আমি(রাসূল) ও একই নূরের দুই খণ্ড
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) তিনার পাক জবানে বলেছেন-
“আমি ও আলী একই নূরের দুই খণ্ড। আলী যে দিকে মোড় নেয়, আল্লাহর দ্বীন সেদিকে মোড় নেয়।”
“আমি জ্ঞানের নগর, আমি হেকমতের ঘর এবং আলী তার সিংহদুয়ার।”
“আমি আলী হতে এবং আলী আমা হতে।”
“হে আলী, তোমার মর্যাদা কাবার সমতুল্য। মর্যাদাশালী কাবা যেমন কারোর নিকট গমন করেনা তেমনি তুমিও কারোর নিকট গমন করিওনা।”
“যে ব্যক্তি মোনাফেক সে আলীকে ভালবাসিবেনা।”
“মুসার ভাই যেমন হারুন, আমার ভাই তেমন আলী।”
আলী হলেন বেলায়াতের মহারাজা। আদদ্বীনের বাদশাহ। এবং ধর্মের ও কালের রাজা ও আশ্রয়দাতা।
আলী অর্থ উর্ধ্ব, উচ্চ, সমুচ্চ। আল্লাহর এক নাম আলী। যিনি আলীত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন তিনি আলা। এরূপ গুণপ্রাপ্ত ব্যক্তি লা-মোকায় স্থান প্রাপ্ত থাকেন। আলী (আ.) মোহাম্মদ (আ.) মধ্যে লীন হয়ে আলা হয়ে আছেন। সূর্য হল মোহাম্মদের প্রতীক, চাঁদ হল আলীর প্রতীক।
সূর্যের/মোহাম্মদের আলোয় আলোকিত হল চাঁদ/আলী। বিষয়াশয়ের মোহের উর্ধ্বে বা উচ্চে যিনি বাস করেন তিনিই আলী। আলী ব্যক্তিত্ব কোন এক ব্যক্তির মধ্যে অথবা কোন এক কালের মধ্যে আবদ্ধ বা সীমাবদ্ধ নয়। আলী সার্বজনিন ও সার্বকালিক এক একজন পরিশুদ্ধ অস্তিত্ব।
খোদার খোদায়ি যতদূর (বিস্তৃত)
রাসুলের রেসালাত ততদূর
আলীর মাওলাইয়াত ততদূর।।
মাওলাইয়াত হল পারত্রিক কল্যাণ অর্থাৎ আখেরাত তৈরীর ব্যবস্থা। অপরপক্ষে মানুষের ভোটের খেলাফত হল দুনিয়ামুখী ব্যবস্থা। দুনিয়ার খেলাফত খোদাই বিধান নয়, অর্থাৎ কোরানের অনুসারী নয়। অতএব, আলীকে (আ.) চতুর্থ খলিফা বলা অধর্ম। আশ্চর্য কথা এই যে, সুন্নি মুসলমানদের কেতাব ভরা মাওলাইয়াতের কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও তারা কেমন করে আলীকে (আ.) চতুর্থ খলিফা বলে।
গ্রন্থসুত্র:
- লোকোত্তর দর্শন ও পুরুষোত্তম নজরুল: আব্দুর রাজ্জাক,
- মাওলার অভিষেক: সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী