দমে আদম, রুহে হাওয়া।
কোন কলে হয় নানা বিধ
আওয়াজ উদয়,
কোন কলে নানান ছবি
নাচ করে সদায়।
– ফকির লালন সাঁই
দমে আদম রুহে হাওয়া, লাম আলিপের মধ্যে তাদের আসা যাওয়া। আবেশে হয় মিলন ও কথোপকথন। কিন্ত সাঁইজি এখানে বলেছেন কলের কথা। যে কলে কলমা বলতেছে বা কলমার কল।
“ইন্না খলাকাল ইনছানা মিননুথফা” অর্থঃ মানুষকে শুক্র বা সোমরস অথবা মীন হতে সৃজন করা হয়েছে। এই সৃজনের প্রক্রিয়া হচ্ছে, সুলালাতিম মিন তীন (মাটির নির্যাস), নুথফাতান (শুক্র) আলাকাতান (জমাট রক্ত), ইজামান (গো
শত), লাহমান(অস্থি)
তারপর খলাকাল আদামা আপন স্বরুপ। এই ছয় দিনে বা ছয়টি ধাপে মানুষ গড়লেন সাঁই। যে কলে গড়লেন তার নাম হচ্ছে কৃর্তিকর্মা বা নিরাপদ আধার অথবা মাতৃগর্ভ। যেখানে রুপ স্বরুপের মিলন ঘটাইলেন।
এখন কলমা তাইয়্যেবার মূল লাশারীক রুপ দর্শন ও নামের সহিত। শাহাদাতে আশাদুল্লাহ (হযরত আলী),ইলাহা (আল্লাহ), ও মুহাম্মদ রাছুলকে দেখে সাক্ষ্য দেওয়া। তাওহীদআর তামজীদে ইমাম চিনা আর লিনূরিহি (তুমি নূর) দেখে চিনে হায়াতুল মুরসালিনকে মানা।
আওয়াজ উদয় হলো সাত তালা ভেদ করে।কে করলো? সে কথা কয়রে দেখা দেয়না। হাওয়ায় আওয়াজ উদয় হলো লাম আর মীমে তার প্রকাশ।
কলেমা দাতা তিন জনে,আল্লা, আলী ও নবী।কিন্ত যিনি কলমা স্বয়ং আনলেন তিনি হলেন মা ফাতেমা জহুরন। বে তালিম, বে-মুরীদ হয়েও তিনি কিভাবে পীরের পীর, খোদার ছোট নবীর বড় হলেন?
এসব তত্ত বিচার করলে, কলেমা রয়েছে অঠাই গভীরে। তত্ত বিচার না করে কলমা পড়লেহবে কালমাতান খবিশাতান (নাপাক কলেমা) আর তত্ত বিচার করে পড়লে হয় কালেমাতান তইয়্যেবাতান (পাক কলমা)।
তাইতো সাঁইজি বললেন-
আপন দেহের কল না ঢুড়ে,
বিভোর হলে কলমা পড়ে
লালন বলে মুরশীদ ছেড়ে
কে পাবে খোদায়।।