হোমপেজ ইলমে মারেফত মানুষ ধর, মানুষ ভজ

মানুষ ধর, মানুষ ভজ

1186

মানুষ ধর, মানুষ ভজ

যে মানুষের দমের হুঁশ আছে, যে মানুষ হুঁশের সহিত শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়ে ও নেয় এবং হুঁশের সহিত জমিনে বিচরণ করে প্রকৃত পক্ষে সেই সমস্ত মানুষ কে মানুষ হিসাবে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া বাকি যত মানুষ আছে সব বেহুঁশ। আর বে হুঁশের কোন ইবাদত বন্দেগি নাই।

কোরানের ভাষ্যমতে, আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের শাহ রগের অতি নিকটে অবস্থান করেন এবং আদেশ করেছেন, তোমরা আল্লাহর রঙ্গে রঞ্জিত হও। হাদিস মতে, যে নিজকে নিজে চিনেছে সে তার স্রষ্টাকে চিনেছে। তার মানে হল স্রষ্টা সৃষ্টির মাঝেই গোপনে অবস্থান করছেন।

তাহলে বলতেই পারি, হুঁশের ঘরে তালাস করে যে নিজেকে চিনার মাধ্যমে আল্লাহ কে চিনেছে, আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হয়েছে বা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হয়েছে সেই প্রকৃত পক্ষে মানুষ।

ইসলামি পরিভাষায় এই সমস্ত মানুষ গুলোকে বলা হয় সুফি সাধক ফকির দরবেশ এবং সনাতনী পরিভাষায় বলা হয় যোগী ঋষি ইত্যাদি। এখানে কবি বলেছেন সেই সব মানুষকে ধরার জন্য যেসব মানুষ আল্লাহকে চিনেছেন, আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হয়েছেন এবং আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন করেছেন। আর এই মানুষ গুলোই সমাজে গুরু বা মুর্শিদ রূপে বিরাজমান।

এই গুরু বা মুর্শিদের পথে ও মতে নিজের আমিত্ব কে বিসর্জন দিয়ে অনুসরণ এবং অনুকরণ করাই হচ্ছে গুরু ভজন। আর কবি এই মানুষকেই ধরতে ও ভজতে বলেছেন নিজেকে চিনার জন্য,আল্লাহকে চিনার জন্য এবং মুখ্য লাভ করার জন্য। তাই তো বিভিন্ন যুগের মহারতি মরমী সুফি সাধক ও কবি গনের সাথে সুর মিলিয়ে কবি জালাল উদ্দীন খাঁ (রহঃ) আরো একবার বলেছেন।

যেমনঃ
“মানুষ থুইয়া খোদা ভজ এই মন্ত্রণা কে দিয়াছে! মানুষ ভজ কোরান খোঁজ পাতায় পাতায় সাক্ষী আছে।”