সৈয়দ মামুন চিশতীর আধ্যাত্মিক বাণী (এলহামে এলাহী)
৫১//
খোদা খোদা বলে ডাকি
খোদার কি রূপ নাহী দেখি
হৃদে আঁকা যে মুরতি
সেটাই কী খোদা তোমার ছবি?
৫২//
নিষ্কাম প্রেমই একমাত্র মনুষ্য মুক্তির উপায় আর
এ মনুষ্য দেহ-ই একমাত্র মুক্তির দরজা।
মনুষ্য শরীরের বাহিরে গিয়ে
মুক্তি খুজার কোন যৌক্তিকতা দেখিনে।
৫৩//
যা অর্জন করা তোমার পক্ষে দূর্জয়,
অসাধ্য, অতিন্দ্রীয় ও কঠিনতর,
সেখানে প্রয়োগ কর প্রেম;
দেখবে সে বস্তুটাই তোমার হয়ে যাবে।
৫৪//
সকল কথার একটাই মানে,
ধরে রাখিস ভাই দেহের পানি,
যে ধরতে পারে নাই অমূল্য এ রত্নখানি,
তার যে দুদর্শা হবে, এটাই সত্য এটাই জানি।
৫৫//
হৃদে, চোখে, মস্তিস্কে কিংবা কল্পনারই তরে।
যে গেঁথেছে তাঁরে, শ্বাশত চিন্তা-চেতনারই ভিতরে।
যেই দিকে কিংবা কোনো, বস্তুরই অন্তরালে দৃষ্টিপাত করে।
সর্বদায় সর্বময়, সে রূপ দর্শন দেয় তারে।
যেবা ভাগে দ্বীন মিয়া রয়, আমারই ভিতরে,
বলো কারবা আছে সাধ্য, তাঁর ছবি মুছিতে পারে?
৫৬//
প্রেম পূজায় যে সেবিছে ঈশ্বর
তার পূজা কখনো হয় না বৃথা-
বলে পরমেশ্বর!!
৫৭//
যে হয়েছে মুর্শিদ পাগল, সে পাইয়াছে খোদার লাগল। পাগল পাগল বলে সকল,মুর্শিদ প্রেমে যে হইয়াছে কতল।
৫৮//
আপন পর চিনিবেন তখন, স্বার্থে আঘাত লাগবে যখন । আপনি যখনে নয় আপনার কারে দোষারোপ করবে তখন।
৫৯//
পিতৃধনে হইয়া ধনী করলি না সে ধনের যতন, এমন মহান আর কে আছে, এ যগতে পিতার মতন।
৬০//
তোমার নিকট যে পথের/জ্ঞান/চিন্তা ধারার সমাপ্তের দেয়াল পড়েছে খিজিরদের নিকট সে পথের হাজারো নহর শুরু মাত্র। কেনোনা ইদুরের গর্তো খুড়ে দেখো তার গর্তের শেষ ভাগে যে নহরের সীমানায় সমাপ্তের দেয়াল গড়া তার অদৃষ্টেই নতুন ধানের গোলা ভর্তি নহরের পথ শুরু হয়েছে। যাহাতে কৃষকের ক্ষেতের নতুন ধানে ইদুরের গর্তো পূর্ণ রয়েছে। তেমনি যদি খিজিরের জ্ঞানে জ্ঞান প্রাপ্ত হও তবে সমাপ্তের দেয়াল ভেঙ্গে হীরা-মণি-মুক্তা খচিত রহস্য জ্ঞান ভান্ডারের সন্ধ্যান লাভ করিতে পারিবে।
বাণী: সৈয়দ মামুন চিশতী
» সৈয়দ মামুন চিশতীর আধ্যাত্মিক বাণী (সব পর্ব)