রাসূল (সাঃ)-এর যে অন্তিম ইচ্ছাটি অপূর্ণই রয়ে গেছে।
রাসূল (সাঃ) ইন্তেকালের আগে যে কাজটা করতে চেয়েছিলেন, তিনি উম্মতের জন্য কিছু লিখতে চেয়েছিলেন। তিনি ইন্তেকালের আগে তাঁর গৃহাভ্যন্তরে উপস্থিত ব্যাক্তিদের কাগজ-কলম নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন-
“আমি তোমাদের জন্য কিছু ওসিয়ত লিখে যেতে চাই, যাতে তোমরা পরবর্তীতে গোমরাহ না হও”
কিন্তু তাঁর মধ্যে একজন রাসূলের নির্দেশ পালন না করে বলেছিল- “রোগ তার উপরে বিজয়ী হয়েছে, আমাদের কাছে কুরআন আছে, আল্লাহর কিতাবই আমাদের জন্য যথেষ্ট”। (সহীহ বুখারী, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা-১২০)
“চুপ হও, তোমার আকল নেই”। (আল-মু’জামুল কাবীর, খন্ড-১১, পৃষ্ঠা-৩৬)
“আল্লাহর রাসূল পাগলের প্রলাপ বকছেন!” (উমদাতুল কারী শারহু সহীহুল বুখারী, খন্ড-১৪, পৃষ্ঠা-২৯৮)
অথচ আল্লাহ তায়ালা রাসূল (সা.) সম্পর্কে বলেন- “প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।” (সূরা নাজম : ৩)
রাসূল সা.-এর নির্দেশের পালনের পক্ষে-বিপক্ষে যখন তাঁর গৃহাভ্যন্তরে উপস্থিত ব্যাক্তিরা তর্কাতর্কি করছিল, তখন রাসূল (সা.) সবাইকে উঠে যেতে বলেছিলেন। এভাবেই আল্লাহর রাসূল সা.-এর অন্তিম ইচ্ছাটি অপূর্ণ রয়ে গেল। দোজাহানের বাদশা এই কষ্ট নিয়েই ইন্তেকাল করেন।
এ ঘটনার কারণে সারা জীবন ইবনে আব্বাস (রা.) আফসোস করেছেন, তিনি “ইয়াওমুল খামিস” (বৃহস্পতিবার) বলে কাঁদতেন, তাঁর চোখ বেয়ে পানি টপ টপ করে ঝড়তো আর তিনি উক্ত ঘটানাটি উল্লেখ করতেন (বুখারী ও মুসলিমে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে)।
যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ (আঃ) শুধু কাফেরদের দ্বারা নির্যাতিতই হননি, অনেক নিজ উম্মতগণ কর্তৃকও অপমাণিত-নিগৃহীত হয়েছেন।
মূসা (আ.) যখন বনী ইসরাঈলকে যুদ্ধে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, তখন তারা বলেছিল- “আপনি ও আপনার আল্লাহ যেয়ে যুদ্ধ করুন” (সূরা মায়েদা : ২৪)