মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-৩৬
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেছেনঃ
لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.
“মুনাফিকরা আলীকে ভালোবাসে না, আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।”
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৮৯)।
মাওলা আলী হলেন মুমিন এবং মোনাফেক চেনার মানদন্ড। যারা মাওলা আলীকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসে তারাই মুমিন। আর যারা মাওলা আলীর চেয়ে অন্য কাউকে বেশি ভালোবাসে তারাই মোনাফেক (দয়াল রাসূল সাঃ ব্যতীত)। মোনাফেক কখনো মাওলা আলীকে ভালোবাসতে পারে না বরং অতি সুকৌশলে অপমান করে। সাহাবীরা বলতো আমরা মোনাফেক চিনতাম মাওলা আলীর মাধ্যমে। মোনাফেকরাই মাওলা আলীকে ঘৃণা করে যু*দ্ধ করেছিলো। মুমিন আর আশেক কখনো তার মাশুকের বিরুদ্ধে যু*দ্ধ করতে পারে না। বরং চরম শক্রুতার ফসলই সিফফিনের যু*দ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো।
মাওলা আলীকে ভালোবাসা যেখানে অতি উত্তম ইবাদত, সেখানে মুমিন কিভাবে মাওলা আলীর বিরুদ্ধে অ*স্ত্র তুলতে পারে? নিশ্চয়ই মোনাফেকদের পক্ষেই এমনটি করা সম্ভব। দয়াল রাসূল (সাঃ) জানতেন, আমার একদল বিপদগামী সাহাবীরা আলীর বিরুদ্ধে অ*স্ত্র ধরবে, তাই সতর্ক বলছেন মোনাফেক কখনো আলীকে ভালোবাসতে পারে না।
সেই ভবিষ্যৎ বাণীর প্রতিফলন দেখেছি সিফফিন নামক যু*দ্ধে। মুমিন আর মোনাফেক সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাই সিফফিন যু*দ্ধে। মুমিন সাহাবীরা মাওলা আলীর কদমেই আশ্রয় নিয়েছিলো এবং মোনাফেকরা মাওলা আলীর বিরুদ্ধে গিয়ে অ*স্ত্র ধারণ করেছিলো।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।