আল্লাহ আহলে বায়াতকে বান্দার নিকট আমানত রেখেছেন।
আল্লাহ রাসুলের বংশকে মুসলমানের কাছে আমানত রেখেছেন, শুধু আমানত নয় তাদের ভালবাসতেও স্বনিবদ্ধ অনুরোধ ও হুকুম জারী করেছেন। (সূরা: আশ শুরা, আয়াত ২৩)
নবীর আহলে বাইয়াত ও আল কোরআন কখনও একে অপরকে ছাড়বেনা। (তিরমিজী)
আর তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়িয়ে ধরো পরস্পর বিচ্ছিন্ন (ফেরকাবন্দী) হইও না। (সূরা: আল ইমরান, আয়াত-১০৩)
হযরত ইমাম বাকের (আঃ) বলেছেন যে, “হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আহলে বাইত (আঃ)-ই আল্লাহ পাকের মজবুত রজ্জু যাঁকে আল্লাহ তায়ালা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরার আদেশ দিয়েছেন “তথা অনুসরণ করার জন্য। (সীতাফরে রুহুল মায়ানী আলুসী বাগদাদী, খঃ-৪,পৃঃ-১৬)
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যেরূপ আল্লাহর নিকট প্রিয়তম ও সম্মানিত ছিলেন বা আছেন, ঠিক তদ্রূপ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আহলে বাইতগণও প্রিয়তম ও সম্মানিত।
অতএব তারা ব্যতীত আর কেউ কারো অনুসরণীয় নয়। এদের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে। তাদের প্রতি সালাতের চুড়ান্ত অংশে দরুদ ভেজা বিধিবদ্ধ, তাদের প্রতি দরুদ না ভেজলে সালাত সহি শুদ্ধ হয় না।
তারপরেও মুসলমানেরা তাদেরকে একে একে নি:শ্বেষ করে দিয়েছে এবং চরম বিরোধিতা করেছে আহলে বাইতের রশিকে ছেড়ে দেওয়ার ফলে ৭৩ ফেরকার সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রন্থসূএঃ শানে পাক-পাঞ্জাতন, পৃ:১২।