হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-২)
(৪৬) পাচটি জিনিস খুব খারাপ,
ক. আলেমের খারাপ কাজ,
খ. শাসকের লালসাবৃত্তি,
গ. বৃদ্ধের জেনাকারিতা,
ঘ. ধনীর কৃপণতা,
ঙ. নারীর নির্লজ্জতা
(৪৭) জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা যত বাড়বে , বক্তব্য তত কমবে।
(৪৮) অক্ষমতা একটি বিপদ, ধৈর্যের অর্থ সাহসিকতা, ভোগ বিলাসিতায় নির্মোহতা অমূল্য সম্পদ এবং ধর্মানুরাগ জান্নাত লাভের মাধ্যম।
(৪৯) অভাব বিচক্ষণ ব্যক্তিকেও যুক্তির ক্ষেত্রে নির্বাক করে দেয়। অভাবী যেন নিজ দেশেই পরবাসী।
(৫০) শিষ্টাচার হলো চির-নতুন পোশাক এবং চিন্তা হলো স্বচ্ছ আয়না।
(৫১) দুনিয়া যখন কারো প্রতি প্রসন্ন হয় তখন অন্যের গুণাবলীও তাকে ধার দেয়, কিন্তু যখন অপ্রসন্ন হয় তখন তার নিজস্ব গুণাবলীও ছিনিয়ে নেয়।
(৫২) আল্লাহ্ যখন তোমাকে স্বাধীন বানিয়েছেন তখন তুমি অন্যের গোলাম হয়ো না।
(৫৩) স্বপ্ন আর আকাঙ্ক্ষার উপর ভরসা করে বসে থেকো না, কেননা এটা হলো মূর্খ মানুষের পুঁজি।
(৫৪) অন্তরে যে যাই গোপন করে তা তার জিহ্বার ফাঁকে বের হয়ে পড়ে এবং মুখণ্ডলের অভিব্যক্তিতে ধরা পড়ে।
(৫৫) মানুষ সব বুঝে বেঘোর, মৃত্যু আসা মাত্র জেগে উঠবে।
(৫৬) যুগের (স্বভাব প্রকৃতির) সঙ্গে মানুষের সাদৃশ্য পিতৃ-সাদৃশ্যের চেয়ে অধিক।
(৫৭) মানুষ তার জিহ্বার নীচে লুক্কায়িত থাকে।
(৫৮) মানুষ যা জানে না তার প্রতি বিরূপ হয়ে থাকে।
(৫৯) মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো।
(৬০) যে মানুষ আপন মর্যাদার সীমা বুঝে তার কোনো ধ্বংস নেই।
(৬১) মানুষের প্রতিটি নি:শ্বাস মৃত্যুর পদক্ষেপ মাত্র।
(৬২) আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবার দুটি উপায় ছিল- একটি তুলে নেয়া হয়েছে অপরটি তোমাদের সম্মুখে রয়েছে। সুতরাং যেটা তোমাদের সম্মুখে রয়েছে তা তোমাদের মানতে হবে । রক্ষা পাবার যে উপায়টি তুলে নেয়া হয়েছে তা হলো আল্লাহর রাসূল (সা.) এবং যেটি এখনো আছে তা হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা।
(৬৩) একটি মাত্র শব্দ বিরাট বঞ্চনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
(৬৪) হীনতম জ্ঞান জিহ্বায় থাকে এবং উচ্চমানের জ্ঞান কর্মের মাঝে প্রকাশ পায়।
(৬৫) ইসলামের যথার্থ ফেকাহবিদ সে যে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ করে না, আল্লাহর দয়ার প্রতি হতাশ করে না এবং আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ বলে মনে করিয়ে দেয় না।
(৬৬) অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়।
(৬৭) নফস হলো প্রবৃত্তির পূজারী। সহজগামী আমোদ-প্রমোদের অভিলাসী, কু-প্ররোচনায় অভ্যস্ত, পাপাচারে আসক্ত, আরাম প্রিয় ও কর্মবিমুখ। যদি তাকে বাধ্য করো তাহলে সে দুর্বল হয়ে পড়বে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে (তুমি) ধ্বংস হয়ে যাবে।
(৬৮) অভিজাত লোকের হামলা সম্পর্কে সতর্ক হও যখন সে ক্ষুধার্ত হয়। আর ইতর লোকের হামলা হতে সতর্ক হও যখন সে পূর্ণ উদর হয়।
(৬৯) দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা যত বেশি হবে,আল্লাহর প্রতি ততোটাই কম হবে।
(৭০) মন্দ লোক অন্যদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে পারে না, সর্বোচ্চ সে তাদেরকেও নিজের মত মনে করে।
(৭১) যৌবনের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতি অবশ্যই পূরন করতে হবে, যদি তুমি সন্তোষজনক সমাপ্তি অনুসদ্ধান করো।
(৭২) নিজের মহানুভবতার কথা গোপন রাখো, আর তোমার প্রতি অন্যের মহানুভবতার কথা প্রচার করো।
(৭৩) আত্মতুষ্টি নিশ্চিতভাবে নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ।
(৭৪) বিপদে অস্থিরতা নিজেই একটি বড় বিপদ।
(৭৫) অসৎ লোকের ধন – দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ – আপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
(৭৬) দ্রুত ক্ষমা করে দেয়া সম্মান বয়ে আনে, আর দ্রুতপ্রতিশোধ পরায়ণতা অসম্মান বয়ে আনে।
(৭৭) অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না,সকলকেইসে নিজের মত ভাবে।
(৭৮) অল্প দান করিতে লজ্জিত হইও না,কেননা বিমুখ করা অপেক্ষায় অল্প দান করা অনেক ভাল।
(৭৯) প্রতিটি মানুষের মূল্য তার যোগ্যতায়।
(৮০) হৃদয়সমূহ একত্র করো এবং তা ধরে রাখতে হেকমতের আশ্রয় গ্রহণ করো । কেননা শরীরের ন্যায় হৃদয়ও ক্লান্তি ও একঘেয়েমী বোধ করে।
৮১) তোমাদের কেউ যেন আপন প্রতিপালক ছাড়া অন্য কারো আশা না করে এবং তাঁর ‘শাস্তি’ ছাড়া অন্য কিছুকে ভয় না করে। তোমাদের কেউ যেন যা জানে না তা শিখতে এবং না জানা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হলে ‘জানি না’ বলতে সংকোচ বোধ না করে।
(৮২) পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায় “আর পুণ্য কাজ করে গর্ববোধ করলে পুণ্য বরবাদ হয়ে যায়।
→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-১)
→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-২)