ইমাম হাসান (আ:)-এর খোশরোজ-বেলাদাত দিবস
ইমাম হাসান বিন আলী আলাইহিস সালাম দ্বিতীয় বা তৃতীয় হিজরীর ১৫ রমজান মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। মদীনা ছাড়াও হযরত আলী আলাইহিস সালামের খেলাফতকালে তিনি কূফায়ও অবস্থান করেছিলেন। এখনও কূফা জামে মসজিদের পাশে মাওলা আলী আলাইহিস সালামের বাড়ীতে তাঁর কামরাটি নির্দৃষ্ট করা রয়েছে।
বহু গ্রন্থে ইমাম হাসান মুজতবা আলাইহিস সালামের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। কোরআনে যাঁদের আহলে বাইত সম্বোধন করে পবিত্রতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ইমাম হাসান আ. তাঁদের একজন। কোরআনে বর্ণিত মাওয়াদ্দাত, এতয়াম ও মুবাহেলার যে আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে, সে আয়াতগুলো নাজিল হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি, তাঁর ভাই ও তাঁর মাতা-পিতা যুক্ত রয়েছেন।
ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম জঙ্গে জামাল ও সিফফিনে হযরত আলী আলাইহিস সালামের সেনাবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। হযরত আলী আলাইহিস সালাম শহীদ হওয়ার পরে একই দিনে ৪০ হাজার মানুষ ইমাম হাসান আলাইহিস সালামের হাতে বাইয়াত হয়েছিল কিন্তু মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান ইমাম হাসান আলাইহিস সালামকে খলিফা হিসেবে মেনে না নিয়ে সিরিয়া থেকে কূফার উদ্দেশ্যে সৈন্য পাঠিয়ে দেয়। ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উবায়দুল্লাহ বিন আব্বাসের নেতৃত্বে তাদের প্রতিরোধ করতে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে দেন।
ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এক খারেজী কর্তৃক খঞ্জরের আঘাতে আহত হলে মাদায়েনে চিকিৎসা নিতে চলে যান। এরই মধ্যে মুয়াবিয়া সন্ধির জন্য চিঠি লিখে পাঠায় আর ইমাম হাসান আলাইহিস সালামের সৈন্য ও কূফার কিছু নেতা মুয়াবিয়ার সাথে আঁতাত করায় ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাথে চুক্তি করেন।
ইমাম হাসান মুজতবা আলাইহিস সালাম দুইবার সকল সম্পদ ও তিনবার অর্ধেক সম্পদ দান করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে ‘কারিমে আহলে বাইত’ বা আহলে বাইতের দাতা বলা হয়। তিনি ২০ বা ২৫ বার পাঁয়ে হেঁটে হজ্জ করেছেন। আজ তাঁর পবিত্র বেলাদাত-জন্মদিন উপলক্ষে ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এর প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ সালাম।
লেখা : Abu Saleh