(৬০) খোদার বন্ধুর প্রতি প্রেম যে অন্তরে নাই, লক্ষবার মুমিন হও তুমি কিন্তু সত্যিকারের ইমানই অর্জন করতে পারনি।
(৬১) কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।
(৬২) ভালোবাসার জগতের পথিক হতে চাও? তবে নিজেকে ধুলো-ছাইয়ের মত নমনীয় করে ফেলো।
(৬৩) পীরের হাত অদৃশ্য জগৎ হতে দূরে নয়। তার হাত আল্লাহ্র হাত ব্যতীত আর কিছুই না।
(৬৪) যা দিয়ে সকল দরজা খোলা যায় তার নাম প্রেম।
(৬৫) সৃষ্টিকর্তার প্রেমে আপন আত্মা খুইয়ে দাও, বিশ্বাস কর; এ ব্যতীত কোন পথ নেই।
(৬৬) সৃষ্টির কারণ পরম সুন্দরের প্রকাশ, বাসনা বা প্রেম।
(৬৭) সকল ধর্মেই প্রেম আছে কিন্তু প্রেমের কোন ধর্ম নেই।
(৬৮) হতাশ হয়ো না! তীব্র হতাশার মূহুর্তগুলোতেই আল্লাহ আশার আলো পাঠিয়ে দেন।
(৬৯) প্রেম হলো খোদার অনন্ত মহাসাগর।
(৭০) প্রেম হচ্ছে সেই জিনিস যখন স্রষ্টা বলেন, আমি সবকিছুই তোমার জন্য বানিয়েছি।
আর উত্তরে তুমি বল, আমি সবকিছুই তোমার জন্য ত্যাগ করেছি।
(৭১) কোনো ব্যক্তিকেই পরিপূর্ণ জ্ঞানী ভেবো না। যদিও সে বহু সম্মানিত বলে বিবেচিত হয়। ইবিলিস শয়তানের ঘটনা থেকে শিক্ষা অর্জন কর। ইবলিশের অগাধ জ্ঞান ছিল, কিন্তু তার প্রেম খাঁটি ছিল না। সে নবী আদমকে মাটির টুকরো ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারেনি।
(৭২) যে হৃদয় ভরপুর প্রেমের আগুনে তার প্রত্যেক কথাই হৃদয়ে ঝড় তোলে।
(৭৩) সৃষ্টিকর্তার প্রেমে আপন আত্মা খুইয়ে দাও, বিশ্বাস কর; এ ব্যতীত কোন পথ নেই।
(৭৪) সারাজীবন একই ভুল করলাম। নিজের চেহারার ধুলা না মুছে কেবল আয়না মুছে গেলাম।
(৭৫) তোমার ক্ষুদ্র জগৎ থেকে বের হয়ে আসো এবং স্রষ্টার অসীম জগতে প্রবেশ করো!
(৭৬) তুমি স্রষ্টার প্রেমে পাগল হয়ে যাও, সমস্ত সৃষ্টি তোমার সেবা করার জন্য পাগল হয়ে যাবে।
(৭৭) বিরহ ব্যথায় যাদের হৃদয় বিদীর্ণ, আমার প্রেম ব্যথা প্রকাশের জন্য এমন চূর্ণ বিচূর্ণ হৃদয়ই প্রয়োজন।
(৭৮) মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়।
(৭৯) তোমার হৃদয়ে যদি আলো থাকে, তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে।
(৮০) আমি কুরআনের মগজ (মূলবস্তু) তুলে নিয়েছি, আর অস্থিচর্ম শৃগাল-কুকুররের জন্য রেখে দিয়েছি।
(৮১) স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।
(৮২) তোমার অন্তরের চোঁখ খোল, চেয়ে দেখ এই দুনিয়া একটা মায়া স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না।
(৮৩) যেই অনুপ্রেরণা তুমি খুঁজে চলেছ, সে তোমার মাঝেই বিদ্যমান; নিশ্চুপ হও আর শোনো।
(৮৪) শেখার জন্য তুমি পড়াশোনা করো, কিন্তু বুঝতে হলে তোমার প্রয়োজন ভালোবাসা।
(৮৫) হৃদয় হলো অসংখ্য তারের বীন, তা কেবল প্রেম দিয়ে বাজানো যায়।
(৮৬) যখন আমি নিরব হই তখন আমি এমন স্থানে পৌঁছাই যে সেখানকার সকল কিছুই সঙ্গীত।
(৮৭) তুমি স্রষ্টার প্রেমে পাগল হয়ে যাও, সমস্ত সৃষ্টি তোমার সেবা করার জন্য পাগল হয়ে যাবে।
