশ হওয়া মাসয়ালার উপর সে যুগের সমস্ত মুজতাহিদ আলেমদের ঐক্যমত্য। চাই সেটা কওল/ফে’ল/ তাকরীর কিংবা মৌন সম্মতির মাধ্যমে হোক। মনে রাখা দরকার, ইজমা হচ্ছে দ্বীনের মানদণ্ড। তাই যেনতেন ভাবে নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেটাকে সেটাকে ইজমা বানিয়ে দেয়া দ্বীন নিয়ে চরম বাড়াবাড়ির নামান্তর। এটা যে কত নিম্ম লেভেলের অপপ্রয়াস এবং দ্বীন নিয়ে যে স্বেচ্চাচারিতা তা আহলে ইলম মাত্রই অবগত।
ইজমা বা উম্মতের ঐক্যমত সংগঠিত হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে সকল আলেমের ঐক্যমত্য। একজন আলেমও অবশিষ্ট থাকলে ইজমা সংগঠিত হবে না। আল্লামা সা’দ উদ্দীন তাফতাজানীর উসূলে ফিকহের বিখ্যাত গ্রন্থ “আত তালবিহ আলাত তাওদ্বীহ” ৩৫৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে-
ويشترط للاجماع اتفاق الكل عندنا لان الحجة اجماع الامة فما بقي احد من الامة لا يكون اجماعا
অর্থাৎ, ইজমা সংগঠিত হওয়ার জন্য সকল আলেমের একমত হওয়া দরকার। কেননা যে ইজমা চার দলীলের অন্যতম দলীল হয় তা সকল উম্মতের ইজমা বটে, এমনকি একজন মাত্রও অবশিষ্ঠ থাকলে ইজমা হবে না। সুতরাং বাংলাদেশের ৩৫ জন আলেম কোন বিষয়ে একমত পোষণ করলে তা ইজমা হয়ে যাবে না। সকল সুন্নী আলেম এ ব্যাপারে একমত আছে কিনা তা দেখতে হবে। আর যাদেরকে নিয়ে ইজমার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে তাৱা কোন বাতিল আক্বিদায় কিংবা রাসূলে পাক (দঃ), আহলে বাইতে রাসূল (দঃ), আউলিয়া কেরামগণের শানে বেয়াদবির অভিযোগে অভিযুক্ত কিনা সেটাও আহলে হক্বদের দেখার বিষয়। ইজমা হয় ঐ সব বিষয়ে যেখানে কোরআন-হাদীসের কোন নস থাকে না।
যেমন ছদরুশ শরীয়াহ আল্লামা উবায়দুল্লাহ বিন মাসঊদ রচিত উসূলে ফিকহের সু-প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “আত তাওজীহ ফী কশফে দাকাইকীত তানকীহ” তে উল্লেখ রয়েছে-
فاذا اتفقوا علي امر لم يوجد فيه صريح الوحي يجب اطاعتهم (التلويح علي التوضيح ١٠٧)
অর্থাৎ, যে বিষয়ে স্পষ্ট নস(খোদার বাণী) নাই, এমন বিষয় সর্বসম্মতিক্রমে স্থিরকৃত হলে অবশ্য তা মেনে নেয়া কর্তব্য বটে। (আত তালবীহ আলাত তাওদ্বী, ১০৭ পৃঃ)।
যে বিষয়টি কোরআনে পাকের নস দ্বারা প্রমাণিত তা হারাম প্রমাণ করার জন্য একতা স্থাপনের দাবির কোন ভিত্তি নেই। যারা এ দাবি করে তারা জাহেল ছাড়া আর কিছু নয়। এ ধরণের ইজমার কথা বেয়াক্কল ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না। (আবারো পড়ুন)।
যে বিষয়ে কুরআনের স্পষ্ট নস আছে সে বিষয়ের বিপরীতে ইজমা প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলা গণ্ডমূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়।
গাজীয়ে দ্বীনও মিল্লাত ইমাম শেরে বাংলা (রহঃ) বলেন,
حکم سجدۂ تحیہ ہم بداں، اختلاف عالماں بس اندر آں –
অর্থাৎ “সিজদায়ে তাহিয়্যাহর বিধানও জেনে নাও, ওটাতে আলিমদের বেশ মতানৈক্য রয়েছে।”
ইমাম শেরেবাংলার উক্তি দিয়েও সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, সিজদাতুত্তাহিয়্যার মাসয়ালা মুখতালাফ ফীহ্ বা মতানৈক্য বিশিষ্ট এবং এই ইখতিলাফ বা মতানৈক্য ফুক্বাহা ও উলামায়ে কেরামদের। আজকালকের ভাইরাল হওয়ার পাগল মোল্লাগুলা কি শেরে বাংলা থেকে বড় মুফতি?
লেখাঃ ছৈয়দ ফখরুল ইসলাম রেজভী।