ভারতে নবী (আঃ) গনের আগমনঃ
হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) সেরহিন্দের নিকট বর্তী জঙ্গলে ভ্রমনের জন্য বের হতেন। শহরের দক্ষিন পূর্ব কোনে একটি বড় টিলা ছিল। তিনি সেখানে যোহরের নামাজের পরে অনেক সময় মোরাকাবা করতেন। তিনি লোকদের বলেন, এই টিলার ওপরে পূর্ববর্তী নবী (আঃ) গণের মাজার রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, আমরা এখানে বিশ্রাম করতাম।
হযরত ইমামে রব্বানী মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) তাঁর মকতুবাত শরীফে ১ম খন্ড ২০৬ নং মকতুবে খাজিনাতুর রহমতের নিকট লিখেছেন, হিন্দুস্তানে যে সকল নবী এসেছেন এবং এখানে বসবাস করেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়েছে।তাদের কবর হতে নূরের রৌশনী আসমানে পৌঁছে যাচ্ছে। এই সকল নবীগণের এক জন দুজন, কারও তিন জন অনুসারী ছিল। কোন নবীর ৪ জন অনুসারী পাওয়া যায়না। আমি ইচ্ছা করলে তাঁদের নাম এবং তাঁদের কবরের নিশান সব বলে দিতে পারি। এই টিলার ওপর তিন জন রাসুল ও পঁচিশজন নবীর মাজার রয়েছে।
রওজাতুল কাইউমিয়াহ কিতাবের লেখকের আব্বার তথ্যমতে, একদিন তৃতীয় কাইউম খাজা মুহাম্মদ সাইদ ফারুকী (রহঃ) এখানে জিয়ারতে জন্য যান। তিনি ফাতেহা বকশিশের পরে বললেন এখানে চল্লিশজন পয়গম্বর শুয়ে আছেন। এর মধ্যে হযরত নুহ (আঃ)-এর তুফানের আগের কয়েকজন নবী আছেন।
এই টিলার পাদদেশে বরছ নামের একটি গ্রাম আছে। নবীগণ এখানে হিজরত করে আসেন। এই টিলা নবীদের সময় আবাদ ছিল। এখানকার লোকজন নবীগনকে না মানার কারনে আল্লাহ্ তায়ালা তাদের ধ্বংস করে দেন। সেরহিন্দ শহরের ছয় মাইল দূরে শঙ্কতিল নামে একটি গ্রাম ছিল।এখানেও নবীগন এসেছিলেন। এখানকার লোকেরাও ঈমান আনেনি। আল্লাহ্ তায়ালা আসমান থেকে তাদের ওপর পাথর বর্ষণ করায় তারা ধ্বংস হয়ে যায়। নবীগন হিজরত করে চলে বরছ শরীফে আসেন। এখানেই তাঁদের ইন্তেকাল হয়। নবীগন সকলে একসঙ্গে আসেন নি। তাঁরা বিভিন্ন যুগে এখানে এসেছেন।
তথ্যসূত্রঃ রাওজাতুল কাইউমিয়াহ ১ম খন্ড, আফতাবে সেরহিন্দ।