শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৯
১৬১.
“ঘুমন্ত শৃগাল কখনো শিকার ধরতে পারেনা।”
১৬২.
“চলতি জামানার গজব হইতে যদি বাঁচতে চান তবে, নিশির শেষভাগে সুখের নিদ্রা ত্যাগ করে নিবেদিত মন নিয়ে আল্লাহু তায়ালাকে প্রান ভরে ডাকেন।”
১৬৩.
“যেদিন তামাম দুনিয়ার মানুষ নিশি শেষ ভাগে আল্লাহকে ইয়া আল্লাহু, ইয়া রহমানু, ইয়া রাহিম এই তিন নাম ধরে ডাকবে তখন পৃথীবিতে আগের মত গাছে ফুল, ফল, শশ্য হবে, আকাশ থেকে মিঠা পানি বর্ষিবে, আগের মত স্বাদ ঘ্রান, আগের মত সুখ শান্তি হবে। দুঃখের লেশ মাত্রও থাকবেনা”।
১৬৪.
“ইমাম ছাহেবের (হোসেন রাঃ) মহব্বত হকিকতে দয়াল নবী (সাঃ) এর মহব্বত। কাজেই ইমাম ছাহেবের মহব্বতে যে কাঁদিবে, হকিকতে দয়াল নবী (সাঃ) এর মহব্বতে সে কাঁদিবে। আর রাসূলে পাক (সাঃ) এর মহব্বতে যাহারা ক্রন্দন করিবে, তাহাদের দেল পরিচ্ছন্ন হইবে, তাহাদের জন্য দোযখের আগুন হারাম হইবে।”
১৬৫.
“দয়াল নবী (সাঃ) এর মহব্বতই প্রকৃত ঈমান৷ যার দেলে নবীজী (সাঃ) এর মহব্বত যত বেশী, তার ঈমানও ততবেশী, যার দেলে নবীজী (সাঃ) এর মহব্বত নাই, তার ঈমানও নাই।” – হযরত শাহসূফি খাজাবাবা ফরিদপুরী।
১৬৬.
“খোদাতত্ত্ব সাধনার পথে শুরু হইতে পূর্ণতা অর্জন পর্যন্ত মোর্শেদের সাহায্য ও দয়া ব্যতীত এক চুল পরিমানও অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। তাই মোর্শেদে কামেলের কোন বিকল্প নাই।”
১৬৭.
“বিশুদ্ধ ইবাদতের জন্য প্রয়োজন যাবতীয় শিরক হইতে নিজেকে মুক্ত করা।”
১৬৮.
“আলেম দুই প্রকারঃ
(১) উৎকৃষ্ট আলেম বা হক্কানি আলেম।
(২) নিকৃষ্ট আলেম বা দুনিয়াদার আলেম বা মোনাফেক আলেম”
১৬৯.
“একটি মুরগী তাহার নিজের পাখার নীচে রাখিয়া আপন বাচ্চাকে কাক, চিল প্রভৃতি দুশমনের হাত হইতে বাঁচায়, তেমনি পীরে কামেলও তদীয় তাওয়াজ্জুহর পাখার নীচে রাখিয়া আপন মুরীদ সন্তানকে শয়তান রূপ দুশমনের হাত হইতে বাঁচাইতে পারেন।”
১৭০.
“মানুষকে এক অমূল্য সম্পদ দেওয়া হইয়াছে-তাহা হইল প্রেম বা মহব্বত।”
১৭১.
“একটা পীর ভাই আরেকটা পীর ভাইকে ৭০টা সহোদর ভাইয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করবেন। যদি কোন পীর ভাই আপনার বাড়ীতে যায় গায়ের জামা খুলে বসতে দিবেন। কেননা একটা পীর ভাই সত্তরটা সহোদর ভাইয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।”
১৭২.
“কামেল পীরের দয়া বা অনুকম্পায় মুরীদ নাফসের খোলসমুক্ত হয়, শয়তানের প্ররোচনামুক্ত হয়; জড় দেহ থেকে বাহির হওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে।”
১৭৩.
“পীরের নির্দেশিত পথে মুরীদকে অপরিসীম শ্রম দিতে হয়; অনাহারে থাকিতে হয়।”
১৭৪.
“তোমরা যদি খোদাতায়ালাকে পাইতে চাও, তবে তরিকার নিয়মকানুন ঠিক ঠিক মত পালন কর।”
১৭৫.
“তোমাদের জন্য একটি সুসংবাদ এই যে, তোমরা যদি একাধারে আটদিন লতিফায়ে কালবের জন্য প্রদত্ত ওজিফা মত চল, তাহা হইলে আটদিনে তোমরা তোমাদের কালবের জেকের বা স্পন্দন বুঝিতে পারিবে।” (নসিহত, পৃষ্টা নং ৬১৬)
১৭৬.
“খোদাতত্ত্ব সাধনার পথে শুরু হইতে পূর্ণতা অর্জন পর্যন্ত মোর্শেদের সাহায্য ও দয়া ব্যতীত এক চুল পরিমানও অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। তাই মোর্শেদে কামেলের কোন বিকল্প নাই।”
১৭৭.
“নামাজ এক অমূল্য নেয়ামত, আল্লাহতায়ালার এক বিশেষ দান। এই নামাজের মধ্যেই আছে হুজুরে কালবের মারেফাত। নামাজের মধ্যে আছে মোমেনের জন্য মেরাজ। এমন নামাজ শিক্ষা করার জন্য কামেলও মোকাম্মেল পীরের সান্নিধ্যে থেকে দীর্ঘ সময় খেদমত করতে হয়।”
১৭৮.
“কালব হলো আল্লাহতায়ালার ভেদের এক মহা সমূদ্র। কালব সমুদ্রে ডুব দিয়ে যদি আল্লাহকে সেজদা করতে পারেন- তাহলে সেটাই হবে হুজুরে কালবের নামাজ, কিন্তু কালবের পরিচয় লাভ পীর কামেলের তাওয়াজ্জুহ ছাড়া সম্ভব নয়।”
১৭৯.
“আকরাবিয়াতে উন্নীত সাধককে আল্লাহতায়ালা দ্রুতগামী প্রেমের এক বাহন দান করেন-যে বাহনে চড়িয়া সাধক নিজ হকিকত জগৎ- সিফাতে হাকীকীকেও অতিক্রম করিয়া, শান, শয়ুনাত ও ইতেবারকে অতিক্রম করিয়া খোদাতায়ালার জাতে পৌঁছায়-উচ্চ স্তরের ফেরেশতাদের পক্ষে যাহা চিন্তারও অতীত। ইহা সম্ভব হয় প্রেমের কারণে।”
১৮০.
“পীরের কোন আওলাদ যদি হুজুরে কালবের মারেফাত শিখতে চায়- তবে তাকেও মুরীদ হয়ে পীরের খেদমত করতে হবে-নতুবা সম্ভব নয়।”
সূত্র: শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত শরীফের বিভিন্ন অংশ ও অডিও বাণী হতে।
শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ সবগুলো পর্ব