মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-২৯
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.
“আলী কুরআনের সাথে আর কুরআন আলীর সাথে।”
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২)।
মাওলা আলী এবং পবিত্র কুরআন শরীফ একে অপরের পরিপূরক। মাওলা আলী এবং পবিত্র কুরআন কখনো একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। পবিত্র কুরআন শরীফ সদা সর্বদা মাওলা আলীর সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িয়ে ছিলো। আর মাওলা আলীও পবিত্র কুরআন শরীফের সাথে মিশে গিয়েছিলো। তাঁদেরকে আলাদা করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। সিফফিন যুদ্ধের সময় মোয়াবিয়া চূড়ান্ত নিশ্চিত পরাজয় জেনে, চতুরতা করে বর্শার আগায় পবিত্র কুরআন শরীফ বিদ্ধ করে যুদ্ধ থামানোর জন্য বলে। যাতে মোয়াবিয়া পরাজয় এবং মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচে। তাই মাওলা আলী মোয়াবিয়ার ছলচাতুরী বুঝতে পেরে সৈনিকদেরকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বলে।
কিন্তু একদল বিপদগামী বিদ্রোহী হয়ে পড়ে, পরবর্তীতে তারা খারেজি নামে পরিচিত লাভ করে। এই বিপদগামী বিদ্রোহীরা বলে এখন যুদ্ধ করলে পবিত্র কুরআন শরীফ আমাদের এবং ঘোড়ার পায়ে পদদলিত হবে এবং তাতে পবিত্র কুরআন শরীফ চরমভাবে অপমানিত হবে। এই ছিলো তাদের একঘেয়েমি খোঁড়া যুক্তি। তখন মাওলা আলী বিপদগামীদের উদ্দেশ্য করে বলে, “এই কোরআন শরীফ হলো পাতার, আর আমি হলাম সবাক অর্থাৎ জিন্দা কোরআন। তবুও সেদিন বিপদগামীরা মাওলা আলীর হাকিকত বুঝতে না পেরে, চিরতরে জাহান্নামী হয়ে যায়। আজও তারা খারেজি নামে পরিচিত এবং সবার কাছে ঘৃণার পাত্র।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।