ইমাম হাসান-হুসাইন (আঃ) ও বেহেশতের ফল।
ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন (আঃ) শৈশবকালের দু’টি কাগজে কিছু লিখে একে অপরকে বলতে লাগল আমার লেখা সুন্দর হয়েছে। চূড়ান্ত ফায়সালার জন্য তারা উভয়ে আব্বাজান হযরত মাওলা আলী (আঃ)কাছে এসে একজন বলেন, আমার লেখা সুন্দর, অপরজন বলেন, আমার লেখা সুন্দর, তাদের উভয়ের আবেগ দেখে তাদের কাউকে খুশী করতে গেলে অপরজন মনঃক্ষুন্ন হবে এই আশংকায় মাওলা (আঃ) বললেন তোমাদের এই মুকাদ্দমাটি তোমাদের আম্মাজানের কাছে নিয়ে যাও। আম্মাজান ও একই জবাব দিলেন তোমরা বরং তোমাদের নানাজনের কাছে যাও।
শেষ পর্যন্ত দু’ভাই নানাজান নবীপাক সরদারে দু’জাহান সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে হাজির। নানাজান তাদের উভয়ের দাবি শুনে বললেন আসমান হতে জিবরাঈল (আঃ) এসেই তোমাদের ফায়সালা করবেন, এদিকে হযরত জিবরাঈল (আঃ) হাজির হয়ে বলে উঠলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ বিষয়টি বড় কঠিন। আমি জিবরাঈলের সাধ্যের বাইরে বরং স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই বিষয়টি চূড়ান্ত ফায়সালা করবেন। পরিশেষে আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল (আ) কে নির্দেশ দিলেন বেহেশত হতে একটি ফল নিয়ে এস আর ফলখানা হাসান-হুসাইন (আঃ) উভয়ের লিখিত কাগজের উপর ছেড়ে দাও।
এরপর অবলোকন কর, যার লিখার উপর গিয়ে ঐ বেহেশতী ফল দাড়িয়ে যাবে ঐ লিখাটাই সুন্দর বলে প্রমাণিত হবে। আদেশমতে হযরত জিবরাঈল (আঃ) তাই করলেন। আর যেইমাত্র বেহেশতী ফল উভয়ের কাগজের উপর ছেড়ে দিল অমনি দেখা গেল ফলটি দুই টুকরা, এক টুকরো গিয়ে দাড়িয়ে গেল ইমাম হাসান (আঃ) কাগজের উপর, অপর টুকরো দাড়িয়ে গেলো ইমাম হুসাইন (আঃ) কাগজে। এতে করে ফায়সালা হয়ে গেলো উভয়ের লেখাই সুন্দর।
গ্রন্থসূত্র: নাযহাতুল মাযালিছ (২য় খন্ড)