ইমাম হোসাইনের শোকে- আদম ও জীব্রাইল (আ:) এর ক্রন্দন।

ইমাম হোসাইনের শোকে- আদম ও জীব্রাইল (আ:) এর ক্রন্দন।

আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন:- ”ফাতালাক্কা আদমু মির রব্বিহি কালিমাতিন ফাতাবা আলায়হি! ইন্নাহু হুওয়াত্তা-তাওয়াবুর রহিম।” অর্থাৎ অতঃপর আদেমর নিকট রবের পক্ষ থেকে কয়েকশো ওহী করা হলো, অত:পর তিনি (আল্লাহ) তার প্রতি প্রর্তাবর্তন করলেন,তাকে ক্ষমা করলেন। নি:সন্দেহে তিনি পুন:পুন তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু- (সুরা বাকারা আয়াত ৩৭)।

উপরিউক্ত আয়াতের তাফসিরে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ:) ৩৫০ বছর বিচ্ছিন্ন থাকার পর যখন পূণরায় একত্র হলেন তখন আল্লাহ’ তাআলার মহান আরশের প্রতি দৃষ্টিপাত করেলন এবং সেখানে রাসুলাল্লাহ (সা:) এবং মাসুম ইমামগণের নাম দেখতে পেলেন। হযরত জীব্রাঈল (আ:) কে ঐ নামগুলি কাদের তা জীজ্ঞাসীলে হযরত জীব্রাঈল তা বুঝিয়ে দিলেন। অতঃপর আদম (আ.) বললেন, হে পরম সত্তা আলী (আ:) এর উসিলায় হে স্রষ্টা ফাতেমা (আ:) এর উসিলায় আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

এরপর ইমাম হোসাইন (আ:) এর নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে তার চোখে অশ্রূ এসে গেল। তখন হযরত আদম (আ:) বললেন হে আমার ভাই জীব্রাঈল! এর কী কারণ যে, হোসাইন(আ:) এর নাম উচ্চারণে আমার চোখে অশ্রূ এসে যাচ্ছে? তখন হযরত জীব্রইল (আ:) বললেন, আপনার বংশধরদের মধ্যে থেকে আপনার এ সন্তান এমন মুসিবতের মুখোমুখি হবে যে, দুনিয়ার বুকে আসন্ন অন্য সমস্ত মুসিবতের সামনে স্নান হয়ে যাবে।

হযরত আদম (আ:) জীজ্ঞাস করলেন, তার উপর কী ধরণের মুসিবত আপতিত হবে? হযরত জীব্রাইল বললেন, তিনি পিপাসার্ত্ অবস্থায় তার পূর্বে নিহত সঙ্গীদের লাশ সামনে নিয়ে নিহত হবেন। শত্রূরা তার মৃত্যু দেখার জন্য অপেক্ষা করবে। তখন হযরত আদম (আ:) ও হযরত জীব্রাইল (আ:) খুব ক্রনন্দন কররেন।

গ্রন্থসুত্র: আল-আওয়ালিম, পৃ: ১০৪ – ১১৭।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel