মোহাম্মদ (সা:) খোদা নয় আবার খোদা হতে পৃথকও নয়।
মোহাম্মদ (সা:) খোদা নয় আবার খোদা থেকে আলাদাও নয়। সূরা মায়েদা আয়াত নং ১৫-তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আসমান ও জমিনের মাঝে এসছে একটি নূর যা আলোকময় এবং উহা একটি স্পষ্ট কিতাব। এখানে মাথা ঘামাবার বিষয়টি হলো নূর এবং কিতাব কথাটি।কিতাব অর্থ্ হলো দেহ আর নূর অর্থ্ হলো আলো। যে দেহটি আল্লাহর তরফ থেকে এসেছে, সেই দেহটি সবাঙ্গ নূর বা আলো দ্বারা সজ্জিত। এই নূর তাও আবার যেমন তেমন নূর নয় ইহা জাত নূর। আল্লাহর জাত নূরই মোহাম্মদ (সা:) এর দেহ ধারণ করে জগতে এসেছেন।
সুতারাং আল্লাহর নূর এবং মোহাম্মদের নূরকে পৃথক বা পার্থক্য করাই হলো শিরক বেদাত বা কুফরী-সুরা নিসা ১৫০-১৫১ আয়ত তারই স্বাক্ষী দেয়। একটিই নূর আল্লাহ ও মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর আলাদা কোনো নূর নয়। সুতারাং আল্লাহ্ ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য করাই শিরক বেদাত’ ও কুফরী। আল্লাহ পাকের প্রকাশ মাধ্যমটিই হলো মোহাম্মদ (সা:), কারণ আদিতে মোহাম্মদ (সা:) ছাড়া আল্লাহ তার প্রকাশের কোন মাধ্যম গ্রহণ করেন নাই। আদিতে আল্লাহ যখন প্রকাশ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তখন আহাদ থেকে আহম্মদ নাম ধারণ করলেন।আহম্মদ-আহাদের দ্বিতীয় অবস্থা আর তৃতীয় অবস্থায় এসে মোহাম্মদ (সা:) এর কায়া ধরে জগতে এলেন।
এখন ব্যপারটি এমন দ্বারায় চিনি+পানি মিশ্রিতকে শরবত বলা হয় তখন কেউ চিনি এবং পানি আলাদা করতে পারে না বলে এক নামে শরবত বলে থাকে।তদ্রূপ মোহাম্মদ (সা:) খোদাও নয় আবার খোদা থেকে আলাদাও নয়-যখন আল্লাহর নূর ও মোহাম্মদের নূর পৃথক করা যায় না তখন তাকে কি বলা হবে?
এই প্রসংঙ্গে কোরআনে আল্লাহ বলেছেন:
“ইন্নাল্লাযীনা ইউবা-ই’ঊনাকা ইন্নামা-ইউবা-ই’ঊন্নাল্লা-হা ইয়াদুল্লা-হি ফাওকা আইদীহিম।”
অর্থঃ- (হে রাসুল) যারা আপনার কাছে আনুগত্যের (বায়াত) শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছে আনুগত্যের (বায়াত) শপথ করে। (সূরা; আল-ফাতহ, আয়াত; ১০)।
“ওয়ামা রামায়তা ইয রামায়তা ওয়ালা কিন্নাল্লাহা রামা।”
অর্থঃ- (হে রাসুল) আপনি তাহাদের প্রতি ধুলিমুষ্টি (কংকর) নিক্ষেপ করেন নাই, যখন নিক্ষেপ করিয়াছিলেন বরং তখন আল্লাহই নিক্ষেপ করিয়াছেন। (সূরা; আনফাল, আয়াত; ১৭)।
“মাইইয়াতিইর রাসুলা ফাকাদ আতা আল্লাহু।”
অর্থঃ- যে ব্যক্তি রাসুলের আনুগত্য করিয়াছে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করিলো। (সূরা; আন নিসা, আয়াত; ৮০)।
– সবজ কাদেরী