(৮৮) প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।
(৮৯) আমাদের চারপাশেই সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এটা বুঝতে হলে বাগানে হাঁটতে হবে।
(৯০) এমনকি বসন্তে অস্তিত্ব লাভ করা বস্তুও শরতের শেষে এসে ক্ষয়ে যায়; কিন্তু, প্রেম! সে তো কোন নির্দিষ্ট মৌসুমের নয়।
(৯১) অন্যের জীবনের গল্প শুনে সন্তুষ্ট হয়ো না, নিজের পথ তৈরি করো, নিজের জীবন সাজাও।
(৯২) যে তোমাকে সত্যিই মন দিয়ে ভালোবাসবে সে তোমাকে সব রকম বন্ধন থেকে মুক্ত রাখবে।
(৯৩) আপন অন্তর-আত্মার সাথে পরিচিত হবার ক্ষুধা অন্য সকল কামনা, আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষান্ত করবে।
(৯৪) তোমার মুর্শীদকে তোমার কালবে বসাও, দেখবে তুমি, ঐশ্বরিক আলোতে আলোকিত হয়েছ।
(৯৫) তুমি স্রষ্টার প্রেমে পাগল হয়ে যাও, সমস্ত সৃষ্টি তোমার সেবা করার জন্য পাগল হয়ে যাবে।
(৯৬) তুমি জন্মেছিলো দু’টি ডানা নিয়ে। কেন তবে জীবনভর হামাগুড়ি দিতেই তোমার এত পছন্দ?
(৯৭) তোমার জন্ম হয়েছে পাখা নিয়ে, উড়ার ক্ষমতা তোমার আছে। তারপরও খোঁড়া হয়ে আছো কেন!
(৯৮) যে অনুপ্রেরণা তুমি বাইরে খুঁজছো, তা তোমার নিজের ভেতরেই আছে। নীরব হও এবং তা শোন।
(৯৯) দুই ব্যক্তি কখনও সন্তুষ্ট নয়- বিশ্বকে যে ঘুরে দেখতে চায় আর যে আরও জ্ঞান আহরণ করতে চায়।
(১০০) সুফিগণ প্রেমিক, ধৈর্যই তাঁদের পোষাক। তাঁরা জানেন যে, পূর্ণিমার আলো দিতে চাঁদকে পূর্ণ হতে সময় লাগে।
(১০১) তোমার হৃদয়ে আগে মধুরতা খোঁজ করো, তাহলে সব হৃদয়েই তুমি মধুরতা খুঁজে পাবে।
(১০২) সমস্তটা হলো প্রেম, আমরা হলাম তার ভগ্নাংশ।
(১০৩) তোমার সব চাইতে বড় শত্রু তোমার নিজের ভেতরই লুকিয়ে আছে-সে হচ্ছে তোমার মিথ্যা অহং।
(১০৪) শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, কণ্ঠ উঁচু করে নয়। মনে রাখবে ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়।
(১০৫) যেদিন তোমার প্রেম আমায় স্পর্শ করব সেদিন আমি এতোটাই উম্মত্ত হবো যে, সকল উম্মাদ ও আমা হতে পালাবে।
(১০৬) কখনো আশা হারিয়ো না, হে আমার হৃদয়। অদেখার জগতে তো অনেক অলৌকিক ঘটনার বসবাস।
(১০৭) যে বাতাস গাছ উপড়ে ফেলে, সেই বাতাসেই ঘাসেরা দোলে। বড় হওয়ার দম্ভ কখনও করো না।
(১০৮) তোমার নিজের হৃদয়ের মাধুর্য খুঁজে বের করো, তখন সম্ভবত সবার হৃদয়ের মাধুর্য তুমি খুঁজে পাবে।
(১০৯) যদি তুমি চাঁদের প্রত্যাশা কর, তবে রাত থেকে লুকিয়ো না। যদি তুমি একটি গোলাপ আশা কর, তবে তার কাঁটা থেকে পালিয়ো না, যদি তুমি প্রেমের প্রত্যাশা করো, তবে আপন সত্ত্বা থেকে হারিও না।
(১১০) প্রেম কোন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে থাকে না, প্রেম অসীম সাগরের মত, যার কোন প্রারম্ভ বা সমাপ্তি নেই।
(১১১) আজন্ম সমুদ্রের লোনাজল পানকারীর কাছে সুপেয় মিঠা পানি পানের মজা বোঝানো দুষ্কর।