মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) এর ২৮টি গুরু উপদেশ

মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) এর ২৮টি গুরু উপদেশ

১.
স্বীয় পীর ব্যতীত অন্য কোন
পীরের প্রতি লক্ষ্য করিবে না।

২.
পীর উপস্থিত থাকাকালীন
তাঁহার অনুমতি ব্যতীত নফল এবাদত
ও জেকেরাদিতে লিপ্ত হইবে না।

৩.
পীরের সম্মুখে অন্য কাহারও
প্রতি মনােযােগী হইবে না,
পূর্ণরূপে পীরের দিকে লক্ষ্য রাখিবে,
এমনকি জেকের-এর খেয়ালও করিবে না।
কিন্তু তিনি আদেশ করিলে
তখনই খেয়াল করিবে।

৪.
ফরজ, ছুন্নত ব্যতীত তাঁহার সম্মুখে
অন্য কোন প্রকার নামাজ পাঠ করিবে।
যদি কোন ‘অজিফা ইত্যাদি থাকে
তবে তাঁহার নিকট হইতে অন্যত্র
সরিয়া যাইয়া পাঠ করিবে।

মোজাদ্দেদ আলফেসানী রহঃ 3

৫.
এমন স্থানে দাঁড়াইবে না
যাহাতে তাহার ছায়া
পীরের উপর বা তাঁহার
ছায়ার উপর পতিত হয়।

৬.
পীরের জায়নামাজের উপর পা রাখিবে না।

৭.
পীরের অজুর স্থানে অজু করিবে না।

৮.
পীরের বিশিষ্ট কোনও ভাও ব্যবহার করিবে না।

৯.
পীরের সম্মুখে তাঁহার বিনা এজাজতে
(আদেশে) পানাহার করিবে।

১০.
পীরের সম্মুখে অন্য কাহারাে সহিত
কথাবার্তা বলিবে না এবং
কাহারাে প্রতি লক্ষ্য করিবে না।

মোজাদ্দেদ আলফেসানী রহঃ 2

১১.
পীরের অনুপস্থিতিকালে
তিনি যে দিকে আছেন,
সেইদিকে পা লম্বা করিয়া
দিবে না এবং থুথু ফেলিবে না।

১২.
পীর যে কাৰ্য্য করিবেন তাহা দৃশ্যতঃ
ভুল মনে হইলেও
তাহাকে ঠিক বলিয়া জানিবে।
কারণ তিনি যাহা করেন তাহা
আল্লাহর নির্দেশে করিয়া থাকেন।
তাহাতে কাহারও বলার কিছু নাই।

১৩.
ক্ষুদ্র বৃহৎ সকল বিষয়ে
স্বীয় পীরের অনুকরণ করিবে।
আহার নিদ্রাই হউক
অথবা পােষাক-পরিচ্ছদই হউক
কিংবা নামাজ রােজাতেই হউক।

১৪। তিনি যে ভাবে নামাজ পাঠ করেন,
সেই ভাবেই পাঠ করিতে হইরে।

১৫.
তাঁহার কাৰ্য দৃষ্টে ‘ফেকাহের’
মছ-আলা শিখিতে হইবে।

১৬.
তাঁহার কাৰ্যকলাপ ও গতিবিধির প্রতি
এতেরাজ বা সমালােচনা করিবে না
যদিও উহা অতি সামান্য হয় না কেন।
ইহাতে মহরুম ও পূর্ণ বঞ্চিত হওয়া ব্যতীত
কোনই ফল লাভ হইবে না।

১৭.
পীরের দোষ-ত্রুটি কখনও
অনুসন্ধান করিবে না।
যেহেতু সৃষ্টির মধ্যে সকলের
চেয়ে বদবত ঐ ব্যক্তি
যে অলী-আল্লাহ্গণের ছিদ্রান্বেষণ করে।
আল্লাহ্ রক্ষা করুন।

১৮.
স্বীয় পীরের নিকট কখনাে
‘কারামত’ দেখিতে চাহিবে না।
যেহেতু কোন মােমেন কোন পয়গম্বরের
নিকট হইতে ‘কারামত’ দেখিতে চাহে নাই।

১৯.
পীরের প্রতি যদি কখনাে
কোন সন্দেহের উদ্রেক হয়,
তবে অবিলম্বে তাহা।
তাঁহার নিকট ব্যক্ত করিবে।
তিনি সমাধান করিয়া দিবেন।
যদি তাহাতে তাহার
মনের তৃপ্তি না হয়,
তবে নিজেরই ক্রটি
জানিয়া ক্ষান্ত থাকিবে।

২০.
স্বপ্নে যাহা কিছু পরিলক্ষিত হয়,
তাহা পীরকে জানাইবে।

মোজাদ্দেদ আলফেসানী রহঃ 4

২১.
স্বীয় কাশফ বা আত্মীক বিকাশের প্রতি
কখনাে নির্ভর করিবে না।
অন্যথায় বিভ্রান্ত হইয়া যাইবে।

২২.
পীরের “আদেশ ব্যতীত তাঁহার
নিকট হইতে অন্যত্র চলিয়া যাইবে না।

২৩.
বিনা আবশ্যকে পীরের নিকট হইতে
বিদায় গ্রহণ করিবে না।

২৪.
পীরের শব্দের উপর নিজের
‘শব্দ উচ্চ করিবে না।

২৫.
পীরের সহিত উচ্চস্বরে
কথাবার্তা বলিবে না।
ইহা অত্যন্ত বেয়াদবী।

২৬.
যাহার নিকট হইতে যে কোন
ফয়েজ-বরকত লাভ হউক না কেন,
তাহা স্বীয় পীরের উপলক্ষে বলিয়া জানিবে।
ইহা একটি পদঙ্খলনের স্থান বটে।

২৭.
তরীকার অর্থই ‘আদব’।
কোন বে-আদব আল্লাহর সান্নিধ্য
লাভ করিতে পারিবে না।
আল্লাহ না করুন যদি কেহ
‘আদব রক্ষা করিতে না পারে,
তবে সে বঞ্চিত হইবে।

২৮.
পীরের কোন বস্তু বা অন্য কোন দ্রব্য
তাঁহার তবারক হিসাবে প্রাপ্ত হইলে,
তাহা অজু সহ ব্যবহার করা কর্তব্য
এবং তাহা পরিধান করতঃ
‘জেকের’, ‘মােরাকাবা করা আবশ্যক।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel