হোমপেজ মুয়াবিয়া প্রসঙ্গ মুয়াবিয়াকে হ’ত্যা’র জন্য রাসূল (সাঃ) হুকুম দিয়েছিলেন

মুয়াবিয়াকে হ’ত্যা’র জন্য রাসূল (সাঃ) হুকুম দিয়েছিলেন

মুয়াবিয়াকে হ’ত্যা’র জন্য রাসূল (সাঃ) হুকুম দিয়েছিলেন

মুয়াবিয়াকে হ’ত্যা’র জন্য রাসূল (সাঃ) হুকুম দিয়েছিলেন, যখন মুয়াবিয়া রাসুল (সাঃ) এর মিম্বরে উঠে বক্তব্য দিবে তখন।

হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে, আবু রাজ্জাক ইবনে উয়াইনা হতে ও তিনি আলী ইবনে যাইদ ইবনে জাযআন এবং তিনি নাছরাহ হতে আবু সাঈদ খুদরীর সূত্রে অবিচ্ছিন্ন হাদিস রাসুল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

“মিযানুল ইতিদাল” গ্রন্থে আবদুর রাজ্জাক পরিচয় পর্বে উল্লেখ আছে যে, যখন আহামদ ইবনে হাম্বলকে প্রশ্ন করা হলো:- হাদিসের বিষয়ে আবদুর রাজ্জাক হতে উত্তম কাউকে দেখেছেন কি? তিনি জবাব দিলেন “না”। এ কথা ইবনে কাইসারানী তাঁর “আল জাম বাইনা রিজালিস সহীহাইন” গ্রন্থেও স্বীকার করেছেন। তাছাড়া মুয়াবিয়ার অতিভোজের জন্যও রাসুল (সাঃ) তাকে বদদোয়া করেছিলেন।

ইবনে আবিল হাদীদ লিখেছেন যে- একদিন রাসুল (সাঃ) মুয়াবিয়াকে ডেকে আনার জন্য পাঠালেন। লোক ফিরে এসে বললো, “সে ভোজনে ব্যস্ত।” দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার লোক পাঠিয়ে একই জবাব পাওয়া গেল। এতে রাসুল (সাঃ) বললেন- “আল্লাহ তার পেটকে তৃপ্ত না করুক।”

এ অভিশাপ তার উপর কার্যকরী হয়েছিল। যখন সে খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে পড়তো তখন বলতো, “নিয়ে যাও, আল্লাহর কসম, আমি ক্লান্ত ও বিরক্ত – কিন্তু তৃপ্ত নই।” এ মুয়াবিয়াই মিম্বরে বসে হযরত আলী (আঃ) কে গাল মন্দ করতে এমন সব শব্দ ব্যবহার করতো তাতে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) পর্যন্ত কটাক্ষপাতে পতিত হতো।

উম্মুল মুমিনীন উম্মে ছালমা (রাঃ) এ জন্যে প্রতিবাদ করেছিল এক পত্র মারফত যে:-

“তোমাদের কথায় যদিও মনে হয় তোমরা আলী (আঃ) এবং তাকে যারা ভালবাসে, তাদের গালিগালাজ করছে কিন্তু নিশ্চয়ই তোমরা আল্লাহ ও রাসুলকেই গালাগালি করো। আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) যে, আলী (আঃ) কে ভালবাসতেন তার আমি নিজেই সাক্ষী।” (আশ শায়েখ আল মুফিদ ৩য় খণ্ড ১৩১ পৃষ্ঠা]।”

সূত্রঃ- বেহুঁশের চৈতন্য দান, পৃষ্ঠা ৩৬৮
—কাজী বেনজির হক চিশতী নিজামী