হোমপেজ ইলমে মারেফত ধর্মের জাহেরী কর্মকান্ড মারেফত সাগরের এক বিন্দু পানির সমতুল্য।

ধর্মের জাহেরী কর্মকান্ড মারেফত সাগরের এক বিন্দু পানির সমতুল্য।

ধর্মের জাহেরী কর্মকান্ড মারেফত সাগরের এক বিন্দু পানির সমতুল্য।

যারা মোমিন বা কামেল মুর্শিদ যাই বলিনা কেন তারা সত্যকে সাগর মনে করে থাকেন এবং তারা এই সাগরে সাঁতার কাটেন এবং সাগরের তল দেশে ডুব দিয়ে মণি মুক্তা আহরণ করে থাকেন। কিন্তু অতি সাধারণ যারা তারা মোমিন বা কামেল মুর্শিদের মতো সাগরকে বাদ দিয়ে খাল বিলে হাঁটু পানিতে সাঁতার কাটেন ও হাঁটু ভেঙ্গে ডুব দিয়ে যা পান তাহলো চুনারু পুঁটি মাছ।

তাদের কাছে সাগর এক ভয়ংঙ্কর কিছু মনে হয় অবশ্য তার একটি কারণও আছে তা হলো সাগর বিশাল যার এক কিনার থেকে অন্য কিনার দেখা যায় না এমনকি এর গভিরতাও মাপা যায়না। কিন্তু খাল বিল যা এক কিনারে দাঁড়ালে অন্য কিনারা দেখা যায় এবং তার গভিরতাও মাপা যায়। যেহেতু তাদের নিকট খাল বিল সহজ তাই তারা সাগর পানে ফিরেও তাকাননা। তাই মোমিন বা কামেল মুর্শিদগণ অতি সাধারণের সামনে সাগরের এক বিন্দু পানি এনে বলেন এটা হলো জাহেরী অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান যথাযথ ভাবে পালন করতে চেষ্টা কর।

এখন এই বিন্দু কথাটি বলার দুটি কারণ আছে: একটি হল, কেউ গ্রহণ করুক আর না-ই করুক কিন্তু সবার জন্য ইহা একটি সহজ এবং সরল ব্যবস্থা পত্র। এখন যদি সত্যের অনুষ্ঠান বা মারেফতের স্থুল রুপটি না থাকে তবে আসল সত্যটি হয়ে যায় বিমূর্ত অর্থাৎ যার রুপ নাই তথা নিরাকার। তাই সাধারণের পক্ষে বিমূর্তকে তথা নিরাকারকে অনুভব করা সম্ভবপর হয় না। তারপরেও যে হয়না এমনটি বলা যায় না! কেননা এই বিন্দুর অনুষ্ঠানের গন্ধ পেয়েও জগতে অনেক ব্যক্তি মারেফত সাগরে সাঁতার কেঁটেছেন এবং ডুব দিয়ে মণি মুক্তা আহরণ করে জগত বিখ্যাত হয়েছেন।

একদিন বিজ্ঞানী আইনষ্টাইনের কাছে এক যুবক এসে আপেক্ষিক তত্বটির রহস্য জানতে চাইল। বিজ্ঞানী মোমিন বা কামেল মুর্শিদদের মতো এক বিন্দু ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন যে, দেখ বাবা, ধরো তুমি জলন্ত চুলার সামনে এক মিনিট বসে আছ তখন তোমার মনে হবে যে, তুমি এই চুলার সামনে অনেক ক্ষণ বসে আছ। আবার ধরো তুমি তোমার প্রেমিকার সামনে এক ঘন্টা প্রেমালাপন করলে তখন তোমার মনে হবে তুমি এক মিনিট বসে আছ। এই ধরণের মনে হওয়াটাই হলো “আপেক্ষিক তত্ব”।

এখানে আপেক্ষিক তত্বের গল্পটি এই কারণে বলা হলো যে, সকল কিছু নির্ভর করে ঘটনার সময় মন কি বলে। কারণ মনই বলে দিবে তার বাস্তব অনুভুতি কেমন। কিন্তু আমাদের ধর্মের আরবী পড়া জানা পন্ডিতদের নিকট মারেফতের সাগর বলে কিছু নেই অথচ এই বিন্দু পানি তথা ধর্মের জাহেরী কর্মকান্ড তথা অনুষ্ঠানগুলি যা মারেফত সাগর হইতেই সৃষ্টি।

বর্তমানে নবিজীর প্রতিষ্ঠিত ইসলামকে নবিজীর জাহেরী উপস্থিতি না থাকার কারণে ধর্মের লেবাস পরিহীত লোকেরা বিন্দুর অনুষ্ঠানকে বানিয়েছে সাগর আর সাগরকে বানিয়েছে বিন্দু। পাঠক চিন্তা করে দেখুন কোথায় বিশাল সাগর যার সীমানা খুজে পাওয়া যায় না যার গভিরতা মাপা যায় না সেই সাগরকে মোল্লা-মুন্সিরা বিন্দুর মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বলছে এই নেও ইসলাম ধর্ম এর বাহিরে আর কিছু নেই।

-সবুজ কাদরী।