হোমপেজ আহলে বায়াত (পাকপাঞ্জাতন) যেভাবে পাক পাঞ্জাতন সদস্য নবীর বংশ হিসাবে দুনিয়াতে জাহির হয়।

যেভাবে পাক পাঞ্জাতন সদস্য নবীর বংশ হিসাবে দুনিয়াতে জাহির হয়।

3212

যেভাবে পাক পাঞ্জাতন সদস্য নবীর বংশ হিসাবে দুনিয়াতে জাহির হয়।

আল্লাহপাক একদিন জীবরাইলকে হুকুম করলেন বেহেশত হতে মতান্তরে আরশ মোয়াল্লার নিকট হতে একটি ফুল নিয়ে আস। জীবরাইল একে একে দু’বারই চেষ্টা করে ফুলের নিকট যেতে পারলেন না। জীবরাইল এ অবস্থা আল্লাহপাককে জানালেন। আল্লাহপাক বললেন তুমি এবার “বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” বলে ফুলে হাত দিবে। জীবরাইল তাই করল এবং ফুল নিয়ে এলো।

আল্লাহপাক জীবরাইলকে বললেন এ ফুল নিয়ে শ্যাম শহরে এক খেজুড় বাগানে চলে যাও। সে বাগানে আবু তালিব ও আবদুল্লাহ শুয়ে বিশ্রাম নিতে ছিলেন। তারা বানিজ্য উপলক্ষে এখানে এসেছিলেন। জীবরাইল ফুলটি নিয়ে আব্দুল্লাহর বুকে রেখে দিলেন। সে ফুলের ঘ্রাণ দু’ভাগ হয়ে গেল আবদুল্লাহ ও আবু তালিবের মধ্যে। মোহাম্মদী ভাগ পেল আব্দুল্লাহ এবং আলী ভাগ পেল আবু তালিব।

(বি:দ্র: আমরা একথার সত্যতা জানতে পাই মহানবী (সা:) এর কথায়: তিনি বলেছেন আমি এবং আলী একই নূরের দুই খন্ড)।

তাই হযরত আবদুল্লাহ (আ:) এর মাধ্যমে দুনিয়াতে এলো মোহাম্মদ (সা:) এবং নবীপাক (সা:) এর মাধ্যমে এলো হযরত ফাতেমা (আ:)। আর হযরত আবু তালিব (আ:) এর মাধ্যমে এলো মওলা আলী (আ:) এবং আলী (আ:) ও ফাতেমা (আ:) এর পরিণয় সুত্রে পৃথিবীতে এলো ইমাম হাসান ও হোসাইন (আ:)। ইনারাই হলেন আহলে বাইয়াত বা নবী বংশ। তাই নবীপাক (সা:) বলেছেন: সবার বংশ আরম্ভ হয় নিজ ঔরশ থেকে আর আমার বংশ আলী (আ:) হতে।

গ্রন্থসুত্র: বেহুশের চৈতন্য দান, পৃ: ১৪৬।