রূহ তথা আত্মা
আত্মা আমি নই, বরং আত্মাটা আমার। আত্মা জাতি অংশ। মৃত্যুর সময় দেহের পঞ্চজাত প্রকৃতির পঞ্চজাতের সাথে মিশে যাবে। মাটি মাটির সাথে, পানি পানির সাথে, বাতাস বাতাসের সাথে আর আগুন আগুনের সাথেই মিশে যাবে। সঙ্গে যাবে শুধু সেফাত। সেফাত ৭ টি। তার মধ্যে হাইয়ুন সেফাতের মাঝেই ছয় সেফাত গুপ্ত হবে। মূলত বিচার হবে হাইয়ুন সিফাতের। এই হাইয়ুন সিফাতই ‘আমি’। আত্মা আমি নই, বরং আত্মা আমার। মানবের দেহে পাঁচ আত্মা আছে। পরমাত্মা, জীবাত্মা, ধাতু আত্মা, উদ্ভিদ আত্মা, পশু আত্মা। যখন যেই আত্মার প্রভাব বিস্তার করে তখন মানুষ সেরূপ আচরন করে। তাই পশুর মত আচরনও মানুষের মাঝে দেখা যায়।
আর রূহ এর বাংলা অর্থা ধরা হয় আত্মা, তাই রূহ পাঁচ প্রকার। রূহ কুদসী (পরমাত্মা), ইনসানী (মানবত্মা), হাইয়ানী (পশু আত্মা), জামাদী (ধাতু আত্মা), নাবাতী (উদ্ভীদাত্মা)। সে হিসেবে বিচার করতে গেলে রূহ হল জাত, রূহ সিফাত নয়। পশুর মাঝেও রূহ আছে। রূহ স্রষ্টার অংশ জীবের দেহে। রূহ ছাড়া সবই প্রাণহীন। যদি পশুর মাঝে রূহ বা পরমাত্মা না থাকতো তবে পশুও প্রাণহীন থাকতো।
মানুষের মাঝেও যেমন পঞ্চ আত্মা বা রূহ রয়েছে, তেমনি পশুর মাঝেও। মানুষ রুহ ইনসানী প্রভাবিত, আর পশু রুহ হায়ানী প্রভাবিত। তাই মানুষের মাঝেও পশুর আচরন দেখা যায়, আবার পশুর মাঝেও প্রেম-প্রীতি দেখা যায়।
তবে জটিল বিষয় হলো ‘আত্মা বা রূহ কি?’ এটা অত্যন্ত জটিল বিষয়। একজন কামেল গুরু তার ভক্তকে রুহের ছুরত দেখিয়ে দিতে পারেন। যেমন সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ান রশিদ (আঃ) তাঁর গানে বলেছেন, ‘কামেলও মুরশিদ হইবেন যিনি, রূহের ছুরত তোমায় দেখাবেন তিনি’।
লেখাঃ DM Rahat