মসনবী শরীফ : ইহুদী বাদশাহর নিজস্ব লোকের নসীহত কবুল না করা

[বাংলা এই ভাবানুবাদ বরিশাল থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে প্রকাশিত। এই দুর্লভ সংস্করণটি সরবরাহ করেছেন সুহৃদ (ব্যাংকার) নাঈমুল আহসান সাহেব।  সম্পাদক – কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন]

ইহুদী বাদশাহর নিজস্ব লোকের নসীহত কবুল না করা (মসনবী শরীফ)

ইঁ আজায়েব দীদ আঁ শাহে জহুদ,
যুজকে তানাজ ও যুজকে এনকারাশ নাবুদ্‌।
নাছেহানে গোফতান্দ আজ হদ্দে মগোজার আঁ,
মারকাবে ইস্তজিহা রা চন্দেইঁ মরা আঁ।
বোগজার আজ কোশতানে মকুন ইঁ ফেলেবদ,
বাদে আজ ইঁ আতেশ মজান দরজানে খোদ্‌।
নাছেহানেরা দস্তে বস্ত ও বন্দে করদ্‌।
জুলমেরা পেওন্দ দর পেওন্দ করদ্‌
বাংগে আমদ্‌ কারে চুঁ ইঁজা রছীদ,
পায়েদার আয় ছাগে কে কাহারে মা রছীদ।

অর্থ: এই রকম আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখিয়াও ইহুদী বাদশাহ কিছুতেই আল্লাহর কুদরাতের কথা স্বীকার করিল না। বাদশাহর হিতাকাঙ্ক্ষীরা বলিল যে, সীমা অতিক্রম করিয়া বেশী অগ্রসর হইও না। আর বিরুদ্ধাচরণ করিও না। এখন মানুষ হত্যা করা হইতে বিরত থাক। এই প্রকার অন্যায়-অত্যাচার করিও না। নিজেকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করিও না। বাদশাহ নসীহতকারীদিগকে ধরিয়া বাঁধিয়া কয়েদখানায় আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। এবং অত্যাচারের সীমা অধিকতর বাড়াইয়া দিলেন। যখন অত্যাচারের সীমা অতিক্রম করিল, তখন গায়েব হইতে এক আওয়াজ আসিল যে, “হে নাপাক কুকুর, তুমি একটু থাম, এখনই আমার পক্ষ হইতে শাস্তি আসিতেছে”।

মূল: মসনবী শরীফ ২য় খন্ড – মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমী (রহ:)।
ভাষান্তর: এ, বি, এম, আবদুল মান্নান।
মুমতাজুল মোহদ্দেসীন, কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসা।

→ “মসনবী শরীফ” এর সব গুলো পর্ব

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel