মস্তানী বচন
(১) ভাষা শিক্ষা করা জ্ঞানের পরিচয় নয়। জ্ঞান হলো ভাষার গভীরতার স্পর্শ অনুভব করা।
(২) মানব সূর্য কামনার কুয়াশার চাদর দ্বারা আবৃত। চাদর খসে পড়লে সূর্য আলো ছড়াবে।
(৩) হালাল সাবান দিয়ে স্নান করলেই আত্মার পবিত্রতা আসে না। আত্মার পবিত্রতা জন্য প্রয়োজন আলোকিত আত্মার।
(৪) জাত আর সিফাতের সমন্বিত রূপই হলো স্রষ্টা। সৃষ্টির বিকশিত স্বরূপই হলো আহাদ। আহাদই অহেদের অভ্যর্ন্তরে নান্দনিক ছন্দে স্বীয় রূপের নবতর পরিচয়ের স্বাক্ষর রেখে চলছে।
(৫) প্রকৃতির প্রকাশ ও বিকাশ হচ্ছে দ্বান্দ্বিকরূপে।
(৬) যেদিন সন্দেহের অবসান হবে, সেই দিনই হবে জীবনের সাথে প্রথম পরিচয়।
(৭) শব্দের মধ্যেই ব্যঞ্জনা লুকিয়ে রয়েছে তরঙ্গরূপে।
(৮) সবচাইতে উচ্চাঙ্গের শব্দটি হলো নিরপেক্ষতা। যার উপর মানবসভ্যতার দ্বিতীয় কোনো শব্দ নাই। যার কোনো মূল্যায়নের কোনো মানদন্ড নেই।
(৯) মোহমায়া হলো মাতৃউদর স্বরূপ। সংগ্রাম শেষ হলে মুক্তির আগমনীর বার্তা আসে।
(১০) আত্মার সামনে মহাবিশ্ব, মহাসমুদ্রের এক অঞ্জলি জলস্বরূপ।
(১১) সৃষ্টিকর্তার মূল স্বরূপ বাহিরে নাই। আছে শুধু মানুষের অভ্যর্ন্তরে (আদমের নয়)। তাকে স্বীয় আধারে আবিষ্কার করে নিতে হয়।
(১২) প্রত্যেকটি কার্যের কারণ থাকে, সেই কারণের আদি কারণ হলো অজ্ঞাত কারণ।
(১৩) অসীমের প্রকাশ সসীমের মধ্যেই।
(১৪) প্রেমের বীর্যে পবিত্র মানবের জম্ম হয়। আর কামের বীর্যে পশুতুল্য মানুষের জম্ম হয়।
(১৫) যে যাকে ভালবাসে সে তার স্বভাব প্রাপ্ত হবে।
(১৬) যুক্তি ও তর্কের বহিঃপ্রকাশ হলো বুদ্ধি। বুদ্ধির অবসান ঘটলে প্রেমের ফুল ফুটে।
(১৭) জ্ঞান মানুষকে পরিশুদ্ধ করে, তাই জ্ঞান প্রক্রিয়াস্বরূপ যন্ত্র।
(১৮) সকল সৃষ্টির মূল সত্য। তাই সত্য স্বরূপে সিদ্ধ। সত্যই সত্যকে বিচিত্র স্বরূপে প্রকাশ করে।
(১৯) নির্বোধেরা ধর্মের কেতাব আর প্রতীকের পূজা করে। জ্ঞানীরা পবিত্র জনের পূজা করে।
(২০) লিখনী লিখকের কায়াস্বরূপ, লিখনীর মর্মার্থ হলো লিখকের চরিত্র।
(২১) সুন্দরদেহ চরিত্রের মাপকাঠি নয়, ব্যক্তিসত্তার দৃষ্টিভঙ্গিই চরিত্রের মানদণ্ড।
(২২) কতকরাশী নিষ্ককলংক, নির্মলগুনের সমন্বিত স্বরূপই হলো চরিত্র।
(২৩) সৃষ্টির আদি রূপটি হলো স্বরূপের পূর্ণবৃত্ত। অন্তরূপটি ও পূর্ণবৃত্ত। মাঝখানটা আপেক্ষিক সরলরেখা।
(২৪) মানব জীবনটা বোধ হয় সরলরেখার গতিতে চলছে, ইহা আপেক্ষিক সত্য। সার্বিক সত্য হলো জীবনটা পূর্ণবৃত্ত।
(২৫) ব্যক্তি দ্রষ্টাব্য নয়, ব্যক্তির কথা, কাজ ও লিখনী বিচার্য।
(২৬) পরিবর্তনশীলতা ভব জগতের চরম বিকাশ।
(২৭) মূর্খ জানে না, সে কী জানে না কিন্তু একজন জ্ঞানী জানেন তিনি কি জানেন না।
(২৮) সৃজনশীলরা বড় হবার ফিকির করে না, তারা চিন্তা করে কিছু একটা করে দেখাব।
– আর এফ রাসেল আহমেদ