করিলে নারী হরণ চৌরাশীতে হবে জনম

করিলে নারী হরণ চৌরাশীতে হবে জনম

“নিসাউকুম হারসুল্লাকুম। ফা’তুহাৱছাকুম (সূরা- আল বাকারাহ)” অর্থঃ নারী হলো শস্যহ্মেএ পুরুষ তাতে কৃষক। “হুনা লেবাসুল্লাকুম ওয়া আনতুম লেবাসুল্লাহুন্না (সূরা- আল বাকারাহ)” অর্থঃ নারী পুরুষের পোষাক (পরিপুরক) আর পুরুষ নারীর পোষাক (পরিপুরক)

(পরম গুরুর প্রেম পৃকিতি নারী) প্রেমি নারী কাম গুরু নিজপ্রতি (পুরুষ)। “বাকারাতান ছাফরা (আল বাকারাহ)” অর্থঃ হলুদ রং এর গাভী। পুরুষ হবার পথে একজন সাধক। নারী হরণ করলে চৌরাশীতে জনম হবে (লালন সাইজী বলেছেন)।

আর হরণ না করলেও সে পুরুষ হতে পারেনা। এখানে হরণ বলতে কি বোঝায়? এক হরন হলো জোর করে ভোগ করা। জোর করে নূর রুপ ইলাহ বা মনের মানুষকে দেহ থেকে বের করে দেওয়া। এটা করলে নাগরদোলায় ঘুরতে হবে হাতে পায়ে বেড়ী পড়ে। আরেকটা হরন বলতে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, অহংকার, হিংসা, কু-খায়েস বা কামনা, কু চিন্তা বা বাসনা, কু লালসা বা লিক্সা এ নয়টি দেহের নারী বা রমনীকে নিজের মধ্যে লালন করাও হরণ।

ইহাকে দমন করতে পারেন যিনি, তিনিই মহাপুরুষ। যখন আপন ভান্ডে এই নারী গুলোকে ঠিক করতে পারোনি, তবে কেন মন নারীরুপ আগুনের কাছে পতঙ্গ হয়ে যাচ্ছ আর মরছো? যারা আপন দেহের নারীগুলোকে হরন করতে পেরেছে তারই কেবল সাধনসঙ্গী নেবার যোগ্যতা হয়েছে। তবেই সে চেতন গুরু হয়ে তাকে উদ্ধার করতে পারবে।